জয়পুরহাটের সদর ও কালাই উপজেলার ছয় কিলোমিটার কাঁচা রাস্তায় দীর্ঘদিন উন্নয়ন কাজ হয়নি। বর্ষা মৌসুমে সেই সড়ক ভিজে কাদায় একাকার হয়ে থাকে; বেহাল সড়কে পথ চলতে গিয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় ওই এলাকার লোকজনদের।
সদরের আমদই ইউপি চেয়ারম্যান শাহানুর রহমান সাবু জানান, তার ইউনিয়নের রাংতা মোড় থেকে পাইকড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার কাঁচারাস্তার পাশ্ববর্তী সাতটিরও বেশি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষকে চরম দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করতে হয়।
একই অবস্থা কালাই উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের তেলিহার, ভাটাহার ও পাইকপাড়া পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার কাঁচারাস্তার পাশের প্রায় ১০টি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষের- জানান, ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াজেদ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কাঁচারাস্তাগুলোর এলাকায় কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি ক্লিনিক, কয়েকটি আদর্শ গুচ্ছগ্রামসহ নানা সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও হাট বাজার রয়েছে। বর্ষা মৌসূমে কাঁচামাটির রাস্তায় কাঁদায় একাকার হয়ে পড়ায় কোনো ধরনের যান চলাচল করতে পারছে না। ফলে কৃষকরা ধান-চালসহ তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারে নিয়ে বিক্রির জন্য নিতে পারেছেন না।
কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন এলাকার পরিবহন চালকরা। অনেক সময় মুমূর্ষ রোগীদেরও নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না হাসপাতালে। এই কাদামাটির রাস্তায় চলতে গিয়ে লোকজনের পায়ে ঘা সৃষ্টিসহ নানা চর্মরোগ দেখা দিচ্ছে।
সদর উপজেলার রাংতা গ্রামের আব্দুস সামাদ বলেন, “বৃটিশ শাসনামলেরও অনেক আগে থেকে এই এলাকাগুলোতে জনবসতি গড়ে উঠলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা কোন কালেই ভালো ছিল না।স্বাধীনতা পরবর্তীকালে এসব এলাকায় মাটির রাস্তা নির্মাণ করা হয়।“
পাইকপাড়া গ্রামের মোসলেম উদ্দিন বলেন, “এসব এলাকায় এঁটেল মাটি হওয়ায় বর্ষার সময়ে রাস্তাগুলোতে এক দেড় ফুট আঠালো কাদার সৃষ্টি হয়। ফলে রাস্তাগুলো চলাচলের অযোগ্য হয়ে ওঠে।
বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর






















