০৬:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪

বাইডেনের জীবনের যত বিচিত্র অধ্যায়

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জো বাইডেন। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো ক্ষমতা গ্রহণ করেননি তিনি।

সাধারণ একটি পরিবার থেকে উঠে এসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়া- বাইডেনের দীর্ঘ লালিত স্বপ্নের এই পথ মসৃণ ছিল না। অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। হাল না ছেড়ে লেগে থাকার মধ্য দিয়ে পূরণ হতে যাচ্ছে তার স্বপ্ন।

বাইডেনকে নিয়ে দ্য পলেটিকো একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন। এতে তার জীবনের বৈচিত্রময় বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।

আর্থিক অনটনের মধ্য দিয়ে বড় হন বাইডেন

১৯৪২ সালের ২০ নভেম্বর পেনসিলভানিয়ার স্ক্রানটনে জন্মগ্রহণ করেন বাইডেন। তিনি বসবাস করেন ডেলাওয়ার অঙ্গরাজ্যের উইলমিনটনে। তার পিতার নাম জোসেফ রবিনেট বাইডেন সিনিয়র।

বাইডনের জন্মের আগে তার বাবা ভালো একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। কিন্তু বাইডেনের জন্মের পর ব্যবসায় ধস নামে। এক পর্যায়ে তিনি চুল্লি পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে কাজ করতে বাধ্য হন।

পুরনো কার বিক্রয় কর্মী হিসেবে কাজ করেন জোসেফ রবিনেট। এ কারণে বাল্যকালে আর্থিক অনটনের মধ্য দিয়ে বড় হতে হয় বাইডেনকে।

প্রেসিডেন্ট হওয়ার ইচ্ছা প্রথম জানিয়েছিলেন শাশুড়িকে

রাজনীতির দীর্ঘ ক্যারিয়ারে প্রেসিডেন্ট হওয়ার চেষ্টা তিনি কম করেননি।প্রকাশ্যে অন্তত তিনবার তেমন ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। আর তৃতীয়বারের চেষ্টা তিনি সফল হয়েছেন।

কলেজে পড়ার সময় বসন্তের ছুটিতে বাহামায় গিয়েছিলেন জো বাইডেন। সেখানেই নেইলিয়া হান্টারের সঙ্গে দেখা। প্রথমে প্রেম ও পরে বিয়ে করেন তারা।

নেইলিয়ার মায়ের সঙ্গে যখন প্রথম দেখা করতে গিয়েছেন বাইডেন। তখন জামাতা-শাশুড়ির সম্পর্ক ধারে কাছেও যায়নি। বাইডেনকে নেইলিয়ার মা জিজ্ঞেস করেছিলেন, তুমি ভবিষ্যতে কি হতে চাও?

বাইডেন বলেছিলেন, আমি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে চাই। শাশুড়িকে দেয়া সেই কথাই রেখেছেন বাইডেন।

বাবা-মায়ের চাপে ফুটবল খেলা ছেড়েছিলেন বাইডেন

আইনজীবী পেশা ছেড়ে রাজনীতিতে অংশ নেয়ার পরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে কনিষ্ঠ সিনেট সদস্য নির্বাচিত হন বাইডেন।

শুধু তাই নয়, জো বাইডেন একজন ভালোমানের অ্যাথলেটও ছিলেন। স্কুল ফুটবলে ডেলাওয়্যার রাজ্যের এক দুর্দান্ত খেলোয়াড় ছিলেন।

জো বাইডেন ছোটবেলা থেকেই তোঁতলিয়ে কথা বলতেন। তিনি নিজের আত্মবিশ্বাস অর্জনের জন্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়্যার ক্লেমন্টে অবস্থিত আর্কমিয়ার একাডেমিতে যোগ দিয়েছিলেন।

২০০৭ সালে স্মৃতিচারণ করে বাইডেন বলেছেন, ছোট বয়সে আমি ফুটবলে যতটা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম ততটা আত্মবিশ্বাস আমি কথা বলায় পেতাম না।

খেলাধুলা আমার কাছে যেমন স্বাভাবিক ছিল তেমনি কথা বলায় ছিল অস্বাভাবিক এবং খেলাধুলা আমার গ্রহণযোগ্যতার টিকিট হিসেবে প্রমাণিত হয়েছিল। আমি কোনো খেলায় ভয় পাইনি।

চরম অপ্রত্যাশিত ঘটনা

১৯৭২ সালে প্রথমবারের মত মার্কিন সিনেটর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন জো বাইডেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে পঞ্চম কনিষ্ঠতম সিনেটর। কিন্তু সিনেটে নির্বাচিত হওয়ার সপ্তাহ কয়েক পর ঘটে তার জীবনে চরম অপ্রত্যাশিত ঘটনা।

ক্রিসমাসের গাছ নিয়ে গাড়িতে করে বাড়ি ফিরছিলেন তার স্ত্রী ও তিন সন্তান। ভুট্টাবাহী ট্রাক্টরের সঙ্গে সংঘর্ষে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই ১৩ বছর বয়সী কন্যা নাওমিসহ মারা যান নেইলিয়া।

গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল জো বাইডেনের দুই পুত্র বো ও হান্টারকে। হাসপাতালে বোকে যে কক্ষে রাখা হয়েছিল, সেখানেই সিনেট সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন জো বাইডেন।

ওই দুর্ঘটনার পর দেলাওয়ারের উইলমিংটনের বাড়িতে থেকেই অফিস করতে থাকেন বাইডেন। প্রতিদিন ৭৫ মিনিট ট্রেনযাত্রা করে ওয়াশিংটনে পৌঁছাতেন।

এভাবে ৩০ বছরের বেশি সময় অফিস করেছেন। ট্রেনের কর্মীদের পরিবারের সদস্য মনে করতেন, নিজ বাড়িতে দাওয়াত করেও খাইয়েছেন।

শৈশবে তোতলা ছিলেন বাইডেন

শৈশবে তোতলা ছিলেন জো বাইডেন। এক চেষ্টায় নিজের শেষ নাম বলতে পারতেন না বলে দুষ্টুমি করে বন্ধুরা তাঁকে ‘বাই-বাই’ বলেও ডাকত। তোতলামি বন্ধের চেষ্টা কম করেননি তিনি। কথা বলার আগে মনে মনে বাক্য সাজিয়ে নিতেন। মুখে নুড়িপাথর নিয়ে কথা বলার অনুশীলন করেছেন। ক্লাসে পাঠ্যবই থেকে জোরে জোরে পড়তে সমস্যা হতো বলে আগেই তা তিনি মুখস্থ করে আসতেন।

 

হোটেলের বিল পরিশোধের অর্থ ছিল না তার

কলেজে পড়ার সময় বসন্তের ছুটিতে বাহামায় গিয়েছিলেন জো বাইডেন। সেখানেই নেইলিয়া হান্টারের সঙ্গে দেখা। প্রথমে প্রণয়, পরে বিয়ে করেন তারা। দ্বিতীয় সাক্ষাতে যখন রেস্টুরেন্টে গেলেন, বিল পরিশোধের মতো অর্থ ছিল না বাইডেনের। সাহায্যের হাত বাড়ান নেইলিয়া, তবে টেবিলের নিচ দিয়ে। ২০ ডলারের একটি নোট এগিয়ে দিয়েছিলেন বাইডেনের দিকে।

বাইডেনের বাবা এক গাড়ি পরিবেশকের দোকানে কাজ করতেন। ছেলের বিয়েতে তিনি ১৯৬৭ মডেলের করভেট স্টিংরে গাড়ি উপহার দিয়েছিলেন। গাড়িটি এখনো ব্যবহার করেন জো।

 

ধূমপানে আসক্তি নেই

ধূমপান কিংবা অ্যালকোহলে আসক্তি নেই বাইডেনের। এ ধরনের বদঅভ্যাস মানুষের কাঁধে চেপে বসে বলে মনে করেন তিনি। ১৯৭০ সালে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ফুটবল, মোটরসাইকেল জাম্পিং, স্কিং—আমার কাঁধে এসবই চেপে বসেছে। তবে এগুলোর ওপর আমার কিছুটা নিয়ন্ত্রণও আছে।

 

ইরাক যুদ্ধের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন বাইডেন

২০০২ সালে ইরাক যুদ্ধের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন বাইডেন। ইরাকে সৈন্য পাঠানোর প্রস্তাবে যখন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ স্বাক্ষর করেন, বাইডেন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। অবশ্য তারপর ওই সিদ্ধান্তকে বারবার ভুল বলেছেন তিনি।

 

দীর্ঘ বক্তৃতার অভ্যাস

দীর্ঘ বক্তৃতার জন্য বাইডেনের ‘খ্যাতি’ আছে। বক্তব্যের ডালপালা কতটা যে গজায়, তা বোধ হয় তিনি নিজেও জানেন না। সিনেটে তার বক্তৃতা শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে তৎকালীন সিনেটর বারাক ওবামা একবার এক টুকরো কাগজ এগিয়ে দিয়েছিলেন সহকারীর দিকে। সেখানে লেখা ছিল ‘আমাকে মেরে ফেলো’।

 

দ্বিতীয় ক্যাথোলিক প্রেসিডেন্ট

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে জো বাইডেন হলেন দ্বিতীয় ক্যাথোলিক প্রেসিডেন্ট। প্রথমজন ছিলেন জন এফ কেনেডি।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

 

ট্যাগ :

দেশের তরুণ প্রজন্ম সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে সংহতি, সহমর্মিতা ও মানবিকতার প্রসার ঘটাবে: পলক

বাইডেনের জীবনের যত বিচিত্র অধ্যায়

প্রকাশিত : ০৯:৩৪:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ নভেম্বর ২০২০

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জো বাইডেন। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো ক্ষমতা গ্রহণ করেননি তিনি।

সাধারণ একটি পরিবার থেকে উঠে এসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়া- বাইডেনের দীর্ঘ লালিত স্বপ্নের এই পথ মসৃণ ছিল না। অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। হাল না ছেড়ে লেগে থাকার মধ্য দিয়ে পূরণ হতে যাচ্ছে তার স্বপ্ন।

বাইডেনকে নিয়ে দ্য পলেটিকো একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন। এতে তার জীবনের বৈচিত্রময় বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।

আর্থিক অনটনের মধ্য দিয়ে বড় হন বাইডেন

১৯৪২ সালের ২০ নভেম্বর পেনসিলভানিয়ার স্ক্রানটনে জন্মগ্রহণ করেন বাইডেন। তিনি বসবাস করেন ডেলাওয়ার অঙ্গরাজ্যের উইলমিনটনে। তার পিতার নাম জোসেফ রবিনেট বাইডেন সিনিয়র।

বাইডনের জন্মের আগে তার বাবা ভালো একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। কিন্তু বাইডেনের জন্মের পর ব্যবসায় ধস নামে। এক পর্যায়ে তিনি চুল্লি পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে কাজ করতে বাধ্য হন।

পুরনো কার বিক্রয় কর্মী হিসেবে কাজ করেন জোসেফ রবিনেট। এ কারণে বাল্যকালে আর্থিক অনটনের মধ্য দিয়ে বড় হতে হয় বাইডেনকে।

প্রেসিডেন্ট হওয়ার ইচ্ছা প্রথম জানিয়েছিলেন শাশুড়িকে

রাজনীতির দীর্ঘ ক্যারিয়ারে প্রেসিডেন্ট হওয়ার চেষ্টা তিনি কম করেননি।প্রকাশ্যে অন্তত তিনবার তেমন ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। আর তৃতীয়বারের চেষ্টা তিনি সফল হয়েছেন।

কলেজে পড়ার সময় বসন্তের ছুটিতে বাহামায় গিয়েছিলেন জো বাইডেন। সেখানেই নেইলিয়া হান্টারের সঙ্গে দেখা। প্রথমে প্রেম ও পরে বিয়ে করেন তারা।

নেইলিয়ার মায়ের সঙ্গে যখন প্রথম দেখা করতে গিয়েছেন বাইডেন। তখন জামাতা-শাশুড়ির সম্পর্ক ধারে কাছেও যায়নি। বাইডেনকে নেইলিয়ার মা জিজ্ঞেস করেছিলেন, তুমি ভবিষ্যতে কি হতে চাও?

বাইডেন বলেছিলেন, আমি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে চাই। শাশুড়িকে দেয়া সেই কথাই রেখেছেন বাইডেন।

বাবা-মায়ের চাপে ফুটবল খেলা ছেড়েছিলেন বাইডেন

আইনজীবী পেশা ছেড়ে রাজনীতিতে অংশ নেয়ার পরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে কনিষ্ঠ সিনেট সদস্য নির্বাচিত হন বাইডেন।

শুধু তাই নয়, জো বাইডেন একজন ভালোমানের অ্যাথলেটও ছিলেন। স্কুল ফুটবলে ডেলাওয়্যার রাজ্যের এক দুর্দান্ত খেলোয়াড় ছিলেন।

জো বাইডেন ছোটবেলা থেকেই তোঁতলিয়ে কথা বলতেন। তিনি নিজের আত্মবিশ্বাস অর্জনের জন্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়্যার ক্লেমন্টে অবস্থিত আর্কমিয়ার একাডেমিতে যোগ দিয়েছিলেন।

২০০৭ সালে স্মৃতিচারণ করে বাইডেন বলেছেন, ছোট বয়সে আমি ফুটবলে যতটা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম ততটা আত্মবিশ্বাস আমি কথা বলায় পেতাম না।

খেলাধুলা আমার কাছে যেমন স্বাভাবিক ছিল তেমনি কথা বলায় ছিল অস্বাভাবিক এবং খেলাধুলা আমার গ্রহণযোগ্যতার টিকিট হিসেবে প্রমাণিত হয়েছিল। আমি কোনো খেলায় ভয় পাইনি।

চরম অপ্রত্যাশিত ঘটনা

১৯৭২ সালে প্রথমবারের মত মার্কিন সিনেটর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন জো বাইডেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে পঞ্চম কনিষ্ঠতম সিনেটর। কিন্তু সিনেটে নির্বাচিত হওয়ার সপ্তাহ কয়েক পর ঘটে তার জীবনে চরম অপ্রত্যাশিত ঘটনা।

ক্রিসমাসের গাছ নিয়ে গাড়িতে করে বাড়ি ফিরছিলেন তার স্ত্রী ও তিন সন্তান। ভুট্টাবাহী ট্রাক্টরের সঙ্গে সংঘর্ষে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই ১৩ বছর বয়সী কন্যা নাওমিসহ মারা যান নেইলিয়া।

গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল জো বাইডেনের দুই পুত্র বো ও হান্টারকে। হাসপাতালে বোকে যে কক্ষে রাখা হয়েছিল, সেখানেই সিনেট সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন জো বাইডেন।

ওই দুর্ঘটনার পর দেলাওয়ারের উইলমিংটনের বাড়িতে থেকেই অফিস করতে থাকেন বাইডেন। প্রতিদিন ৭৫ মিনিট ট্রেনযাত্রা করে ওয়াশিংটনে পৌঁছাতেন।

এভাবে ৩০ বছরের বেশি সময় অফিস করেছেন। ট্রেনের কর্মীদের পরিবারের সদস্য মনে করতেন, নিজ বাড়িতে দাওয়াত করেও খাইয়েছেন।

শৈশবে তোতলা ছিলেন বাইডেন

শৈশবে তোতলা ছিলেন জো বাইডেন। এক চেষ্টায় নিজের শেষ নাম বলতে পারতেন না বলে দুষ্টুমি করে বন্ধুরা তাঁকে ‘বাই-বাই’ বলেও ডাকত। তোতলামি বন্ধের চেষ্টা কম করেননি তিনি। কথা বলার আগে মনে মনে বাক্য সাজিয়ে নিতেন। মুখে নুড়িপাথর নিয়ে কথা বলার অনুশীলন করেছেন। ক্লাসে পাঠ্যবই থেকে জোরে জোরে পড়তে সমস্যা হতো বলে আগেই তা তিনি মুখস্থ করে আসতেন।

 

হোটেলের বিল পরিশোধের অর্থ ছিল না তার

কলেজে পড়ার সময় বসন্তের ছুটিতে বাহামায় গিয়েছিলেন জো বাইডেন। সেখানেই নেইলিয়া হান্টারের সঙ্গে দেখা। প্রথমে প্রণয়, পরে বিয়ে করেন তারা। দ্বিতীয় সাক্ষাতে যখন রেস্টুরেন্টে গেলেন, বিল পরিশোধের মতো অর্থ ছিল না বাইডেনের। সাহায্যের হাত বাড়ান নেইলিয়া, তবে টেবিলের নিচ দিয়ে। ২০ ডলারের একটি নোট এগিয়ে দিয়েছিলেন বাইডেনের দিকে।

বাইডেনের বাবা এক গাড়ি পরিবেশকের দোকানে কাজ করতেন। ছেলের বিয়েতে তিনি ১৯৬৭ মডেলের করভেট স্টিংরে গাড়ি উপহার দিয়েছিলেন। গাড়িটি এখনো ব্যবহার করেন জো।

 

ধূমপানে আসক্তি নেই

ধূমপান কিংবা অ্যালকোহলে আসক্তি নেই বাইডেনের। এ ধরনের বদঅভ্যাস মানুষের কাঁধে চেপে বসে বলে মনে করেন তিনি। ১৯৭০ সালে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ফুটবল, মোটরসাইকেল জাম্পিং, স্কিং—আমার কাঁধে এসবই চেপে বসেছে। তবে এগুলোর ওপর আমার কিছুটা নিয়ন্ত্রণও আছে।

 

ইরাক যুদ্ধের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন বাইডেন

২০০২ সালে ইরাক যুদ্ধের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন বাইডেন। ইরাকে সৈন্য পাঠানোর প্রস্তাবে যখন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ স্বাক্ষর করেন, বাইডেন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। অবশ্য তারপর ওই সিদ্ধান্তকে বারবার ভুল বলেছেন তিনি।

 

দীর্ঘ বক্তৃতার অভ্যাস

দীর্ঘ বক্তৃতার জন্য বাইডেনের ‘খ্যাতি’ আছে। বক্তব্যের ডালপালা কতটা যে গজায়, তা বোধ হয় তিনি নিজেও জানেন না। সিনেটে তার বক্তৃতা শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে তৎকালীন সিনেটর বারাক ওবামা একবার এক টুকরো কাগজ এগিয়ে দিয়েছিলেন সহকারীর দিকে। সেখানে লেখা ছিল ‘আমাকে মেরে ফেলো’।

 

দ্বিতীয় ক্যাথোলিক প্রেসিডেন্ট

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে জো বাইডেন হলেন দ্বিতীয় ক্যাথোলিক প্রেসিডেন্ট। প্রথমজন ছিলেন জন এফ কেনেডি।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ