০২:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শীতে শিশুর জ্বর আসলে যা করা প্রয়োজন

শীতে শিশুর যত্ন: একটু একটু করে ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে। কিছুদিন পরেই পরিপূর্ণ শীতের দেখা মিলবে। তবে দুপুরে রোদ বেশি থাকায় গরম লাগছে। রাতে আবার ঠান্ডা। ঘরের সব দরজা জানালা বন্ধ করে রাখলেও মুক্তি নাই। সময় পরিবর্তন হচ্ছে বলে শরীর খারাপ হলে বড়রা কাবু হয়ে পড়ছেন, ছোটদের কষ্ট আরও বেশি। বাচ্চাদের খুব তাড়াতাড়ি জ্বর, সর্দি হবার সম্ভাবনা আছে।
এই মৌসুমে বাচ্চাকে সুস্থ রাখতে যা করবেন-

যদি বাচ্চার জ্বর আসে: বাচ্চারা হঠাৎ করে এই তাপমাত্রার পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে না। তাই ঠান্ডা লেগে জ্বর সর্দি হতেই পারে। সাধারণ কিছু হলে দিন সাতেকের মধ্যে সেরে যাবে। এভাবেই বাচ্চাদের দেহে তৈরি হয় ইমিউনিটি। যদি সর্দি-কাশির সঙ্গে শ্বাসকষ্ট থাকে, বা কাশি অন্যরকম মনে হয় তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

কী ওষুধ দেবেন: বাড়িতে সবসময় নেজাল ড্রপ, ক্যালফল, প্যারাসিটামলের মতো ওষুধ রাখুন। এছাড়াও বাচ্চাদের বমির ওষুধ, গ্যাসের ওষুধ এসবও রাখুন। বাচ্চাদের নাক বন্ধ হয়ে গেলে খুব কষ্ট হয়। তাই সমস্যা হচ্ছে বুঝলেই নেজাল ড্রপ দিন। জ্বর কমানোর ওষুধ দিন। ঠান্ডা লাগলে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তখন চট করে অন্য ব্যাকটেরিয়াও আক্রমণ করতে পারে। তাই অসুবিধা বুঝলে সবসময় চিকিৎসকের কাছে যান।

যেভাবে বাচ্চার যত্ন নেবেন: হাঁচি কাশি হলে বাচ্চাকে মানকি টুপি থেকে মোজা পরিয়ে দেবেন না। এতে গরম লেগে ঘাম জমতেই পারে। বাচ্চার শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়। তাই আরামদায়ক পোশাক পরিয়ে রাখুন। ঘরের দরজা-জানলা বন্ধ করে রাখবেন না। বরং আলো-বাতাস প্রবেশ করতে দিন। প্রতিদিন উষ্ণ পানিতে গোসল করুন। ঠান্ডা কিংবা গরম পানিতে গোসল করাবেন না।

বাচ্চার জ্বর ১০২ এর ওপরে উঠলেই ঠান্ডা পানিতে গোসল করিয়ে দিন। কিংবা পানি পট্টি দিন। সর্দি-কাশি হলে বাচ্চারও গলা ব্যথা হয়। এছাড়াও মুখের স্বাদ চলে যায়। তাই ফলের রস, চিকেন স্যুপ, ডালের পানি, সবজির স্যুপ এসব খাওয়ান। আলু সেদ্ধ করে সামান্য লবণ-মাখন দিয়ে মেখে ভাতের সঙ্গে খাওয়াতে পারেন। সেই সঙ্গে প্রচুর পানি খাওয়াবেন। প্রয়োজনে ডাবের পানিও দিন। সর্দি হলে জোর করে দুধ না খাওয়ানোই ভালো। পরিবর্তে সুজি, সাবু এসব দিন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

শীতে শিশুর জ্বর আসলে যা করা প্রয়োজন

প্রকাশিত : ০১:১৫:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ নভেম্বর ২০২০

শীতে শিশুর যত্ন: একটু একটু করে ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে। কিছুদিন পরেই পরিপূর্ণ শীতের দেখা মিলবে। তবে দুপুরে রোদ বেশি থাকায় গরম লাগছে। রাতে আবার ঠান্ডা। ঘরের সব দরজা জানালা বন্ধ করে রাখলেও মুক্তি নাই। সময় পরিবর্তন হচ্ছে বলে শরীর খারাপ হলে বড়রা কাবু হয়ে পড়ছেন, ছোটদের কষ্ট আরও বেশি। বাচ্চাদের খুব তাড়াতাড়ি জ্বর, সর্দি হবার সম্ভাবনা আছে।
এই মৌসুমে বাচ্চাকে সুস্থ রাখতে যা করবেন-

যদি বাচ্চার জ্বর আসে: বাচ্চারা হঠাৎ করে এই তাপমাত্রার পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে না। তাই ঠান্ডা লেগে জ্বর সর্দি হতেই পারে। সাধারণ কিছু হলে দিন সাতেকের মধ্যে সেরে যাবে। এভাবেই বাচ্চাদের দেহে তৈরি হয় ইমিউনিটি। যদি সর্দি-কাশির সঙ্গে শ্বাসকষ্ট থাকে, বা কাশি অন্যরকম মনে হয় তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

কী ওষুধ দেবেন: বাড়িতে সবসময় নেজাল ড্রপ, ক্যালফল, প্যারাসিটামলের মতো ওষুধ রাখুন। এছাড়াও বাচ্চাদের বমির ওষুধ, গ্যাসের ওষুধ এসবও রাখুন। বাচ্চাদের নাক বন্ধ হয়ে গেলে খুব কষ্ট হয়। তাই সমস্যা হচ্ছে বুঝলেই নেজাল ড্রপ দিন। জ্বর কমানোর ওষুধ দিন। ঠান্ডা লাগলে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তখন চট করে অন্য ব্যাকটেরিয়াও আক্রমণ করতে পারে। তাই অসুবিধা বুঝলে সবসময় চিকিৎসকের কাছে যান।

যেভাবে বাচ্চার যত্ন নেবেন: হাঁচি কাশি হলে বাচ্চাকে মানকি টুপি থেকে মোজা পরিয়ে দেবেন না। এতে গরম লেগে ঘাম জমতেই পারে। বাচ্চার শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়। তাই আরামদায়ক পোশাক পরিয়ে রাখুন। ঘরের দরজা-জানলা বন্ধ করে রাখবেন না। বরং আলো-বাতাস প্রবেশ করতে দিন। প্রতিদিন উষ্ণ পানিতে গোসল করুন। ঠান্ডা কিংবা গরম পানিতে গোসল করাবেন না।

বাচ্চার জ্বর ১০২ এর ওপরে উঠলেই ঠান্ডা পানিতে গোসল করিয়ে দিন। কিংবা পানি পট্টি দিন। সর্দি-কাশি হলে বাচ্চারও গলা ব্যথা হয়। এছাড়াও মুখের স্বাদ চলে যায়। তাই ফলের রস, চিকেন স্যুপ, ডালের পানি, সবজির স্যুপ এসব খাওয়ান। আলু সেদ্ধ করে সামান্য লবণ-মাখন দিয়ে মেখে ভাতের সঙ্গে খাওয়াতে পারেন। সেই সঙ্গে প্রচুর পানি খাওয়াবেন। প্রয়োজনে ডাবের পানিও দিন। সর্দি হলে জোর করে দুধ না খাওয়ানোই ভালো। পরিবর্তে সুজি, সাবু এসব দিন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর