নিজস্ব প্রতিবেদক 
বিস্ফোরক দ্রব্য পরিবহনে অধিক সচেতন হওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। একই সঙ্গে এসব দ্রব্য রক্ষণাবেক্ষণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাগুলোকে একটি ছাতার নিচে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দেশের সমুদ্রবন্দর-স্থলবন্দরগুলোর দাহ্য, বিস্ফোরক, বিপজ্জনক দ্রব্যাদি নিরাপদ পরিবহন, হ্যান্ডলিং ও রক্ষণাবেক্ষণে সতকর্তামূলক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, একটি ছাতার নিচে এসে সব সমস্যা চিহ্নিত করে সেগুলো সমাধান করতে হবে। দেশের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য দাহ্য, বিস্ফোরক ও বিপজ্জনক পণ্য পরিবহনে অধিক সচেতন হতে হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দেশ পরিচালনা করছেন। তিনি একটি ছাতার নিচে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
বৈঠকে জানানো হয়, চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃক নিলামের জন্য চট্টগ্রাম বন্দরে ১৬৩ মেট্রিক টন দাহ্য, বিস্ফোরক ও বিপজ্জনক দ্রব্য রয়েছে। এছাড়া ৫৩৫ মেট্রিক টন দাহ্য, বিস্ফোরক ও বিপজ্জনক পণ্য চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন শেডে সংরক্ষিত আছে।
গত ২০ সেপ্টেম্বর মোংলা বন্দরে ৭ কেজির বেশি বিপজ্জনক পণ্য খালাস করা হয়েছে। এখন বন্দরে কোনো বিপজ্জনক পণ্য সংরক্ষিত নেই। বৈঠকে বন্দরগুলোতে সার্বিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে নির্দেশনা দেয়া হয়।
এছাড়াও দাহ্য, বিস্ফোরক ও বিপজ্জনক দ্রব্য হ্যান্ডলিং ও সংরক্ষণে মহড়ার ব্যবস্থা গ্রহণ এবং এসব দ্রব্য সংরক্ষণের জন্য পৃথক শেড নির্মাণে মোংলা ও পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বিজনেস বাংলাদেশ/ প্রান্ত
