১০:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

রাঙ্গামাটিতে পিসিআর ল্যাব উদ্বোধন

বহু প্রত্যাশিত করোনা রোগী শনাক্তের জন্য পিসিআর ল্যাব (পলিমার চেইন রিঅ্যাকশন) পেল রাঙ্গামাটিবাসী। করোনা রোগীর শনাক্তের জন্য এবার দূরে কোথাও পাঠাতে হবে না নমুনা। এবার রাঙ্গামটিতে কোনো রোগীর নমুনার ফলাফল মিলবে ২৪ঘন্টার মধ্যে। বহু কাঙ্খিত স্বপ্ন পিসিআর ল্যাব(পলিমার চেইন রিঅ্যাকশন) রাঙ্গামাটি অস্থায়ী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নীচতলায় বসানো হয়েছে। যা বাংলাদেশের সুপরিচিত শীর্ষ স্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ দিয়েছে ৬৯ লক্ষ টাকা।

পাশাপাশি রাঙ্গামাটি স্বাস্থ্য বিভাগকে একটি অ্যাম্বুলেন্স উপহার দিয়েছে সামুদা ফুডস প্রডাক্টস লিমিটেড। বৃহস্পতিবার সকালে উদ্বোধন করেছেন, করোনা প্রতিরোধে দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলাভিত্তিক সচিব ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (বেপজা) চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী।

উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা। আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ, পুলিশ সুপার আলমগীর কবির,রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজের প্রকল্প পরিচালক ডা. শহিদ তালুকদার, রাঙ্গামাটি জেলা সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান রোমানসহ অন্যান্য প্রমূখ।
এসময় চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, রোগীর নমুনার ফলাফর পাওয়ার ক্ষেত্রে এবার কোনো বিলম্ব হবে না। এমনকি নমুনা পরীক্ষার ফলাফলের জন্য আর অপেক্ষা করতে হবে না। নমুনা দিলেই ফলাফল একদিনের মধ্যে পাওয়া যাবে। রাঙ্গামাটিবাসীর বহুদিনের দাবি এই পিসিআর ল্যাব। ল্যাবের কার্যক্রম শীঘ্রই শুরু হবে। কার্যক্রম শুরু হলে রাঙ্গামাটিবাসী তার সুফল ভোগ করবে।
রাঙ্গামাটির স্বাস্থ্য বিভাগের জেলা সিভিল সার্জন ডা.বিপাশ খীসা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের মধ্যে রাঙ্গামাটিতে সর্ব প্রথম স্থাপিত হয়েছে পিসিআর ল্যাব (পলিমার চেইন রিঅ্যাকশন)। এখন থেকে পিসিআর ল্যাবে প্রতিদিন ২০০টি নমুনা পরীক্ষা করা হবে। যদিওবা ল্যাবটি আজকে উদ্বোধন করা হলেও ২/৩দিনের পর থেকে নমুনা পরীক্ষার কাজ শুরু হবে। কর্মীদের ২দিন হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে কোভিড-১৯ পরীক্ষার কাজ শুরু হবে।

এদিকে রাঙ্গামাটিতে করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭৭ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছে ৫৬২জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০জন। এ পর্যন্ত জেলা থেকে পাঠানো ৩০৭২টি রিপোর্টের মধ্যে ২৯০৮ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। বাকী রয়েছে ১৬৪টি রিপোর্ট।

বিজনেস বাংলাদেশ/ বিএইচ

ট্যাগ :

বরিশালে পেশাদার সাংবাদিকদের ৩৫ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

রাঙ্গামাটিতে পিসিআর ল্যাব উদ্বোধন

প্রকাশিত : ০৬:১১:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ অগাস্ট ২০২০

বহু প্রত্যাশিত করোনা রোগী শনাক্তের জন্য পিসিআর ল্যাব (পলিমার চেইন রিঅ্যাকশন) পেল রাঙ্গামাটিবাসী। করোনা রোগীর শনাক্তের জন্য এবার দূরে কোথাও পাঠাতে হবে না নমুনা। এবার রাঙ্গামটিতে কোনো রোগীর নমুনার ফলাফল মিলবে ২৪ঘন্টার মধ্যে। বহু কাঙ্খিত স্বপ্ন পিসিআর ল্যাব(পলিমার চেইন রিঅ্যাকশন) রাঙ্গামাটি অস্থায়ী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নীচতলায় বসানো হয়েছে। যা বাংলাদেশের সুপরিচিত শীর্ষ স্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ দিয়েছে ৬৯ লক্ষ টাকা।

পাশাপাশি রাঙ্গামাটি স্বাস্থ্য বিভাগকে একটি অ্যাম্বুলেন্স উপহার দিয়েছে সামুদা ফুডস প্রডাক্টস লিমিটেড। বৃহস্পতিবার সকালে উদ্বোধন করেছেন, করোনা প্রতিরোধে দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলাভিত্তিক সচিব ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (বেপজা) চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী।

উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা। আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ, পুলিশ সুপার আলমগীর কবির,রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজের প্রকল্প পরিচালক ডা. শহিদ তালুকদার, রাঙ্গামাটি জেলা সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান রোমানসহ অন্যান্য প্রমূখ।
এসময় চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, রোগীর নমুনার ফলাফর পাওয়ার ক্ষেত্রে এবার কোনো বিলম্ব হবে না। এমনকি নমুনা পরীক্ষার ফলাফলের জন্য আর অপেক্ষা করতে হবে না। নমুনা দিলেই ফলাফল একদিনের মধ্যে পাওয়া যাবে। রাঙ্গামাটিবাসীর বহুদিনের দাবি এই পিসিআর ল্যাব। ল্যাবের কার্যক্রম শীঘ্রই শুরু হবে। কার্যক্রম শুরু হলে রাঙ্গামাটিবাসী তার সুফল ভোগ করবে।
রাঙ্গামাটির স্বাস্থ্য বিভাগের জেলা সিভিল সার্জন ডা.বিপাশ খীসা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের মধ্যে রাঙ্গামাটিতে সর্ব প্রথম স্থাপিত হয়েছে পিসিআর ল্যাব (পলিমার চেইন রিঅ্যাকশন)। এখন থেকে পিসিআর ল্যাবে প্রতিদিন ২০০টি নমুনা পরীক্ষা করা হবে। যদিওবা ল্যাবটি আজকে উদ্বোধন করা হলেও ২/৩দিনের পর থেকে নমুনা পরীক্ষার কাজ শুরু হবে। কর্মীদের ২দিন হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে কোভিড-১৯ পরীক্ষার কাজ শুরু হবে।

এদিকে রাঙ্গামাটিতে করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭৭ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছে ৫৬২জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০জন। এ পর্যন্ত জেলা থেকে পাঠানো ৩০৭২টি রিপোর্টের মধ্যে ২৯০৮ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। বাকী রয়েছে ১৬৪টি রিপোর্ট।

বিজনেস বাংলাদেশ/ বিএইচ