দেশে করোনা সংক্রমণে গত ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) আরও ২৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশে করোনায় দৈনিক মৃত্যুর হিসাবে এটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে গত বৃহস্পতিবার আগের ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ২৬৪ জনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়েছিল।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ৮ হাজার ১৩৬ জন। আগের দিনের তুলনায় করোনায় মৃত্যু বাড়লেও শনাক্ত রোগী কমেছে। তবে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার নমুনা পরীক্ষাও কম হয়েছে।
আজ শনিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেশে করোনা সংক্রমণের সবশেষ পরিস্থিতি জানানো হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৩১ হাজার ৭১৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ। আগের দিন ২৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল। নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল ১২ হাজার ৬০৬ জন। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ছিল ২৬ দশমিক ২৫ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সব মিলিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৪৩ হাজার ৩৯৬। মোট মৃত্যু হয়েছে ২২ হাজার ৪১১ জনের। আর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১১ লাখ ৮৮ হাজার ৮২০ জন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৬ হাজার ৩৮৩ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ১০১ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এরপর চট্টগ্রাম বিভাগে মারা গেছেন ৬২ জন, খুলনা বিভাগে ৪৫ জন, বরিশাল বিভাগে ১২ জন। বাকিরা অন্যান্য বিভাগের।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে এই ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ।
এরপর বিভিন্ন সময়ে সংক্রমণ কমবেশি হলেও দুই মাসের বেশি সময় ধরে দেশে করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক অবস্থায় পৌঁছেছে। করোনার ডেলটা ধরনের দাপটে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যু কয়েক গুণ বেড়েছে। গত জুলাই মাসে দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ১৮২ জনের। প্রায় দেড় বছর ধরে চলা এই মহামারিতে এর আগে কোনো মাসে এত মৃত্যু দেখেনি বাংলাদেশ। এর আগে বেশি মৃত্যু হয়েছিল গত এপ্রিলে ২ হাজার ৪০৪ জনের।
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে গত মাসের প্রথম দুই সপ্তাহ দেশে সর্বাত্মক বিধিনিষেধ পালন করা হয়। এ সময় সব ধরনের অফিসের পাশাপাশি গণপরিবহন চলাচলও বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু ২১ জুলাই ঈদুল আজহা উপলক্ষে এই বিধিনিষেধ আট দিনের জন্য শিথিল করা হয়। ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে আবার দুই সপ্তাহের সর্বাত্মক বিধিনিষেধ চলছে। ৫ আগস্ট এই বিধিনিষেধ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে ৫ দিন বাড়িয়ে তা ১০ আগস্ট পর্যন্ত চালিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
শুধু বাংলাদেশই নয়, সারা বিশ্বেই এখন করোনার ডেলটা ধরনের দাপট চলছে। এরইমধ্যে বিশ্বের ১৩৫টি দেশ ও অঞ্চলে করোনার অতিসংক্রামক এই ধরন ছড়িয়েছে। এর ফলে বিশ্বজুড়েই করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েছে।
বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

























