০২:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪

প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় জলাধার বাড়ানোর তাগিদ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় নতুন জলাধার সৃষ্টি এবং বিদ্যমান জলাধারগুলোর পানি ধারণ ক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে কয়েকটি উন্নয়ন কাজ উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি।

ভিডিও কনফারেন্সিং প্রধানমন্ত্রী পানি ভবন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্মুখে নির্মিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল, বিমানবন্দরের অভ্যন্তরের বঙ্গবন্ধু কর্নার, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের নবনির্মিত প্রধান কার্যালয় পর্যটন ভবন এবং সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পের (প্রথম পর্যায়) নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে যত খাল, বিল, হাওড়, পুকুর, নদী যা আছে সবগুলোর যাতে নাব্যতা থাকে, সেগুলো খনন করা, সেখানে পানি ধারণ ক্ষমতা বাড়ানো। তাতে দুটি কাজ হবে। একটা হচ্ছে আমাদের জীববৈচিত্র্য রক্ষা হবে, প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা হবে আবার মৎস্য উৎপাদন বাড়বে। মানুষের চাহিদাটাও আমরা পূরণ করতে পারব।’

জলাধার বাড়ানোর পাশাপাশি মানুষের পানির চাহিদা মেটাতে সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যে পানির জন্য এক সময় হাহাকার ছিল সেই হাহাকারটা বন্ধ হয়। আমাদের লক্ষ্য আমাদের দেশের মানুষকে সুপেয় পানি দিতে হবে।’

‘ভূ-গর্ভস্থ পানির পরিবর্তে ভূ-উপরস্থ পানির ব্যবহার নিশ্চিতে বিশেষ দৃষ্টি দেয়া হচ্ছে’ বলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের ভূ-উপরস্থ পানি ব্যবহার করতে হবে। আমাদের সেচের পানি বা ব্যবহারের পানি যেন ভূ-গর্ভস্থ পানির পরিবর্তে আমরা ভূ-উপরস্থ পানি ব্যবহার করতে পারি সেদিকে আমরা বিশেষ দৃষ্টি দেই।’

গবেষণায় গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গবেষণা ছাড়া কোনো কাজেই উৎকর্ষতা সম্ভব না।’

দেশের প্রতিটি নদী ড্রেজিং করার পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানানোর পাশাপাশি নৌপথগুলো ড্রেজিং করে চালু করতে নেয়া উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে গণভবন প্রান্তে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।

এছাড়াও পানি ভবন মিলনায়তন প্রান্তে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার এবং সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রান্ত থেকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ প্রান্ত

নরসিংদীতে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উদ্যোগে বিভিন্ন রোগীদের মাঝে কোটি টাকার চেক বিতরণ

প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় জলাধার বাড়ানোর তাগিদ

প্রকাশিত : ০৩:২৭:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর ২০২০

জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় নতুন জলাধার সৃষ্টি এবং বিদ্যমান জলাধারগুলোর পানি ধারণ ক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে কয়েকটি উন্নয়ন কাজ উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি।

ভিডিও কনফারেন্সিং প্রধানমন্ত্রী পানি ভবন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্মুখে নির্মিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল, বিমানবন্দরের অভ্যন্তরের বঙ্গবন্ধু কর্নার, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের নবনির্মিত প্রধান কার্যালয় পর্যটন ভবন এবং সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পের (প্রথম পর্যায়) নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে যত খাল, বিল, হাওড়, পুকুর, নদী যা আছে সবগুলোর যাতে নাব্যতা থাকে, সেগুলো খনন করা, সেখানে পানি ধারণ ক্ষমতা বাড়ানো। তাতে দুটি কাজ হবে। একটা হচ্ছে আমাদের জীববৈচিত্র্য রক্ষা হবে, প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা হবে আবার মৎস্য উৎপাদন বাড়বে। মানুষের চাহিদাটাও আমরা পূরণ করতে পারব।’

জলাধার বাড়ানোর পাশাপাশি মানুষের পানির চাহিদা মেটাতে সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যে পানির জন্য এক সময় হাহাকার ছিল সেই হাহাকারটা বন্ধ হয়। আমাদের লক্ষ্য আমাদের দেশের মানুষকে সুপেয় পানি দিতে হবে।’

‘ভূ-গর্ভস্থ পানির পরিবর্তে ভূ-উপরস্থ পানির ব্যবহার নিশ্চিতে বিশেষ দৃষ্টি দেয়া হচ্ছে’ বলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের ভূ-উপরস্থ পানি ব্যবহার করতে হবে। আমাদের সেচের পানি বা ব্যবহারের পানি যেন ভূ-গর্ভস্থ পানির পরিবর্তে আমরা ভূ-উপরস্থ পানি ব্যবহার করতে পারি সেদিকে আমরা বিশেষ দৃষ্টি দেই।’

গবেষণায় গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গবেষণা ছাড়া কোনো কাজেই উৎকর্ষতা সম্ভব না।’

দেশের প্রতিটি নদী ড্রেজিং করার পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানানোর পাশাপাশি নৌপথগুলো ড্রেজিং করে চালু করতে নেয়া উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে গণভবন প্রান্তে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।

এছাড়াও পানি ভবন মিলনায়তন প্রান্তে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার এবং সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রান্ত থেকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ প্রান্ত