০৮:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা ২৯ জুলাই

ফাইল ছবি

২০২০-২১ অর্থবছরের নতুন মুদ্রানীতি আগামী ২৯ জুলাই ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। মহামারির কারণে এবার ভার্চুয়ালি মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, এবারের মুদ্রানীতি হবে প্রবৃদ্ধি ও অর্থনীতি সহায়ক। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনা ভাইরাসে বিপর্যস্ত অর্থনীতি পরিস্থিতিতে বেসরকারি ঋণ বাড়ানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে এবারের মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে।

এদিকে মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক এরই মধ্যে নানা কর্মসূচি নিয়েছে। বিশেষ করে প্রণোদনার মাধ্যমে ক্ষুদ্র, মাঝারি শিল্প, বড় শিল্প ও সেবা খাত, রফতানি ও কৃষিসহ সব পর্যায়ে উৎপাদন ঠিক রাখতে ঋণ জোগান বাড়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ লক্ষ্যে সরকারের সুদ ভর্তুকির আওতায় কম সুদে ঋণের জন্য কয়েকটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করা হয়েছে। এসব তহবিল থেকে ঋণ বিতরণের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়ানো এবং কর্মসংস্থান ঠিক রাখা অন্যতম লক্ষ্য।

সরকার এসব লক্ষ্য সামনে রেখে নির্ধারিত ৮ দশমিক ২০ শতাংশের কাছাকাছি জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জন এবং মূল্যম্ফীতি ৫ দশমিক ৪০ শতাংশে সীমিত রাখার লক্ষ্যকে সামনে রেখে মুদ্রা সরবরাহ বাড়ানোর প্রাক্কলন করা হবে নতুন মুদ্রানীতিতে।

এদিকে সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছিল। কিন্ত তা মাত্র ৮ দশমিক ৬১ শতাংশ অর্জন হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম। এর আগের অর্থবছর শেষে ১৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, মুদ্রানীতি দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ঋণ, মুদ্রা সরবরাহ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ, বৈদেশিক সম্পদ কতটুকু বাড়বে বা কমবে, এর একটি পরিকল্পনা করা হয়। গত বছর থেকে অর্থবছরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখার জন্য বছরে দুবার নয়, একবার মুদ্রানীতি ঘোষণার নিয়ম চালু করা হয়।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

জনপ্রিয়

নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা ২৯ জুলাই

প্রকাশিত : ০১:২২:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জুলাই ২০২০

২০২০-২১ অর্থবছরের নতুন মুদ্রানীতি আগামী ২৯ জুলাই ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। মহামারির কারণে এবার ভার্চুয়ালি মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, এবারের মুদ্রানীতি হবে প্রবৃদ্ধি ও অর্থনীতি সহায়ক। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনা ভাইরাসে বিপর্যস্ত অর্থনীতি পরিস্থিতিতে বেসরকারি ঋণ বাড়ানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে এবারের মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে।

এদিকে মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক এরই মধ্যে নানা কর্মসূচি নিয়েছে। বিশেষ করে প্রণোদনার মাধ্যমে ক্ষুদ্র, মাঝারি শিল্প, বড় শিল্প ও সেবা খাত, রফতানি ও কৃষিসহ সব পর্যায়ে উৎপাদন ঠিক রাখতে ঋণ জোগান বাড়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ লক্ষ্যে সরকারের সুদ ভর্তুকির আওতায় কম সুদে ঋণের জন্য কয়েকটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করা হয়েছে। এসব তহবিল থেকে ঋণ বিতরণের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়ানো এবং কর্মসংস্থান ঠিক রাখা অন্যতম লক্ষ্য।

সরকার এসব লক্ষ্য সামনে রেখে নির্ধারিত ৮ দশমিক ২০ শতাংশের কাছাকাছি জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জন এবং মূল্যম্ফীতি ৫ দশমিক ৪০ শতাংশে সীমিত রাখার লক্ষ্যকে সামনে রেখে মুদ্রা সরবরাহ বাড়ানোর প্রাক্কলন করা হবে নতুন মুদ্রানীতিতে।

এদিকে সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছিল। কিন্ত তা মাত্র ৮ দশমিক ৬১ শতাংশ অর্জন হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম। এর আগের অর্থবছর শেষে ১৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, মুদ্রানীতি দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ঋণ, মুদ্রা সরবরাহ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ, বৈদেশিক সম্পদ কতটুকু বাড়বে বা কমবে, এর একটি পরিকল্পনা করা হয়। গত বছর থেকে অর্থবছরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখার জন্য বছরে দুবার নয়, একবার মুদ্রানীতি ঘোষণার নিয়ম চালু করা হয়।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর