প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘করোনাকালে সঠিক পদক্ষেপের কারণে সরকার অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে সক্ষম হয়েছে।’ নগদ সহায়তা ও প্রণোদনাসহ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা খুব সময়মতো পদক্ষেপ নিয়েছিলাম।’
মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নিয়ে সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা খুব সময়মতো পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। কত টাকা আছে, কী আছে সেটা চিন্তা করিনি। এটাই চিন্তা করেছি, এই দুঃসময়ে আমাদের অর্থনীতির চাকাটাকে যদি গতিশীল রাখতে হয় তাহলে অবশ্যই সেখানে আমাদের পৌঁছাতে হবে। মানুষের হাতে টাকা পৌঁছে দিতে হবে। আর সাধারণ মানুষ যারা, আসলে কোনও কাজ না থাকলে তাদের তো জীবনটা চালানোই মুশকিল। তাদেরও নগদ অর্থ সাহায্য করা বা বিভিন্ন সেক্টরে যে আমরা টাকা পাঠিয়েছি সেগুলোও কিন্তু খুব কাজে লেগেছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কৃষিতে আমরা সরাসরি দিলাম, আবার শিল্পসহ অন্যান্য সেক্টরগুলোর জন্য আমরা আলাদাভাবে টাকা দিয়েছি। ভাগে ভাগে, যেমন ক্ষুদ্র ও মাঝারির জন্য আলাদা, বৃহৎ শিল্পের জন্য আলাদা, এ রকম প্রত্যেকটা সেক্টরের জন্য আমরা ভাগ ভাগ করে দেওয়ার পরে, গার্মেন্টস সেক্টরের জন্য আলাদা করে আমরা বিশেষভাবে দিলাম। এই দেওয়ার কারণেই অর্থনীতিটাকে গতিশীল রাখতে সক্ষম হয়েছি।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আমরা যে প্রণোদনাটা দিয়েছি, এই প্রণোদনাটা যখনই এরা নিতে শুরু করেছে তখনই কিন্তু তারা আবার ব্যবসায় ফিরে আসতে পারছে। এমন কোনও সেক্টর নাই যাদের আমরা সাহায্য দেইনি।’
তিনি বলেন, ‘বিত্তশালী-বড় লোক, তাদের সেভাবে আমরা দেইনি। সব ধরনের যারা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তাদের কাছে পৌঁছাতে পেরেছি। সময়মতো আমরা যে টাকাটা দিলাম, নগদ এবং প্রণোদনা দিলাম, এটাতেই কিন্তু ব্যবসাটাকে ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। যারা লেবার তাদেরও কাজ করার আগ্রহ ছিল, তারাও কাজ করছে।’
কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষিকে গুরুত্ব দিতে হবে এই কারণে যে কৃষি আমাদের ধরে রাখতে হবে এবং খাদ্য উৎপাদনটা বাড়াতে হবে। মানুষের যাতে খাবারে কষ্ট না হয়। বিভিন্ন সংকটে খাবার থাকলে অন্য সংকট মোকাবিলা সহজ হয়।’
বিজনেস বাংলাদেশ/ প্রান্ত
























