০৫:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

টিকা নিতে আগ্রহী ৬৪ শতাংশ মানুষ

বাংলাদেশে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের গণটিকাদান শুরু হলে কিছুটা দ্বিধাদ্বন্ধে ছিল সাধারণ মানুষ। তবে সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। টিকা গ্রহণে বেড়েছে আগ্রহ। ওয়েবসাইটে নিবন্ধন শুরুর দুই দিন যত নিবন্ধন হয়েছিল-তা এখন বেড়েছে প্রায় পাঁচগুণ।

সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুক এবং ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড যৌথভাবে বিশ্বজুড়ে এক জরিপ পরিচালনা করেছে। এতে দেখা গেছে, বাংলাদেশে ৬৪ শতাংশের মতো মানুষ করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নিতে আগ্রহী।

গণ-টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয় দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী টিকা নেওয়ার মাধ্যমে। তারপর বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী, সেনাবাহিনীর প্রধান, প্রধান বিচারপতি, সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, উচ্চ আদালতের বিচারপতি, বেশ কিছু কূটনীতিক, ঢাকার পুলিশ কমিশনার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, গায়ক, অভিনেত্রী এরকম অনেকে টিকা নিয়েছেন এবং তা সম্পর্কে গণমাধ্যমে বেশ ফলাও করে প্রকাশিত হয়েছে।

ঢাকায় ২৭ জানুয়ারি কুর্মিটোলা হাসপাতালে একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স বেরোনা ডি কস্তাকে প্রথম টিকা দিয়ে দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা উদ্বোধন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে টিকাদান কার্যক্রমে সংযুক্ত থেকে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ওই সময় পর্যবেক্ষণের জন্য দু’দিনে প্রায় ছয়শ’ ব্যক্তিকে টিকা দেওয়া হয়। সেদিন থেকেই ওয়েবসাইটে নিবন্ধন শুরু হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া হিসেবে দেখা যাচ্ছে, ওই দিন থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী গণটিকা কর্মসূচি শুরুর পর ১২ দিনে নিবন্ধন হয়েছিল পাঁচ লাখের মতো। কিন্তু এরপর গত সাত দিনে নিবন্ধনের সংখ্যা বেড়েছে পাঁচগুণ। ১৭ ফেব্রুয়ারি বিকেল পর্যন্ত ২৫ লাখ ৪৮ হাজার ৫৮৪ জন ভ্যাকসিনের জন্য নাম নিবন্ধন করেছেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

ট্যাগ :

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আসলামের মামলা প্রত্যাহারের দাবি

টিকা নিতে আগ্রহী ৬৪ শতাংশ মানুষ

প্রকাশিত : ০৩:৫৬:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১

বাংলাদেশে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের গণটিকাদান শুরু হলে কিছুটা দ্বিধাদ্বন্ধে ছিল সাধারণ মানুষ। তবে সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। টিকা গ্রহণে বেড়েছে আগ্রহ। ওয়েবসাইটে নিবন্ধন শুরুর দুই দিন যত নিবন্ধন হয়েছিল-তা এখন বেড়েছে প্রায় পাঁচগুণ।

সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুক এবং ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড যৌথভাবে বিশ্বজুড়ে এক জরিপ পরিচালনা করেছে। এতে দেখা গেছে, বাংলাদেশে ৬৪ শতাংশের মতো মানুষ করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নিতে আগ্রহী।

গণ-টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয় দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী টিকা নেওয়ার মাধ্যমে। তারপর বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী, সেনাবাহিনীর প্রধান, প্রধান বিচারপতি, সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, উচ্চ আদালতের বিচারপতি, বেশ কিছু কূটনীতিক, ঢাকার পুলিশ কমিশনার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, গায়ক, অভিনেত্রী এরকম অনেকে টিকা নিয়েছেন এবং তা সম্পর্কে গণমাধ্যমে বেশ ফলাও করে প্রকাশিত হয়েছে।

ঢাকায় ২৭ জানুয়ারি কুর্মিটোলা হাসপাতালে একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স বেরোনা ডি কস্তাকে প্রথম টিকা দিয়ে দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা উদ্বোধন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে টিকাদান কার্যক্রমে সংযুক্ত থেকে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ওই সময় পর্যবেক্ষণের জন্য দু’দিনে প্রায় ছয়শ’ ব্যক্তিকে টিকা দেওয়া হয়। সেদিন থেকেই ওয়েবসাইটে নিবন্ধন শুরু হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া হিসেবে দেখা যাচ্ছে, ওই দিন থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী গণটিকা কর্মসূচি শুরুর পর ১২ দিনে নিবন্ধন হয়েছিল পাঁচ লাখের মতো। কিন্তু এরপর গত সাত দিনে নিবন্ধনের সংখ্যা বেড়েছে পাঁচগুণ। ১৭ ফেব্রুয়ারি বিকেল পর্যন্ত ২৫ লাখ ৪৮ হাজার ৫৮৪ জন ভ্যাকসিনের জন্য নাম নিবন্ধন করেছেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর