অনেকেই শরীর ফিট রাখতে অনেক চেষ্টা করেন। কিন্তু চেষ্টা বৃথা যায়। কিন্তু এমন কতগুলো টিপস আছে যা করলে চেষ্টা বৃথা যাবে না। নিচে তা উল্লেখ করা হল:
ওয়ার্মআপ করুন:
‘ওয়ার্মআপ’ হলো, দৌড় শুরুর আগে হালকা ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরকে গরম ও দৌড়ের জন্য প্রস্তুত করে নেওয়া। দৌড় শুরু করার আগে ‘ওয়ার্মআপ’ করেন শ্রদ্ধা কাপুর। আপনিও এ নিয়ম মেনে চলুন। কেননা, ‘ওয়ার্মআপ’ ছাড়া দৌঁড় শুরু করলে হার্ট’সহ শরীরের অন্য অঙ্গপ্রতঙ্গের উপর চাপ ও ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে, হাঁটু ও অস্থিসন্ধিতেও ব্যথাও হবে।
দৌড় ও কথা বলা:
এটাকে বলা হয়-‘টক টেষ্ট’। এক্ষেত্রে আপনাকে দৌড় ও কথা বলা একসাথে চালিয়ে যেতে হবে। যদি দুটো একসাথে চালাতে না পারেন তাহলে বুঝতে হবে, খুব দ্রুত দৌড়াচ্ছেন আপনি। আর তখনই গতি কমাতে। কেননা, ওইভাবে দৌড়ালে আপনি শারিরীকভাবে আহত হতে পারেন। শুধু তাই নয়, আপনি কার্যকর ফলাফল পাবেন না। শারিরীক ও মানসিকভাবেও ‘ফিট’ থাকবেন আপনি।
খাবার গ্রহণ:
দৌড়ানোর পর ক্ষুধা অনুভব না করা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। সমীক্ষা বলছে, দৌড়ানোর ৪৫ মিনিট পর শরীরের পেশীসমূহ খাবারের উপাদানগুলো শোষণ করে। তাই দৌঁড় শেষ করে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের বিষয়টি পরিত্যাগ করা যাবে না। এক্ষেত্রে, ৩:১ অনুপাতে প্রোটিন(আমিষ) ও কার্বহাইড্রেট(শর্করা)সমৃদ্ধ খাবার খেলে আপনার পেশি পুর্নগঠনে সহায়ক হবে।
দূরত্ব:
দূরত্ব এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না। তবে, খেয়াল রাখতে হবে, প্রতি সপ্তাহে ’মাইলেজ’ যেন আগের সপ্তাহ থেকে ১০ শতাংশের বেশি না বৃদ্ধি পায়। ধীরে-ধীরে গতি বাড়ালে তা আপনাকে ‘ইনজুরি’র হাত থেকে রক্ষা করবে।
সঠিক জুতো পরিধান:
পুরনো বা অচল জুতোর কারণে আপনি শারিরীকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। তাই, সঠিক জুতো পরিধান করুন এবং ৩০০-৩৬০ মাইল দৌঁড়ানোর পর জুতো অবশ্যই পাল্টাতে হবে।এ বিষয় কোন ছাড় দেওয়া যাবে না।