মহামারি করোনাভাইরাসের সময়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজার আর মাস্কের চাহিদা গোটা বিশ্বজুড়েই প্রবল। আর সবথেকে বেশি কেনা-বেচা হচ্ছে এই স্যানিটাইজারই। এই সময়ে ঘরে বা বাইরে হ্যান্ড স্যানিটাইজার মাস্ট, কেননা এটি জীবাণুনাশক। তবে সম্প্রতি ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিষ্ট্রেশন জানিয়েছেন, কিছু স্যানিটাইজারে ক্ষতিকর অ্যালকোহল রয়েছে। যা শরীরে ভয়ানক প্ৰভাব ফেলতে পারে। এমনকি অন্ধ হয়েও যেতে পারেন।
এফডিএ (ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিষ্ট্রেশন) জানিয়েছে, কিছু কিছু হ্যান্ড স্যানিটাইজারের আবশ্যক উপাদান হিসেবে ইথানল ব্যবহৃত হচ্ছে। যা পরে মিথানল হিসাবে পজিটিভ হয়ে পড়ছে। এগুলো ‘কাঠের অ্যালকোহল’ নামে পরিচিত। সম্প্রতি ৬৯টি উপাদানের তালিকা প্রকাশ করেছে এফডিএ। যা আপাতত গ্রাহকদের ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে। চলতি মাসের ১৫ তারিখে নিষিদ্ধ বস্তুর তালিকায় আরও দুটি দ্রব্য যোগ করা হয়েছে।
জুলাই মাসের ২ তারিখে স্টিফেন হ্যান এক বিবৃতিতে জানান, “গ্রাহক ও স্বাস্থ্য পরিসেবা কর্মীদের মিথানল দিয়ে বানানো হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে নিষেধ করা হচ্ছে। অ্যালকোহল বেসড স্যানিটাইজার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সবাইকে নিরাপদে রাখার দায়িত্ব পালনের বিষয়ে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
মিথানল দিয়ে বানানো হ্যান্ড স্যানিটাইজার কতটা ক্ষতিকারক হতে পারে তার একটি ধারণা দিয়েছে আন্তর্জাতিক এই সংস্থাটি। তারা জানিয়েছে বমি, মাথা যন্ত্রণা, অন্ধত্ব, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া থেকে কোমা পর্যন্ত ঘটতে পারে। বলা হয়েছে, ইথানলই একমাত্র অ্যালকোহলের উপাদান যা কোনো গুরুতর কাণ্ড ঘটায়না। তাই এমন অ্যালকোহল ব্যবহার করতে হবে যাতে ন্যূনতম ৬০ শতাংশ ইথানল রয়েছে। কিন্তু কোনোভাবেই মিথানল বেইসড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা যাবে না।
ঘটনাচক্রে ইথানলের থেকে মিথানল অনেকটাই সস্তা। তাই অনেক অসৎ ব্যবসায়ী বেশি লাভের আশায় মিথানল ব্যবহার করে স্যানিটাইজার বানাচ্ছেন এবং তা বাজারে সরবরাহ করছেন। এই স্যানিটাইজার ব্যবহার করা যাবে না।
এফডিআই আরও জানিয়েছে, যদি কোনো স্যানিটাইজারে লেখা থাকে ‘এফডিআই’ অনুমোদিত, তাহলে অবশ্যই তা ভুয়া। কারণ এখন পর্যন্ত কোনো স্যানিটাইজারই অনুমোদন করেনি এফডিআই। তাই পরিচিত ব্র্যান্ড ব্যবহার করার দিকেই পরামর্শ দিয়েছে এফডিআই।
বিজনেস বাংলাদেশ/ প্রান্ত


























