লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বহুল আলোচিত তিনবিঘা করিডোর সীমান্তসহ বিভিন্ন সীমান্ত পরিদর্শন করেছেন ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মহাপরিচালক রাজেশ আস্থানা। তিনি বলেছেন, সীমান্তে নিরীহ মানুষ হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনা হবে। তিনি গতকাল তিনবিঘা করিডোর সীমান্ত পরিদর্শনকালে বিএসএফ-বিজিবি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনবিঘা করিডোরের আম্রকাননে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে তিনি তিনবিঘা করিডোর সীমান্তে পৌঁছলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পক্ষে রংপুর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. ইয়াছির জাহান হোসেন ও তিস্তা-৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ইসাহাক আলীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এ সময় মহাপরিচালকের সঙ্গে বিএসএফের কলকাতা ইস্টার্ন কমান্ডের মহাপরিচালক (ডিজি) পঙ্কজ সিং, কোচবিহার-৪৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের পরিচালক, উত্তরবঙ্গ সদর দপ্তরের বিএসএফ কর্মকর্তাসহ মহাপরিচালকের স্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন।

বিএসএফের মহাপরিচালক (ডিজি) রাকেশ আস্থানার সঙ্গে সৌজন্য বৈঠক প্রসঙ্গে বিজিবির রংপুর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. ইয়াছির জাহান হোসেন বলেন, ‘বিএসএফের মহাপরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেছেন। বিজিবি-বিএসএফের যৌথ টহল করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার চালু করা হবে।’তিনি আরো বলেন, ‘যেকোনো সময়ের তুলনায় বর্তমানে উভয় দেশের জনগণের মধ্যে ভালো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজমান উল্লেখ করে সৌজন্য বৈঠকে বিএসএফ মহাপরিচালক উভয় দেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সীমান্তে চোরাচালান কমে যাওয়ায় বিজিবি-বিএসএফের যৌথ টহল অনেক বেশি কার্যকরী উল্লেখ করে তিনি করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তা পুনরায় চালুর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।’ সৌজন্য বৈঠক শেষে বিএসএফ মহাপরিচালক ও তার স্ত্রীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিজিবির পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা স্মারক দেয়া হয়। বিএসএফও বিজিবিকে শুভেচ্ছা স্মারক দেয়।