সুনামগঞ্জ পিটিআইয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণার্থী একাধিক শিক্ষকের মধ্যে করোনা উপসর্গ দেখা দিয়েছে। এ কারণে চলতি পরীক্ষায় একাধিক পরীক্ষার্থী অংশ নেননি। তারা শুধু পরীক্ষায় অংশগ্রহণ থেকেই বিরত থাকেননি, হোস্টেল ছেড়েও চলে গেছেন বলে জানা গেছে।
তবে কর্তৃপক্ষ করোনার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছেন, একাধিক শিক্ষক সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। তারা নিরাপদে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সুনামগঞ্জ পিটিআইয়ের একাধিক প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১২ সেপ্টেম্বর সারাদেশের ন্যায় সুনামগঞ্জ পিটিআইও খুলেছে। বর্তমানে ৩৯৪জন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ডিপিএড প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে তাদের চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আগামী ৪ অক্টোবর এই পরীক্ষা শেষ হবে। তবে পরীক্ষা চলাকালে হোস্টেলে অবস্থানরত একাধিক প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষক সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হন। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানার পর তারা করোনা পজিটিভ টেস্ট করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু আক্রান্তদের কেউই টেস্ট করাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
সরকারি নির্দেশনা থাকায় করোনা উপসর্গে আক্রান্তরা ইতোমধ্যে হোস্টেল ছেড়ে চলে গেছেন। তারা চলতি পরীক্ষাও দিচ্ছেন না বলে জানা গেছে।
সুনামগঞ্জ পিটিআই সুপার মো. আফতাব উদ্দিন বলেন, কয়েকজন প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষক সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় আমরা তাদেরকে করোনা টেস্ট করানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছি। কিন্তু তারা কেউ টেস্ট করাননি। তারা এখন নিরাপদেই ব্যক্তিগতভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে এ কারণে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ থেকে তারা বিরত থাকেননি বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৪-৫ জন শিক্ষক পারিবারিক নানা ঝামেলার কারণে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি।
বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ




















