বাংলাদেশে ধর্ষণ-নারী নিপীড়নের ঘটনা কমাতে চাইলে সবার আগে নারীর প্রতি মানসিকতার পরিবর্তন আনার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন। কাঙ্ক্ষিত ওই সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য ঘরের মধ্যে ছোটবেলা থেকেই ছেলে ও মেয়ে শিশুদের সমান অধিকার ও সম্মান দিয়ে বড় করার পরামর্শ দিয়েছেন। একটি মেয়ে শিশু যেন ছেলের মতো সাহস, তেজ নিয়ে চলতে পারে সেই শিক্ষা ও মর্যাদাবোধ তার মধ্যে তৈরি করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি।
বুধবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের গবেষণা সেল সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই), জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (এনএইচআরসি) যৌথ উদ্যোগে শুরু হওয়া ‘পাবলিক প্লেসে নারীর নিরাপত্তা’ বিষয়ক সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন।
সায়মা ওয়াজেদ বলেন, আমরা মেয়েরা কেন অস্বস্তিতে থাকবো? আমরা কেন ভয়ে থাকবো? আমরা কেন গা-টা ঢেকে এভাবে চলতে হবে, না হলে আমাদের দোষ দেয়া হবে? আমাদের ছোটবেলা থেকে ভয় দিয়ে কেন বড় হতে হবে? আমরা সাহস নিয়ে কেন চলতে পারবো না?
আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ বলেন, হ্যা, সেলফ প্রটেকশন স্কিলস জানা উচিত, অফকোর্স। কিন্তু আমাদের কেন এভাবে থাকতে হবে? কেন আমরা জেন্ডার আইডেন্টিটি নিয়ে চলব? আমরা মেয়ে বলে কেন ভয়ে চলতে হবে? এক্সট্রা কেয়ারফুলি চলতে হবে, অন্যভাবে চলতে হবে? আমাদের যেটা মনে চায়, যেটা ইচ্ছা, যেটা আমরা করতে পারি, সেটা কেন আমরা করতে পারবো না?
নিপীড়নমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে আন্তরিক হওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন সায়মা ওয়াজেদ। তিনি বলেন, আমাদের দেশকে যেন আমরা এমন একটা জায়গায় নিয়ে যেতে চাই যেখানে কোনও মেয়ে হয়রানির শিকার হবে না। কোনও মেয়ের অশ্রদ্ধাও হবে না। আমরা যেন সম্মানের সাথে এগিয়ে যেতে পারি। যে যেটার স্বপ্ন দেখছি, যেটা করতে চাচ্ছি মন খুলে যেন এটা করতে পারি।
উল্লেখ্য, সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) ট্রাস্টি ও কো-চেয়ারম্যান সায়মা ওয়াজেদ এখন ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) দূতের ভূমিকায় আছেন। তাকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও’র মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা প্যানেলের সদস্যও করা হয়েছিল।
বিজনেস বাংলাদেশ/ এস শিকদার


























