১১:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

হাওর অঞ্চলের মানুষের দুর্দশা লাঘব হবে

সৌন্দর্যের লীলাভূমি কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়কের ফলে লাখো মানুষ উপকৃত হবে এবং এতে হাওর অঞ্চলের মানুষের দুর্দশা অনেকটা লাঘব হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার সকালে অলওয়েদার সড়কের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি। ঢাকার গণভবন থেকে মিঠামইনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মিলনায়তনে যুক্ত হন তিনি।

দেশের কোনো অঞ্চলের মানুষ অনুন্নত থাকবে না জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাও ভালো হবে। হাওর এলাকায় কৃষিভিত্তিক শিল্প কারখানা গড়ে তুলতে চায় সরকার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রপতির আগ্রহে তৈরি হয়েছে ৩০ কিলোমিটারের ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক। যাতে লাখো মানুষ উপকৃত হবে। সড়কটির ফলে হাওর অঞ্চলের মানুষের দুর্দশা অনেকটা লাঘব হবে।

উদ্বোধন ঘোষণার পর ভিডিওতে হাওরের বিস্ময় ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম অলওয়েদার সড়কের ভিডিও চিত্র দেখানো হয়। এসময় সড়ক দেখতে যেতে নিজের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন সরকারপ্রধান বলেন, আমার মনটা পড়ে থাকলো। এ সড়ক দিয়ে গাড়িতে কবে যাবো। রাষ্ট্রপতিও চান আমি যেন সরাসরি যাই। আমি যাবো। করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হলে এ সড়ক দেখতে যাবো।

অনুষ্ঠানে মিঠামইন প্রান্তে স্থানীয় সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরীসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

গত অর্থবছরে ৮৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে হাওরের মাঝ দিয়ে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রাস্তা নির্মাণ করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। অল ওয়েদার সড়কের মাধ্যমে পর্যটনের অপার সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচিত হয়েছে। হাওরের এই বিস্ময় উপভোগ করতে প্রায় প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক সমাগম হচ্ছে। স্থানীয়দের কথায়, দৃষ্টিনন্দন রাস্তাটির সুবাদে জীববৈচিত্র্যে পরিপূর্ণ হাওরের সৌন্দর্য বেড়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আসলামের মামলা প্রত্যাহারের দাবি

হাওর অঞ্চলের মানুষের দুর্দশা লাঘব হবে

প্রকাশিত : ০৪:০৯:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর ২০২০

সৌন্দর্যের লীলাভূমি কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়কের ফলে লাখো মানুষ উপকৃত হবে এবং এতে হাওর অঞ্চলের মানুষের দুর্দশা অনেকটা লাঘব হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার সকালে অলওয়েদার সড়কের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি। ঢাকার গণভবন থেকে মিঠামইনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মিলনায়তনে যুক্ত হন তিনি।

দেশের কোনো অঞ্চলের মানুষ অনুন্নত থাকবে না জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাও ভালো হবে। হাওর এলাকায় কৃষিভিত্তিক শিল্প কারখানা গড়ে তুলতে চায় সরকার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রপতির আগ্রহে তৈরি হয়েছে ৩০ কিলোমিটারের ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক। যাতে লাখো মানুষ উপকৃত হবে। সড়কটির ফলে হাওর অঞ্চলের মানুষের দুর্দশা অনেকটা লাঘব হবে।

উদ্বোধন ঘোষণার পর ভিডিওতে হাওরের বিস্ময় ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম অলওয়েদার সড়কের ভিডিও চিত্র দেখানো হয়। এসময় সড়ক দেখতে যেতে নিজের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন সরকারপ্রধান বলেন, আমার মনটা পড়ে থাকলো। এ সড়ক দিয়ে গাড়িতে কবে যাবো। রাষ্ট্রপতিও চান আমি যেন সরাসরি যাই। আমি যাবো। করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হলে এ সড়ক দেখতে যাবো।

অনুষ্ঠানে মিঠামইন প্রান্তে স্থানীয় সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরীসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

গত অর্থবছরে ৮৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে হাওরের মাঝ দিয়ে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রাস্তা নির্মাণ করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। অল ওয়েদার সড়কের মাধ্যমে পর্যটনের অপার সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচিত হয়েছে। হাওরের এই বিস্ময় উপভোগ করতে প্রায় প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক সমাগম হচ্ছে। স্থানীয়দের কথায়, দৃষ্টিনন্দন রাস্তাটির সুবাদে জীববৈচিত্র্যে পরিপূর্ণ হাওরের সৌন্দর্য বেড়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর