০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

৩ দেশের অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়া শুরু করল ভারত

বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী ইস্যুতে আরও এক কদম এগিয়ে এলো ভারত। ভারতীয় নাগরিকত্ব লাভের জন্য প্রতিবেশি মুসলিম প্রধান দেশ বাংলাদেশ, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তান থেকে আসা অমুসলিম শরণার্থীদের কাছে আবেদন পত্র চেয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে এই বিষয়ে গেজেট নোটিফিকেশন জারি করা হয়েছে।

যেহেতু ভারতে এখনও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর হয়নি, তাই ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী জারি করা হয়েছে এই নোটিফিকেশন। নোটিফিকেশনে বলা হয়েছে- রাজস্থান, গুজরাত, পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও ছত্তিসগড়ে বসবাসকারী বিভিন্ন দেশের সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী শরণার্থীরা ভারতের নাগরিকত্ব চেয়ে আবেদন করতে পারবেন। এতদিন তাদের বিশেষ অনুমতি নিয়ে অথবা ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে ভারতে থাকতে হতো।

নোটিফিকেশনে বলা আছে আফগানিস্থান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসিক ও খৃষ্টান সংখ্যালঘুরা নাগিরকত্বের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। তাদের সব নথিপত্র খতিয়ে দেখবেন সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রশাসন কর্মকর্তারা।
যদিও ভারতে এখনও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর হয়নি। বিতর্কিত এই ইস্যুতে ভারতে বারবার বিক্ষোভ হয়েছে। এভাবে ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব প্রদানের পদক্ষেপ দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তিকে আঘাত করছে বলে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে পাল্টা জনমত গড়ে উঠেছে।

নোটিফিকেশন অনুযায়ী- গুজরাতের মোরবি, রাজকোট, পাটন, ভাদোদরা, ছত্তিসগড়ের দুর্গ এবং বলোদাবাজার রাজস্থানের জালোর, উদয়পুর, পালি, বাঢ়মেড় এবং সিরোহি, হরিয়ানার ফরিদাবাদ ও পাঞ্জাবের জলন্ধরে বসবাসকারী বিভিন্ন অমুসলিম সংখ্যালঘু শরণার্থীরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এস শিকদার

জনপ্রিয়

একজন ব্যবসায়ী বান্ধব নেতা ওয়াহিদুল হাসান দিপু

৩ দেশের অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়া শুরু করল ভারত

প্রকাশিত : ০২:১১:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মে ২০২১

বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী ইস্যুতে আরও এক কদম এগিয়ে এলো ভারত। ভারতীয় নাগরিকত্ব লাভের জন্য প্রতিবেশি মুসলিম প্রধান দেশ বাংলাদেশ, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তান থেকে আসা অমুসলিম শরণার্থীদের কাছে আবেদন পত্র চেয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে এই বিষয়ে গেজেট নোটিফিকেশন জারি করা হয়েছে।

যেহেতু ভারতে এখনও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর হয়নি, তাই ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী জারি করা হয়েছে এই নোটিফিকেশন। নোটিফিকেশনে বলা হয়েছে- রাজস্থান, গুজরাত, পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও ছত্তিসগড়ে বসবাসকারী বিভিন্ন দেশের সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী শরণার্থীরা ভারতের নাগরিকত্ব চেয়ে আবেদন করতে পারবেন। এতদিন তাদের বিশেষ অনুমতি নিয়ে অথবা ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে ভারতে থাকতে হতো।

নোটিফিকেশনে বলা আছে আফগানিস্থান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসিক ও খৃষ্টান সংখ্যালঘুরা নাগিরকত্বের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। তাদের সব নথিপত্র খতিয়ে দেখবেন সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রশাসন কর্মকর্তারা।
যদিও ভারতে এখনও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর হয়নি। বিতর্কিত এই ইস্যুতে ভারতে বারবার বিক্ষোভ হয়েছে। এভাবে ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব প্রদানের পদক্ষেপ দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তিকে আঘাত করছে বলে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে পাল্টা জনমত গড়ে উঠেছে।

নোটিফিকেশন অনুযায়ী- গুজরাতের মোরবি, রাজকোট, পাটন, ভাদোদরা, ছত্তিসগড়ের দুর্গ এবং বলোদাবাজার রাজস্থানের জালোর, উদয়পুর, পালি, বাঢ়মেড় এবং সিরোহি, হরিয়ানার ফরিদাবাদ ও পাঞ্জাবের জলন্ধরে বসবাসকারী বিভিন্ন অমুসলিম সংখ্যালঘু শরণার্থীরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এস শিকদার