০৫:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

শিগগিরই বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ শুরু করতে যাচ্ছে গ্রিস

গ্রিক অভিবাসন মন্ত্রী নোটিস মিতারাচি জানিয়েছেন, আসছে শরতে হাজারও বাংলাদেশি কর্মীকে ভিসা দেওয়ার স্কিম চালু করতে যাচ্ছেন তারা। তবে এটি কর্মীদের দীর্ঘমেয়াদে কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা প্রদান করবে না; ফলে একাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশী এই পরিকল্পনার সমালোচনা করছেন। অভিবাসন বিষয়ক অনলাইন পোর্টাল ইনফো মাইগ্র্যান্টসকে এ তথ্য জানিয়েছেন নোটিস মিতারাচি।

এ বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ থেকে কর্মী পাঠানোর বিষয়ে গ্রিসের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয় যেখানে উল্লেখ ছিল, বৈধভাবে বাংলাদেশের ৪ হাজার কর্মীকে গ্রিস কাজ করার সুযোগ দেবে। বাংলাদেশের পক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ এবং গ্রিসের পক্ষে প্যানাইয়োটিস মিতারাচি সমঝোতা স্মারকে সই করেন। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় এ প্রসঙ্গে জানায়, এ চুক্তির আওতায় বাংলাদেশিরা ৫ বছরের স্বল্পমেয়াদি ওয়ার্ক পারমিট পাবে এবং কৃষি ক্ষেত্রে সিজনাল ওয়ার্কারদের নিয়োগ দেওয়া হবে।

গ্রিসের অভিবাসন মন্ত্রী নোটিস মিতারাচি নিশ্চিত করেছেন, তাদের স্কিমটি শুরু হলে অভিবাসন কর্মীদের আর মানব পাচারকারীর ফাঁদে পড়তে হবে না। এদিকে এথেন্সের বাংলাদেশ দূতাবাসের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রায় ৩০ হাজার নাগরিক বর্তমানে এই হেলেনিক প্রজাতন্ত্রে বসবাস করছেন যাদের অর্ধেকই বৈধভাবে প্রবেশ করেন নি। গ্রিসে পৌঁছাতে বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক অভিবাসী যে ঝুঁকির মধ্য দিয়ে যায়, সে বিবেচনায়ই গ্রিস ও বাংলাদেশের মধ্যে চুক্তিটি হয়।

ইনফো মাইগ্র্যান্টসকে মিতারাচি বলেছেন, ‘গ্রীস অবৈধ অভিবাসীদের গ্রহণ করে না। আমরা আমাদের বর্ডার রক্ষায় সোচ্চার। ইউরোপে কারা প্রবেশ করবে, সেটি নির্ধারণের সিদ্ধান্ত আমরা মানবপাচারকারীদের ওপর ছেড়ে দেইনা।’মিতারাচি আরও বলেছেন, গ্রিসই ইউরোপের একমাত্র দেশ যে দীর্ঘমেয়াদে সিজনাল ভিসা এবং একই সাথে অভিবাসীদের মর্যাদা ও নিরাপত্তা প্রদান করে থাকে।

ট্যাগ :

শিগগিরই বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ শুরু করতে যাচ্ছে গ্রিস

প্রকাশিত : ১২:০০:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২২

গ্রিক অভিবাসন মন্ত্রী নোটিস মিতারাচি জানিয়েছেন, আসছে শরতে হাজারও বাংলাদেশি কর্মীকে ভিসা দেওয়ার স্কিম চালু করতে যাচ্ছেন তারা। তবে এটি কর্মীদের দীর্ঘমেয়াদে কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা প্রদান করবে না; ফলে একাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশী এই পরিকল্পনার সমালোচনা করছেন। অভিবাসন বিষয়ক অনলাইন পোর্টাল ইনফো মাইগ্র্যান্টসকে এ তথ্য জানিয়েছেন নোটিস মিতারাচি।

এ বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ থেকে কর্মী পাঠানোর বিষয়ে গ্রিসের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয় যেখানে উল্লেখ ছিল, বৈধভাবে বাংলাদেশের ৪ হাজার কর্মীকে গ্রিস কাজ করার সুযোগ দেবে। বাংলাদেশের পক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ এবং গ্রিসের পক্ষে প্যানাইয়োটিস মিতারাচি সমঝোতা স্মারকে সই করেন। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় এ প্রসঙ্গে জানায়, এ চুক্তির আওতায় বাংলাদেশিরা ৫ বছরের স্বল্পমেয়াদি ওয়ার্ক পারমিট পাবে এবং কৃষি ক্ষেত্রে সিজনাল ওয়ার্কারদের নিয়োগ দেওয়া হবে।

গ্রিসের অভিবাসন মন্ত্রী নোটিস মিতারাচি নিশ্চিত করেছেন, তাদের স্কিমটি শুরু হলে অভিবাসন কর্মীদের আর মানব পাচারকারীর ফাঁদে পড়তে হবে না। এদিকে এথেন্সের বাংলাদেশ দূতাবাসের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রায় ৩০ হাজার নাগরিক বর্তমানে এই হেলেনিক প্রজাতন্ত্রে বসবাস করছেন যাদের অর্ধেকই বৈধভাবে প্রবেশ করেন নি। গ্রিসে পৌঁছাতে বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক অভিবাসী যে ঝুঁকির মধ্য দিয়ে যায়, সে বিবেচনায়ই গ্রিস ও বাংলাদেশের মধ্যে চুক্তিটি হয়।

ইনফো মাইগ্র্যান্টসকে মিতারাচি বলেছেন, ‘গ্রীস অবৈধ অভিবাসীদের গ্রহণ করে না। আমরা আমাদের বর্ডার রক্ষায় সোচ্চার। ইউরোপে কারা প্রবেশ করবে, সেটি নির্ধারণের সিদ্ধান্ত আমরা মানবপাচারকারীদের ওপর ছেড়ে দেইনা।’মিতারাচি আরও বলেছেন, গ্রিসই ইউরোপের একমাত্র দেশ যে দীর্ঘমেয়াদে সিজনাল ভিসা এবং একই সাথে অভিবাসীদের মর্যাদা ও নিরাপত্তা প্রদান করে থাকে।