০২:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

অভিনেত্রীকে অশ্লীল ইঙ্গিত দেয়ায় ট্যাক্সিচালক আটক

রাস্তাঘাটে মেয়েদের নানারকম হয়রানির শিকার হতে হয়। এসব ঘটনা নতুন নয়। নানারকম উদ্যোগ ও সচেতনতার ব্যবস্থা করা হলেও ঘরের বাইরে মেয়েদের নির্যাতন কমছে না। বরং বাড়ছে। সম্প্রতি কলকাতার অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর মতো প্রভাবশালী নারীও হয়রানির শিকার হলেন।

এক ট্যাক্সিচালক তাকে কটূক্তি করে বসে রাস্তায়। সাংসদ মিমিও দমে যাননি। সঙ্গে সঙ্গে সেই চালককে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন। ঘটনাটি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত মিমি জিম থেকে বাড়ি ফেরার সময়। ওইদিন গভীর রাতে বালিগঞ্জ এবং গড়িয়াহাটের মাঝামাঝি এলাকায় ট্রাফিক সিগনালে যখন মিমির গাড়ি দাঁড়িয়েছিল তখন একটি ট্যাক্সি তার গাড়িকে ওভারটেক করে। মিমি কাচ নামিয়েছিলেন। তখনই তিনি লক্ষ্য করেন, পাশে দাঁড়ানো ট্যাক্সিটির চালক তার দিকে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করছে।

মেজাজ হারিয়ে গাড়ি থেকে নামেন মিমি। ট্যাক্সিচালককেও টেনে নামান। ধমকে বলেন, তাকে পুলিশে দেওয়া হবে। ততক্ষণে রাস্তায় লোক জমে যায়।

এরপর মিমি যোগাযোগ করেন পুলিশের সঙ্গে। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে ঘটনা জেনে অভিযুক্ত চালকের খোঁজ শুরু করে। রাতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনাচক্রে ওইদিন মিমির দেহরক্ষী তার সঙ্গে ছিলেন না।

এ ঘটনা নিয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর মিমি পশ্চিমবঙ্গের গণমাধ্যমে বলেন, ‘সরকারি গাড়ি দেখেও যদি এক ট্যাক্সিচালক তার আরোহীকে উদ্দেশ করে প্রকাশ্যে এমন অশ্লীল ইঙ্গিত ও মন্তব্য করতে পারে, তা হলে সাধারণ মেয়েদের কী অবস্থা হতে পারে!’

পুলিশের বক্তব্য, মিমির কল পেয়ে ডিউটিরত সার্জেন্ট আধ ঘণ্টার মধ্যে ট্যাক্সিসহ চালককে আটক করেন। ওই চালকের নাম দেবা যাদব। বয়স ৩২ বছর। তাকে গ্রেফতার করা হয় বাইপাসের ধারে আনন্দপুর থানা এলাকা থেকে। তার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি, অশ্লীল ইঙ্গিত এবং কটূক্তির ধারায় গড়িয়াহাট থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এস শিকদার

জনপ্রিয়

অভিনেত্রীকে অশ্লীল ইঙ্গিত দেয়ায় ট্যাক্সিচালক আটক

প্রকাশিত : ০৫:১৭:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

রাস্তাঘাটে মেয়েদের নানারকম হয়রানির শিকার হতে হয়। এসব ঘটনা নতুন নয়। নানারকম উদ্যোগ ও সচেতনতার ব্যবস্থা করা হলেও ঘরের বাইরে মেয়েদের নির্যাতন কমছে না। বরং বাড়ছে। সম্প্রতি কলকাতার অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর মতো প্রভাবশালী নারীও হয়রানির শিকার হলেন।

এক ট্যাক্সিচালক তাকে কটূক্তি করে বসে রাস্তায়। সাংসদ মিমিও দমে যাননি। সঙ্গে সঙ্গে সেই চালককে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন। ঘটনাটি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত মিমি জিম থেকে বাড়ি ফেরার সময়। ওইদিন গভীর রাতে বালিগঞ্জ এবং গড়িয়াহাটের মাঝামাঝি এলাকায় ট্রাফিক সিগনালে যখন মিমির গাড়ি দাঁড়িয়েছিল তখন একটি ট্যাক্সি তার গাড়িকে ওভারটেক করে। মিমি কাচ নামিয়েছিলেন। তখনই তিনি লক্ষ্য করেন, পাশে দাঁড়ানো ট্যাক্সিটির চালক তার দিকে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করছে।

মেজাজ হারিয়ে গাড়ি থেকে নামেন মিমি। ট্যাক্সিচালককেও টেনে নামান। ধমকে বলেন, তাকে পুলিশে দেওয়া হবে। ততক্ষণে রাস্তায় লোক জমে যায়।

এরপর মিমি যোগাযোগ করেন পুলিশের সঙ্গে। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে ঘটনা জেনে অভিযুক্ত চালকের খোঁজ শুরু করে। রাতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনাচক্রে ওইদিন মিমির দেহরক্ষী তার সঙ্গে ছিলেন না।

এ ঘটনা নিয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর মিমি পশ্চিমবঙ্গের গণমাধ্যমে বলেন, ‘সরকারি গাড়ি দেখেও যদি এক ট্যাক্সিচালক তার আরোহীকে উদ্দেশ করে প্রকাশ্যে এমন অশ্লীল ইঙ্গিত ও মন্তব্য করতে পারে, তা হলে সাধারণ মেয়েদের কী অবস্থা হতে পারে!’

পুলিশের বক্তব্য, মিমির কল পেয়ে ডিউটিরত সার্জেন্ট আধ ঘণ্টার মধ্যে ট্যাক্সিসহ চালককে আটক করেন। ওই চালকের নাম দেবা যাদব। বয়স ৩২ বছর। তাকে গ্রেফতার করা হয় বাইপাসের ধারে আনন্দপুর থানা এলাকা থেকে। তার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি, অশ্লীল ইঙ্গিত এবং কটূক্তির ধারায় গড়িয়াহাট থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এস শিকদার