০৮:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫

অসুস্থ মাকে ছাদ থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে হত্যা

ভারতের রাজকোটে নিজের অসুস্থ মাকে ছাদ থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছিল তার পাষণ্ড ছেলে সন্দীপ নাথওয়ানি (৩৬)। পরে মায়ের মৃত্যুকে দুর্ঘটনা বা আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টাও করেছিলেন। খবর এনডিটিভি।

রাজকোট পুলিশ জানিয়েছে, জেরার মুখে ভেঙে পড়ে নিজের মাকে খুনের কথা স্বীকার করেছে সন্দীপ নাথওয়ানি নামে এক সহযোগী অধ্যাপক। স্থানীয় একটি ফার্মেসি কলেজের শিক্ষক তিনি।

গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সন্দীপের মা ৬৪ বছর বয়সী জয়শ্রীবেন বেশ কিছু দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। তার মৃত্যুর পরে নাথওয়ানি পরিবার দাবি করে, দীর্ঘদিন ধরে অসুখে ভুগছিলেন বৃদ্ধা। ছাদে উঠে টাল সামলাতে না পেরে পড়ে যান কিংবা আত্মহত্যাও করে থাকতে পারেন।

কিন্তু এক বেনামি চিঠিতে তদন্তের মোর ঘুরে যায়। চিঠিতে নাথওয়ানিদের বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পরামর্শ দেয়া হয়। এলাকার ডিসিপি করঞ্জরাজ বাঘেলা জানিয়েছেন, সিসিটিভির ফুটেজ থেকে দেখা গেছে, সন্দীপই ধরে ধরে মাকে ছাদে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সে নেমে এসেছিল একা।

কিছু পরেই এক জন ছুটে এসে তাকে বৃদ্ধার পড়ে যাওয়ার খবর দেন। সন্দীপ এমন ভান করছেন যেন কিছুই জানত না সে। পরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে দুর্ঘটনা অথবা মা নিজেই আত্মহত্যা করে থাকতে পারে বলে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়।

অসুস্থ মাকে ছাদ থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে হত্যা

প্রকাশিত : ০২:৪৫:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জানুয়ারী ২০১৮

ভারতের রাজকোটে নিজের অসুস্থ মাকে ছাদ থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছিল তার পাষণ্ড ছেলে সন্দীপ নাথওয়ানি (৩৬)। পরে মায়ের মৃত্যুকে দুর্ঘটনা বা আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টাও করেছিলেন। খবর এনডিটিভি।

রাজকোট পুলিশ জানিয়েছে, জেরার মুখে ভেঙে পড়ে নিজের মাকে খুনের কথা স্বীকার করেছে সন্দীপ নাথওয়ানি নামে এক সহযোগী অধ্যাপক। স্থানীয় একটি ফার্মেসি কলেজের শিক্ষক তিনি।

গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সন্দীপের মা ৬৪ বছর বয়সী জয়শ্রীবেন বেশ কিছু দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। তার মৃত্যুর পরে নাথওয়ানি পরিবার দাবি করে, দীর্ঘদিন ধরে অসুখে ভুগছিলেন বৃদ্ধা। ছাদে উঠে টাল সামলাতে না পেরে পড়ে যান কিংবা আত্মহত্যাও করে থাকতে পারেন।

কিন্তু এক বেনামি চিঠিতে তদন্তের মোর ঘুরে যায়। চিঠিতে নাথওয়ানিদের বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পরামর্শ দেয়া হয়। এলাকার ডিসিপি করঞ্জরাজ বাঘেলা জানিয়েছেন, সিসিটিভির ফুটেজ থেকে দেখা গেছে, সন্দীপই ধরে ধরে মাকে ছাদে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সে নেমে এসেছিল একা।

কিছু পরেই এক জন ছুটে এসে তাকে বৃদ্ধার পড়ে যাওয়ার খবর দেন। সন্দীপ এমন ভান করছেন যেন কিছুই জানত না সে। পরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে দুর্ঘটনা অথবা মা নিজেই আত্মহত্যা করে থাকতে পারে বলে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়।