শিক্ষক মন্ডলীদেরকে বলব, আপনাদের ছাত্রদের খোজ নেবন। ছাত্ররা এ সময় লেখাপড়া করছে কি না? করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি শিক্ষা-ব্যবস্থাকে অনেক পিছিয়ে দিয়েছে। আমাদের সবাই কে সতর্ক হতে হবে,যাতে সবাই নিরাপদ থাকতে পারে। এই অবসরে শিক্ষার্থীরা মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করলে জীবনে সফলতা আসবে। মঙ্গলবার বিকেলে প্রধান অতিথি হিসেবে জুড়ী তৈয়বুন্নেছা খানম সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীবৃন্দ ও উপস্থিত অভিভাবকদের প্রতি উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান।
প্রধান অতিথি বলেন, এই কলেজের সাড়ে ৪ হাজার শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে, এরা সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ গড়ায় অংশ নেবে। ১টি নদীর প্রাণ যেমন তাঁর পানি প্রবাহ, তেমনি কলেজের প্রাণ শিক্ষার্থীবৃন্দ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কলেজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং জুড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ মোঈদ ফারুক প্রধান অতিথি (জেলা প্রশাসকের) কাছে দাবি জানান, এই কলেজের (টি এন খানম ডিগ্রী কলেজ) সদ্য সাবেক অধ্যক্ষ অরুণ চন্দ্র সাহেবের বেশ কিছু টাকা এখন ও পাওনা রয়েছে। শিক্ষকদের বেতন সমস্যাও রয়েছে। পূর্বে এই কলেজে ছাত্র রাজনৈতি নিষিদ্ধ ছিল। বতর্মানে ছাত্র রাজনীতির নামে হিংসা-হানাহানি -সংঘর্ষ ও ইভটিজিং চলছে। ঐ বিষয়ে মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয়কে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান।
জুড়ী কলেজের অধ্যক্ষ এম ফারহাদ আহমদ এর সভাপতিত্বে উক্ত সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন জুড়ী ইউ এন ও আল ইমরান রুহুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন ওসি জুড়ী থানা সজ্ঞয় চক্রবর্তী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রিংকু রজ্ঞন দাস এবং রঞ্জিতা শর্মা, ইউপি চেয়ারম্যান মাছুম রেজা, শাহাবউদ্দিন (লেমন) প্রমূখ।
সভাশেষ জুড়ী কলেজ রোভার স্কাউটের সদস্যদের অংশ গ্রহণ এবংঅধ্যক্ষ এম ফারহাদ আহমদ এর পরিচালনায় নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে মনোজ্ঞ সাংষ্কতিক অনুষ্ঠান প্রদর্শিত হয়।
বিজনেস বাংলাদেশ / বিএইচ




















