১০:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

বাংলাদেশ এখন দুই ভাগে বিভক্ত: শিক্ষামন্ত্রী

পাবনায় এক আলোচনা সভায় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, বাংলাদেশ এখন দুই ভাগে বিভক্ত। একটি দল আওয়ামী লীগের সমর্থক। অপর দলে আছে আওয়ামী লীগের বিরোধীরা। একদল বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে, তাঁর দেখানো পথ ধরে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তাঁরা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার চেষ্টা করছে। অন্যরা ধর্মকে রাজনীতিতে ব্যবহার করছে। শুক্রবার দুপুরে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু: বাংলাদেশ জাতি-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মহানায়ক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সংকীর্ণতা কোনো রাজনীতি হতে পারে না। অগ্নি–সন্ত্রাস, এতিমের হক নষ্ট, গ্রেনেড হামলা, বোমা হামলা কোনো আদর্শ হতে পারে না। কিন্তু একটি পক্ষ দীর্ঘদিন ধরে সে কাজটিই করে আসছে। বঙ্গবন্ধুর রক্তকে তাদের ভয়। গত ৪১ বছরে তারা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে অন্তত ২১ বার হত্যা চেষ্টা করেছে। শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু মানুষকে নিয়ে রাজনীতি করতেন। মানুষের হৃদয় বুঝতেন। ৭ মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়ে তিনি স্বাধীনতার রূপরেখা দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে। তাঁর অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে হবে। কিন্তু ঘাতকেরা এখনো সক্রিয়। তারা আরও একটি ১৫ আগস্ট ঘটাতে চায়। এ বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধু হত্যায় যাঁরা শুধু বন্দুক হাতে ছিলেন, তাঁদের বিচার হয়েছে। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে যাঁরা কুশীলব ছিলেন, তাঁদের এখনো বিচার হয়নি। তাঁদের বিচারের দাবি জোরালো হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শুধু স্লোগান নয়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে লালন করতে হবে। ঠিকমতো পড়ালেখা করতে হবে। ভালো সংগঠক ও নেতা হতে হবে। তবেই এক দিন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা যাবে। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. মশিউর রহমান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাংলার মাটি আর মানুষের সন্তান। অনেক নেতা থাকলেও বঙ্গবন্ধু বাঙালির হাজার বছরের বঞ্চনা, বৈষম্য, নিগ্রহ, শোষিত হওয়া, দারিদ্র্য সাম্প্রদায়িকতা দেখেছিলেন। তিনি বাঙালির প্রাণের আকাঙ্ক্ষাকে ধরতে পেরেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর প্রিয় শব্দ ছিল মুক্তি। বাঙালির কাঙ্ক্ষিত মুক্তি তিনি এনে দিয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হাফিজা খাতুন এতে সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহম্মেদ ফিরোজ কবির, পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য নূরুজ্জামান বিশ্বাস, স্কয়ার গ্রুপের পরিচালক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী ও বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য নূরজাহান বেগম প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য এস এম মোস্তফা কামাল খান। এর আগে অতিথিরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী স্মারক ম্যুরাল ‘জনক জ্যোতির্ময়’–এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে শিক্ষকদের মধ্যে গবেষণা সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়।

ট্যাগ :

বাংলাদেশ এখন দুই ভাগে বিভক্ত: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত : ১২:০০:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২২

পাবনায় এক আলোচনা সভায় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, বাংলাদেশ এখন দুই ভাগে বিভক্ত। একটি দল আওয়ামী লীগের সমর্থক। অপর দলে আছে আওয়ামী লীগের বিরোধীরা। একদল বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে, তাঁর দেখানো পথ ধরে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তাঁরা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার চেষ্টা করছে। অন্যরা ধর্মকে রাজনীতিতে ব্যবহার করছে। শুক্রবার দুপুরে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু: বাংলাদেশ জাতি-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মহানায়ক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সংকীর্ণতা কোনো রাজনীতি হতে পারে না। অগ্নি–সন্ত্রাস, এতিমের হক নষ্ট, গ্রেনেড হামলা, বোমা হামলা কোনো আদর্শ হতে পারে না। কিন্তু একটি পক্ষ দীর্ঘদিন ধরে সে কাজটিই করে আসছে। বঙ্গবন্ধুর রক্তকে তাদের ভয়। গত ৪১ বছরে তারা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে অন্তত ২১ বার হত্যা চেষ্টা করেছে। শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু মানুষকে নিয়ে রাজনীতি করতেন। মানুষের হৃদয় বুঝতেন। ৭ মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়ে তিনি স্বাধীনতার রূপরেখা দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে। তাঁর অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে হবে। কিন্তু ঘাতকেরা এখনো সক্রিয়। তারা আরও একটি ১৫ আগস্ট ঘটাতে চায়। এ বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধু হত্যায় যাঁরা শুধু বন্দুক হাতে ছিলেন, তাঁদের বিচার হয়েছে। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে যাঁরা কুশীলব ছিলেন, তাঁদের এখনো বিচার হয়নি। তাঁদের বিচারের দাবি জোরালো হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শুধু স্লোগান নয়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে লালন করতে হবে। ঠিকমতো পড়ালেখা করতে হবে। ভালো সংগঠক ও নেতা হতে হবে। তবেই এক দিন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা যাবে। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. মশিউর রহমান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাংলার মাটি আর মানুষের সন্তান। অনেক নেতা থাকলেও বঙ্গবন্ধু বাঙালির হাজার বছরের বঞ্চনা, বৈষম্য, নিগ্রহ, শোষিত হওয়া, দারিদ্র্য সাম্প্রদায়িকতা দেখেছিলেন। তিনি বাঙালির প্রাণের আকাঙ্ক্ষাকে ধরতে পেরেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর প্রিয় শব্দ ছিল মুক্তি। বাঙালির কাঙ্ক্ষিত মুক্তি তিনি এনে দিয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হাফিজা খাতুন এতে সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহম্মেদ ফিরোজ কবির, পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য নূরুজ্জামান বিশ্বাস, স্কয়ার গ্রুপের পরিচালক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী ও বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য নূরজাহান বেগম প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য এস এম মোস্তফা কামাল খান। এর আগে অতিথিরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী স্মারক ম্যুরাল ‘জনক জ্যোতির্ময়’–এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে শিক্ষকদের মধ্যে গবেষণা সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়।