আগামী ১জুলাই থেকে কঠোর লকডাউনের খবরে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার অন্যতম প্রবেশদ্বার পাটুরিয়া দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ব্যক্তিগত গাড়ি ও যাত্রীদের চাপ কিছুটা বেড়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শুধু রাজধানী ঢাকা থেকে আসা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী যাত্রীই নন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা রাজধানীগামী যাত্রীদেরও চাপ দেখা গেছে। যাত্রীরা প্রাইভেট কার, অটোরিকশা, রিকশা ও ভ্যানে করে ভেঙে ভেঙে কয়েক গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে তাদের গন্তব্যে যাচ্ছেন।
বিআইডব্লিউ টিসি’র আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম জিল্লুর রহমান বলেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে মোট ১৬টি ফেরির মধ্যে ১৪টি দিয়ে জরুরি যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। এসব যানবাহনের পারাপারের সময় যাত্রীরা ফেরিতে উঠে পড়ছেন। একপ্রকার বাধ্য হয়েই তারা যাত্রীদের পার করছেন।
এদিকে, ছোট যানবাহনে যাত্রী পরিবহণ ঠেকাতে পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে মাঝে মধ্যেই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করছেন জেলা প্রশাসন। এছাড়া ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে বসেছে পুলিশের চেকপোষ্ট।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সূত্র মতে, মানিকগঞ্জে গত কয়েকদিনে ৮/১০ জন করে করোনা আক্রান্ত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে আরও ১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে দুই হাজার ৪৮১ জনের। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৩১৬ জন। মারা গেছেন ৫০ জন।
সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল আমিন আখন্দ বলেন, ‘বিধি-নিষেধের মধ্যেও কেউ কেউ স্বাস্থ্যবিধি না মেনে রাস্তাঘাটে চলাচল করছেন। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।’
জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আবদুল লতিফ বলেন, ‘মানিকগঞ্জে করোনা সংক্রমণ কিছুটা বেড়েছে। লকডাউনের বিধিনিষেধ কার্যকর করতে পাটুরিয়া ঘাট ও জেলা শহরসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি জায়গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছেন।’
উল্লেখ্য, দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত সোমবার মানিকগঞ্জসহ সাতটি জেলায় কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। জেলা প্রশাসনের বিধিনিষেধ সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২২ জুন সকাল ৬টা থেকে ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত জেলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ও জরুরি সেবা ছাড়া গণপরিবহন, বিপণিবিতান ও অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ