০২:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

পাখি পুষে সংসারে সচ্ছলতা

পাখি পালন মানুষের চিরন্তন শখ। কুষ্টিয়ার মিরপুর পৌরসভার হলপাড়া এলাকার বাসিন্দা মোঃ রানা ইসলাম তাদেরই একজন। শখ থেকে পাখি পালন করেন তিনি। এখন তা পরিণত হয়েছে উপার্জনের মাধ্যম হিসেবে।

বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির নানান রঙের পাখির নয়নাভিরাম সংগ্রহ আছে এই তরুণের। লাভ বার্ড, ককাটিয়েল, বাজরিগার, ফিঞ্চ, ডায়মন্ড ঘুঘু, অস্ট্রেলিয়ান ঘুঘু প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। পাখি পালনে সংসারে সচ্ছলতা ফিরেছে মিরপুর পৌরসভার বাজারে রানা ইসলামের ‘পাখি মেলা’ দোকানে আছে দৃষ্টিনন্দন অনেক পাখি। তার কথায়, ‘পাখি পুষে বিক্রি করে সংসারে সচ্ছলতা ফিরেছে। আমার দোকান ও বাড়ি মিলিয়ে এখন প্রায় দুই লাখ টাকার পাখি আছে।’

পেশায় রাজমিস্ত্রী হলেও সাত বছর ধরে শখে পাখি পালন করেন রানা ইসলাম। বাজরিগার পাখি দিয়ে হয়েছিল শুরুটা। এরপর কেনেন ককাটিয়েল। দিনে দিনে পাখির বংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে রাজমিস্ত্রির কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তখন উপার্জনের জন্য গত ছয় মাস আগে রানা ইসলাম দোকানটি দিয়েছেন। ‘পাখি মেলা’য় এখন বেচাকেনা ভালোই চলছে। তিনি বলেন, ‘৩০০ টাকা থেকে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত দামের পাখি আছে আমার দোকানে। বিদেশি প্রজাতির পাখি দেখতে সুন্দর হওয়ায় ব্যাপক চাহিদা। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অনেকে পাখি কিনতে আসে।’

কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় পাখি পালনে দিনে দিনে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। পাখির খামার গড়তে চাইলে কম দাম দিয়ে শুরু করার পরামর্শ দিয়েছেন রানা ইসলাম।
যোগ করে তিনি বলেন, ‘পাখি পালন করতে হলে তাদের রোগব্যাধি সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তা না হলে লোকসানের আশঙ্কা থাকে। যদিও বিদেশি প্রজাতির পাখির রোগব্যাধি খুবই সীমিত। যতেœ রাখলে এগুলোর অসুখ খুব কম হয়।’

বিজনেস বাংলাদেশ/ ইমরান মাসুদ

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

পাখি পুষে সংসারে সচ্ছলতা

প্রকাশিত : ০৩:২৯:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ নভেম্বর ২০২০

পাখি পালন মানুষের চিরন্তন শখ। কুষ্টিয়ার মিরপুর পৌরসভার হলপাড়া এলাকার বাসিন্দা মোঃ রানা ইসলাম তাদেরই একজন। শখ থেকে পাখি পালন করেন তিনি। এখন তা পরিণত হয়েছে উপার্জনের মাধ্যম হিসেবে।

বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির নানান রঙের পাখির নয়নাভিরাম সংগ্রহ আছে এই তরুণের। লাভ বার্ড, ককাটিয়েল, বাজরিগার, ফিঞ্চ, ডায়মন্ড ঘুঘু, অস্ট্রেলিয়ান ঘুঘু প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। পাখি পালনে সংসারে সচ্ছলতা ফিরেছে মিরপুর পৌরসভার বাজারে রানা ইসলামের ‘পাখি মেলা’ দোকানে আছে দৃষ্টিনন্দন অনেক পাখি। তার কথায়, ‘পাখি পুষে বিক্রি করে সংসারে সচ্ছলতা ফিরেছে। আমার দোকান ও বাড়ি মিলিয়ে এখন প্রায় দুই লাখ টাকার পাখি আছে।’

পেশায় রাজমিস্ত্রী হলেও সাত বছর ধরে শখে পাখি পালন করেন রানা ইসলাম। বাজরিগার পাখি দিয়ে হয়েছিল শুরুটা। এরপর কেনেন ককাটিয়েল। দিনে দিনে পাখির বংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে রাজমিস্ত্রির কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তখন উপার্জনের জন্য গত ছয় মাস আগে রানা ইসলাম দোকানটি দিয়েছেন। ‘পাখি মেলা’য় এখন বেচাকেনা ভালোই চলছে। তিনি বলেন, ‘৩০০ টাকা থেকে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত দামের পাখি আছে আমার দোকানে। বিদেশি প্রজাতির পাখি দেখতে সুন্দর হওয়ায় ব্যাপক চাহিদা। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অনেকে পাখি কিনতে আসে।’

কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় পাখি পালনে দিনে দিনে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। পাখির খামার গড়তে চাইলে কম দাম দিয়ে শুরু করার পরামর্শ দিয়েছেন রানা ইসলাম।
যোগ করে তিনি বলেন, ‘পাখি পালন করতে হলে তাদের রোগব্যাধি সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তা না হলে লোকসানের আশঙ্কা থাকে। যদিও বিদেশি প্রজাতির পাখির রোগব্যাধি খুবই সীমিত। যতেœ রাখলে এগুলোর অসুখ খুব কম হয়।’

বিজনেস বাংলাদেশ/ ইমরান মাসুদ