১২:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

জীবনের শেষ ঈদ মনে কইরাই ঢাকা ছাড়ছি

আমার মরণ করোনাই হবে কে বলছে? গাড়ি দুর্ঘটনায় তো হতে পারে। কাঁঠালবাড়িতে স্পিডবোট ডুবে মানুষ মরেছে; সেভাবেও হতে পারে। কাজেই মৃত্যুকে ভয় পাই না। মায়ের সঙ্গে ঈদ করুম। যত কষ্টই হোক, বাড়ি যামু।

বরিশালের রূপাতলী বাসস্ট্যান্ডে এভাবেই কথাগুলো বলেছেন পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার রেশমা আক্তার। তার সঙ্গে রয়েছেন তানিয়া, সাথী ও শিমু। তারা গাজীপুরের তিনটি পোশাক কারখানায় কাজ করলেও একই বাসায় থাকেন। মঙ্গলবার বেতন পেয়ে বুধবার (১২ মে) ভোররাত ৪টায় বাড়িতে সড়কপথে রওনা দিয়েছেন।

রেশমা বলেন, ঢাকা থেকে বাসে করে মাওয়া ঘাটে এসেছি। ৪০০ টাকা দিয়ে ট্রলারে পদ্মা নদী পাড়ি দিলাম। পিকআপে বরিশালে নামলাম। মাওয়া থেকে বরিশাল নথুল্লাবাদ পিকআপে ভাড়া নিয়েছে ৫০০ টাকা। এখান থেকে লেবুখালি ফেরিঘাট দেড়শ টাকা ভাড়া চাচ্ছে। সেখান থেকে ওপারে উঠে আবার দুই বা তিনশ টাকা লাগবে বাড়ি পৌঁছাতে। কষ্ট তো কম করিনি।

রেশমা, তানিয়া, সাথী ও শিমুর মতো লাখ লাখ মানুষ দক্ষিণাঞ্চলে ফিরছেন ভোগান্তি নিয়ে। বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা এসব মানুষের নেই করোনাভীতি।

ট্যাগ :

বরিশালে পেশাদার সাংবাদিকদের ৩৫ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

জীবনের শেষ ঈদ মনে কইরাই ঢাকা ছাড়ছি

প্রকাশিত : ১১:৪৭:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মে ২০২১

আমার মরণ করোনাই হবে কে বলছে? গাড়ি দুর্ঘটনায় তো হতে পারে। কাঁঠালবাড়িতে স্পিডবোট ডুবে মানুষ মরেছে; সেভাবেও হতে পারে। কাজেই মৃত্যুকে ভয় পাই না। মায়ের সঙ্গে ঈদ করুম। যত কষ্টই হোক, বাড়ি যামু।

বরিশালের রূপাতলী বাসস্ট্যান্ডে এভাবেই কথাগুলো বলেছেন পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার রেশমা আক্তার। তার সঙ্গে রয়েছেন তানিয়া, সাথী ও শিমু। তারা গাজীপুরের তিনটি পোশাক কারখানায় কাজ করলেও একই বাসায় থাকেন। মঙ্গলবার বেতন পেয়ে বুধবার (১২ মে) ভোররাত ৪টায় বাড়িতে সড়কপথে রওনা দিয়েছেন।

রেশমা বলেন, ঢাকা থেকে বাসে করে মাওয়া ঘাটে এসেছি। ৪০০ টাকা দিয়ে ট্রলারে পদ্মা নদী পাড়ি দিলাম। পিকআপে বরিশালে নামলাম। মাওয়া থেকে বরিশাল নথুল্লাবাদ পিকআপে ভাড়া নিয়েছে ৫০০ টাকা। এখান থেকে লেবুখালি ফেরিঘাট দেড়শ টাকা ভাড়া চাচ্ছে। সেখান থেকে ওপারে উঠে আবার দুই বা তিনশ টাকা লাগবে বাড়ি পৌঁছাতে। কষ্ট তো কম করিনি।

রেশমা, তানিয়া, সাথী ও শিমুর মতো লাখ লাখ মানুষ দক্ষিণাঞ্চলে ফিরছেন ভোগান্তি নিয়ে। বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা এসব মানুষের নেই করোনাভীতি।