১২:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

বুস্টার ডোজ নেওয়ার ৬ মাস পর অ্যান্টিবডি কমে যায়

করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ নেওয়ার ছয়মাস পর থেকে অ্যান্টিবডি গড়ে কমতে শুরু করে। তবে যারা পূর্বেই কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবডির মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্বিবদ্যালয়ের এক গবেষণায় এই তথ্য পাওয়া গেছে। সোমবার সকালে বিএসএমএমইউর শহীদ মিল্টন হলে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএসএমএমইউ ভিসি ও গবেষণার প্রধান পৃষ্ঠাপোষক অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন বলেন, “একটি গবেষণায় বুস্টার ডোজ গ্রহণের ৬ মাস পর শরীরে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে তৈরি অ্যান্টিবডির মাত্রা পরিমাপ করা হয়। কোভিড-১৯ টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের ১ মাস পরে পরিচালিত গবেষণায় ২২৩ জনের মধ্যে ৯৮ শতাংশের শরীরে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছিল।””যারা পূর্বেই কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাদের শরীরে তুলনামূলক বেশি অ্যান্টিবডি পাওয়া গিয়েছিল। টিকা গ্রহণের ৬ মাস অতিবাহিত হবার পরে দেখা গিয়েছিল, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অ্যান্টিবডির পরিমাণ কমেছে।”২২৩ জনের মধ্যে ৩০ জন টিকা গ্রহীতার ক্ষেত্রে দেখা যায়, ৭৩ শতাংশের অ্যান্টিবডির মাত্রা হ্রাস পেয়ে গড় এন্টিবডির মাত্রা ৬ হাজার ৭৯২ এইউ/এমএল থেকে ৩ হাজার ৯৬৩ এইউ/এমএলে নেমে এসেছিল। ভিসি আরও জানান, এসময় ২ জন টিকা গ্রহীতার দেহে পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি পাওয়া যায়নি। বুস্টার গ্রহণের ১ মাস পরে শতভাগ অংশগ্রহণকারীদের দেহেই অ্যান্টিবডি পাওয়া যায় এবং প্রায় সবার ক্ষেত্রেই অ্যান্টিবডির মাত্রা পুনরায় বৃদ্ধি পেয়ে অ্যান্টিবডির মাত্রা দাঁড়িয়েছিল ২০ হাজার ৮৭৮ এইউ/এমএল। “বুস্টার গ্রহণের ৬ মাস পরেও শতভাগ অংশগ্রহণকারীর দেহেই অ্যান্টিবডি পাওয়া যায়, কিন্তু প্রায় সবার ক্ষেত্রেই অ্যান্টিবডির মাত্রা কমে গড় অ্যান্টিবডির মাত্রা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৬৭৫.৭ এইউ/এমএল। এর মধ্যে যাদের কোভিড আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস আছে, তাদের ক্ষেত্রেই অ্যান্টিবডির মাত্রা বেড়েছে,” যোগ করেন তিনি।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

চলমান তাপদাহে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন সিদ্ধান্ত

বুস্টার ডোজ নেওয়ার ৬ মাস পর অ্যান্টিবডি কমে যায়

প্রকাশিত : ১২:০০:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ অগাস্ট ২০২২

করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ নেওয়ার ছয়মাস পর থেকে অ্যান্টিবডি গড়ে কমতে শুরু করে। তবে যারা পূর্বেই কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবডির মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্বিবদ্যালয়ের এক গবেষণায় এই তথ্য পাওয়া গেছে। সোমবার সকালে বিএসএমএমইউর শহীদ মিল্টন হলে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএসএমএমইউ ভিসি ও গবেষণার প্রধান পৃষ্ঠাপোষক অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন বলেন, “একটি গবেষণায় বুস্টার ডোজ গ্রহণের ৬ মাস পর শরীরে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে তৈরি অ্যান্টিবডির মাত্রা পরিমাপ করা হয়। কোভিড-১৯ টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের ১ মাস পরে পরিচালিত গবেষণায় ২২৩ জনের মধ্যে ৯৮ শতাংশের শরীরে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছিল।””যারা পূর্বেই কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাদের শরীরে তুলনামূলক বেশি অ্যান্টিবডি পাওয়া গিয়েছিল। টিকা গ্রহণের ৬ মাস অতিবাহিত হবার পরে দেখা গিয়েছিল, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অ্যান্টিবডির পরিমাণ কমেছে।”২২৩ জনের মধ্যে ৩০ জন টিকা গ্রহীতার ক্ষেত্রে দেখা যায়, ৭৩ শতাংশের অ্যান্টিবডির মাত্রা হ্রাস পেয়ে গড় এন্টিবডির মাত্রা ৬ হাজার ৭৯২ এইউ/এমএল থেকে ৩ হাজার ৯৬৩ এইউ/এমএলে নেমে এসেছিল। ভিসি আরও জানান, এসময় ২ জন টিকা গ্রহীতার দেহে পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি পাওয়া যায়নি। বুস্টার গ্রহণের ১ মাস পরে শতভাগ অংশগ্রহণকারীদের দেহেই অ্যান্টিবডি পাওয়া যায় এবং প্রায় সবার ক্ষেত্রেই অ্যান্টিবডির মাত্রা পুনরায় বৃদ্ধি পেয়ে অ্যান্টিবডির মাত্রা দাঁড়িয়েছিল ২০ হাজার ৮৭৮ এইউ/এমএল। “বুস্টার গ্রহণের ৬ মাস পরেও শতভাগ অংশগ্রহণকারীর দেহেই অ্যান্টিবডি পাওয়া যায়, কিন্তু প্রায় সবার ক্ষেত্রেই অ্যান্টিবডির মাত্রা কমে গড় অ্যান্টিবডির মাত্রা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৬৭৫.৭ এইউ/এমএল। এর মধ্যে যাদের কোভিড আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস আছে, তাদের ক্ষেত্রেই অ্যান্টিবডির মাত্রা বেড়েছে,” যোগ করেন তিনি।