০২:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে সু চির প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের

Rohingya refugees walk on the muddy path after crossing the Bangladesh-Myanmar border in Teknaf, Bangladesh, September 3, 2017. REUTERS/Mohammad Ponir Hossain

মিয়ানমারের সংখ্যালঘু মুসলিম জাতিগোষ্ঠ রোহিঙ্গাসহ অন্যান্য শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবসনের জন্য দেশটির সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র্র।

ইউএনবি জানায়, মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির সঙ্গে কথা বলার সময় যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ঘটনা বিষয়ক মার্কিন আন্ডার-সেক্রেটারি ডেভিড হেল বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন।

মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সংস্কার ও মানবিক প্রচেষ্টা এবং নভেম্বরে দেশটিতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বাসযোগ্য, স্বচ্ছ জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের বিষয়টি সু চিকে পূর্ণব্যক্ত করেন আন্ডার সেক্রেটারি হেল।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মরগান অর্টাগাস মঙ্গলবার বলেন, ‘ডেভিড হেল রোহিঙ্গা, অন্যান্য শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবসনের জন্য মিয়ানমারের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।’

এর আগে, ঢাকায় সফরে মার্কিন উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন ই বিগান রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের বিষয়টি জানান।

যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের সকল প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর কাছ থেকে ‘বিস্তৃত এবং ঐক্যবদ্ধ কণ্ঠে’ সমন্বিত ভূমিকা চায়, যাতে রোহিঙ্গারা আবারও নির্বাসিত হওয়ার কোনো ভয় ছাড়াই তাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস ফিরে পায়।

সাংবাদিকের সঙ্গে এক গোলটেবিল আলোচনায় বিগান বলেন, ‘আমাদের মিয়ানমারের প্রতিবেশী সবাইকেই প্রয়োজন।’

তিনি স্পষ্ট জানান যে, উদারতা দেখালেও এটি বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব (রোহিঙ্গাদের আশ্রয়) নয়।

২০১৭ সালে রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও স্থানীয় উগ্রবাদী বৌদ্ধ সম্প্রদায় দ্বারা বড় ধরনের গণহত্যার শিকার হয় রোহিঙ্গা মুসলিমরা। সেসময় প্রাণ বাঁচাতে সাড়ে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। রোহিঙ্গাদের গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলাও চলমান আছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ ইএম

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে সু চির প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের

প্রকাশিত : ০৮:২৫:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অক্টোবর ২০২০

মিয়ানমারের সংখ্যালঘু মুসলিম জাতিগোষ্ঠ রোহিঙ্গাসহ অন্যান্য শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবসনের জন্য দেশটির সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র্র।

ইউএনবি জানায়, মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির সঙ্গে কথা বলার সময় যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ঘটনা বিষয়ক মার্কিন আন্ডার-সেক্রেটারি ডেভিড হেল বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন।

মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সংস্কার ও মানবিক প্রচেষ্টা এবং নভেম্বরে দেশটিতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বাসযোগ্য, স্বচ্ছ জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের বিষয়টি সু চিকে পূর্ণব্যক্ত করেন আন্ডার সেক্রেটারি হেল।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মরগান অর্টাগাস মঙ্গলবার বলেন, ‘ডেভিড হেল রোহিঙ্গা, অন্যান্য শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবসনের জন্য মিয়ানমারের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।’

এর আগে, ঢাকায় সফরে মার্কিন উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন ই বিগান রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের বিষয়টি জানান।

যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের সকল প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর কাছ থেকে ‘বিস্তৃত এবং ঐক্যবদ্ধ কণ্ঠে’ সমন্বিত ভূমিকা চায়, যাতে রোহিঙ্গারা আবারও নির্বাসিত হওয়ার কোনো ভয় ছাড়াই তাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস ফিরে পায়।

সাংবাদিকের সঙ্গে এক গোলটেবিল আলোচনায় বিগান বলেন, ‘আমাদের মিয়ানমারের প্রতিবেশী সবাইকেই প্রয়োজন।’

তিনি স্পষ্ট জানান যে, উদারতা দেখালেও এটি বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব (রোহিঙ্গাদের আশ্রয়) নয়।

২০১৭ সালে রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও স্থানীয় উগ্রবাদী বৌদ্ধ সম্প্রদায় দ্বারা বড় ধরনের গণহত্যার শিকার হয় রোহিঙ্গা মুসলিমরা। সেসময় প্রাণ বাঁচাতে সাড়ে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। রোহিঙ্গাদের গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলাও চলমান আছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ ইএম