০৮:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সেমিতে আবাহনী

একটি গোল পেতে ৯০ মিনিট অপেক্ষা করতে হলো আবাহনীকে। উত্তর বারিধারার বিপক্ষে ওই গোলেই তারা শেষ চারের টিকিট কাটে। গোল নিয়ে হয় বাক বিতণ্ডা, রেফারির সঙ্গে গণ্ডগোল। চিৎকার- চেঁচামেচি করায় বারিধারার এক কর্মকর্তাকে লালকার্ড দিয়ে বের করে দেয়া হয়। এমনকি ম্যাচ শেষে রাগে বোতল ছুঁড়ে মারেন বারিধারার একজন ফুটবলার।

সোমবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফেডারেশন কাপের শেষ কোয়ার্টার ফাইনালে ঢাকা আবাহনী ১-০ গোলে উত্তর বারিধারাকে হারিয়ে সেমিফাউনালে উঠেছে।

প্রতিপক্ষ ঢাকা আবাহনী। কিন্তু উত্তর বারিধারার খেলা দেখে মনেই হয়নি, তারা জায়ান্টদের সঙ্গে খেলছে। বরং আরও বেশি আক্রমণাত্মক ছিল তারা। নিশ্চিত গোলের আক্রমণ করে সফল হয়নি আকাশী-হলুদ শিবিরও। বারিধারার গোলকিপার মামুন আলিফের দৃঢ়তায় গোলবঞ্চিত হয় তারা।

ম্যাচের ১৭ মিনিটে বেলফোর্টকে ট্যাকল করেন উত্তর বারিধারার মিডফিল্ডার পাপন সিং। ব্রাজিলিয়ান ফ্রান্সিসকো দি সৌসার ফ্রি কিক সরাসরি চলে যায় বারিধারার গোলকিপারের হাতে।

এবার আক্রমণে যায় বারিধারা। ৩৭ মিনিটে বল পেয়ে ৬০ গজ দূর থেকে সুমন রেজার আচমকা শট লাফিয়ে ওঠে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান আবাহনী গোলকিপার শহিদুল আলম। এরপর দু’টি কর্নার আদায় করে আকাশী-হলুদ জার্সিধারদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে বারিধারা।

প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে আবাহনীর তিন ফুটবলার অফসাইড থাকলে সহকারি রেফারি অফসাইডের পতাকা তুলে দেন। পাল্টা আক্রমনে অফসাইডের ফাঁদ ভেঙ্গে নাবীব নেওয়াজ জীবন বল নিয়ে ঢুকে পড়েন বারিধারার বক্সে। তার সামনে ছিলেন শুধুই বারিধারা গোলকিপার। জীবনের শট প্রথমে রুখে দেন গোলকিপার মামুন। ফিরতি শটও রুখে দেন তিনি। এরপর বেলফোর্ট এগিয়ে এসে শট নিলে বারিধারার এক ডিফেন্ডার ফিরিয়ে দিলে এ যাত্রায়ও গোল পাওয়া হয়নি আবাহনীর।

৬৪ মিনিটে নিশ্চিত গোলের সুযোগ নষ্ট করেন জুয়েল রানা। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ফ্রান্সিসকো দি সৌসার ফ্রি কিক বারিধারার ডিফেন্ডার ঠিকমতো ফেরাতে পারেননি। বল চলে যায় আফগান ডিফেন্ডার মাসিহ সাইঘানির কাছে। তার শট বারিধারার এক ডিফেন্ডার ফেরালে তা পান জুয়েল রানা। কিন্তু ফাঁকা পোস্ট পেলেও তার শটে বল চলে যায় মাঠের বাইরে।

পাঁচ মিনিটের অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটে গোলের দেখা পায় আবাহনী। নাসিরের থ্রো থেকে মাসিহ সাইঘানির পাস খুঁজে নেয় নাবীব নেওয়াজ জীবনকে। বক্সের মধ্যে তার বাড়িয়ে দেয়া বল পেয়ে ফ্রান্সিসকো রদ্রিগেজ দি সৌসার শটে বল জড়িয়ে যায় বারিধারার জালে (১-০)।

এদিকে এর আগে মিসরীয় ফরোয়ার্ড মোস্তফা মাহমুদ আবদেল খালেক ব্যথা পেয়ে শুয়ে ছিলেন। ফলে ফেয়ার প্লে চেয়েছিল বারিধারা। তাই গোলের প্রতিবাদ করে রেফারির সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন বারিধারার ফুটবলাররা। প্রতিবাদ করায় হলুদ কার্ড দেখেন বারিধারার গোলকিপার মামুন। বারিধারার অভিযোগ, মোস্তফা ব্যথা পাওয়ায় তারা অপ্রস্তুত ছিল।

এরই মধ্যে পুনরায় খেলা শুরু করেন রেফারি। ডাগ আউট থেকে প্রতিবাদ করায় বারিধারার এক কর্মকর্তাকে লাল কার্ড দেখান তিনি। এমতাবস্থায় খেলা কিছুক্ষণ বন্ধ থাকার পর আবারও শুরু হয়। পাঁচ মিনিটের অতিরিক্ত সময় শেষ হয় ১০ মিনিটে গিয়ে। এ ম্যাচে ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার রাফায়েল অগস্তো স্যান্তোস দ্য সিলভা প্রথম মাঠে নেমেছিলেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এস শিকদার

জনপ্রিয়

একজন ব্যবসায়ী বান্ধব নেতা ওয়াহিদুল হাসান দিপু

সেমিতে আবাহনী

প্রকাশিত : ০৭:৩৬:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ জানুয়ারী ২০২১

একটি গোল পেতে ৯০ মিনিট অপেক্ষা করতে হলো আবাহনীকে। উত্তর বারিধারার বিপক্ষে ওই গোলেই তারা শেষ চারের টিকিট কাটে। গোল নিয়ে হয় বাক বিতণ্ডা, রেফারির সঙ্গে গণ্ডগোল। চিৎকার- চেঁচামেচি করায় বারিধারার এক কর্মকর্তাকে লালকার্ড দিয়ে বের করে দেয়া হয়। এমনকি ম্যাচ শেষে রাগে বোতল ছুঁড়ে মারেন বারিধারার একজন ফুটবলার।

সোমবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফেডারেশন কাপের শেষ কোয়ার্টার ফাইনালে ঢাকা আবাহনী ১-০ গোলে উত্তর বারিধারাকে হারিয়ে সেমিফাউনালে উঠেছে।

প্রতিপক্ষ ঢাকা আবাহনী। কিন্তু উত্তর বারিধারার খেলা দেখে মনেই হয়নি, তারা জায়ান্টদের সঙ্গে খেলছে। বরং আরও বেশি আক্রমণাত্মক ছিল তারা। নিশ্চিত গোলের আক্রমণ করে সফল হয়নি আকাশী-হলুদ শিবিরও। বারিধারার গোলকিপার মামুন আলিফের দৃঢ়তায় গোলবঞ্চিত হয় তারা।

ম্যাচের ১৭ মিনিটে বেলফোর্টকে ট্যাকল করেন উত্তর বারিধারার মিডফিল্ডার পাপন সিং। ব্রাজিলিয়ান ফ্রান্সিসকো দি সৌসার ফ্রি কিক সরাসরি চলে যায় বারিধারার গোলকিপারের হাতে।

এবার আক্রমণে যায় বারিধারা। ৩৭ মিনিটে বল পেয়ে ৬০ গজ দূর থেকে সুমন রেজার আচমকা শট লাফিয়ে ওঠে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান আবাহনী গোলকিপার শহিদুল আলম। এরপর দু’টি কর্নার আদায় করে আকাশী-হলুদ জার্সিধারদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে বারিধারা।

প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে আবাহনীর তিন ফুটবলার অফসাইড থাকলে সহকারি রেফারি অফসাইডের পতাকা তুলে দেন। পাল্টা আক্রমনে অফসাইডের ফাঁদ ভেঙ্গে নাবীব নেওয়াজ জীবন বল নিয়ে ঢুকে পড়েন বারিধারার বক্সে। তার সামনে ছিলেন শুধুই বারিধারা গোলকিপার। জীবনের শট প্রথমে রুখে দেন গোলকিপার মামুন। ফিরতি শটও রুখে দেন তিনি। এরপর বেলফোর্ট এগিয়ে এসে শট নিলে বারিধারার এক ডিফেন্ডার ফিরিয়ে দিলে এ যাত্রায়ও গোল পাওয়া হয়নি আবাহনীর।

৬৪ মিনিটে নিশ্চিত গোলের সুযোগ নষ্ট করেন জুয়েল রানা। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ফ্রান্সিসকো দি সৌসার ফ্রি কিক বারিধারার ডিফেন্ডার ঠিকমতো ফেরাতে পারেননি। বল চলে যায় আফগান ডিফেন্ডার মাসিহ সাইঘানির কাছে। তার শট বারিধারার এক ডিফেন্ডার ফেরালে তা পান জুয়েল রানা। কিন্তু ফাঁকা পোস্ট পেলেও তার শটে বল চলে যায় মাঠের বাইরে।

পাঁচ মিনিটের অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটে গোলের দেখা পায় আবাহনী। নাসিরের থ্রো থেকে মাসিহ সাইঘানির পাস খুঁজে নেয় নাবীব নেওয়াজ জীবনকে। বক্সের মধ্যে তার বাড়িয়ে দেয়া বল পেয়ে ফ্রান্সিসকো রদ্রিগেজ দি সৌসার শটে বল জড়িয়ে যায় বারিধারার জালে (১-০)।

এদিকে এর আগে মিসরীয় ফরোয়ার্ড মোস্তফা মাহমুদ আবদেল খালেক ব্যথা পেয়ে শুয়ে ছিলেন। ফলে ফেয়ার প্লে চেয়েছিল বারিধারা। তাই গোলের প্রতিবাদ করে রেফারির সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন বারিধারার ফুটবলাররা। প্রতিবাদ করায় হলুদ কার্ড দেখেন বারিধারার গোলকিপার মামুন। বারিধারার অভিযোগ, মোস্তফা ব্যথা পাওয়ায় তারা অপ্রস্তুত ছিল।

এরই মধ্যে পুনরায় খেলা শুরু করেন রেফারি। ডাগ আউট থেকে প্রতিবাদ করায় বারিধারার এক কর্মকর্তাকে লাল কার্ড দেখান তিনি। এমতাবস্থায় খেলা কিছুক্ষণ বন্ধ থাকার পর আবারও শুরু হয়। পাঁচ মিনিটের অতিরিক্ত সময় শেষ হয় ১০ মিনিটে গিয়ে। এ ম্যাচে ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার রাফায়েল অগস্তো স্যান্তোস দ্য সিলভা প্রথম মাঠে নেমেছিলেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এস শিকদার