১১:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

স্থায়ী জামিন পেলেন পরীমনি

পরীমণি

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনির স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর রবিবার (১০ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে পরীমনির আইনজীবী তার স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে আদালতে যান পরীমনি। মাদকের মামলায় প্রতিবেদন দাখিল হওয়া পর্যন্ত তিনি জামিনে ছিলেন। গত ৪ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল আদালতে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযুক্ত অন্য দুজন হলেন আশরাফুল ইসলাম দিপু ও কবির হোসেন। প্রতিবেদন দাখিলের পর আজ তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন।

এর আগে গত ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেন। পরদিন গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্ত হন তিনি।

গত ৪ আগস্ট সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। পরদিন ৫ আগস্ট বিকেল ৫টা ১২ মিনিটে পরীমনি, চলচ্চিত্র প্রযোজক রাজ ও তাদের দুই সহযোগীকে কালো একটি মাইক্রোবাসে বনানী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

এরপর র‌্যাব বাদী হয়ে বনানী থানায় পরীমনি ও তার সহযোগী দীপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে। সেই মামলায় পরীমনিকে আদালতে হাজির করলে প্রথমে চার দিনের রিমান্ড এবং পরে আরো দুই দফায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, পরীমনি ২০১৬ সাল থেকে মাদক সেবন করতেন। এ জন্য বাসায় একটি ‘মিনি বার’ তৈরি করেন। সেখানে নিয়মিত ‘মদের পার্টি’ করতেন। চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজসহ আরো অনেকে তার বাসায় অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকের সরবরাহ করতেন ও পার্টিতে অংশ নিতেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

ট্যাগ :

স্থায়ী জামিন পেলেন পরীমনি

প্রকাশিত : ০৭:০৭:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অক্টোবর ২০২১

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনির স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর রবিবার (১০ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে পরীমনির আইনজীবী তার স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে আদালতে যান পরীমনি। মাদকের মামলায় প্রতিবেদন দাখিল হওয়া পর্যন্ত তিনি জামিনে ছিলেন। গত ৪ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল আদালতে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযুক্ত অন্য দুজন হলেন আশরাফুল ইসলাম দিপু ও কবির হোসেন। প্রতিবেদন দাখিলের পর আজ তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন।

এর আগে গত ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেন। পরদিন গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্ত হন তিনি।

গত ৪ আগস্ট সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। পরদিন ৫ আগস্ট বিকেল ৫টা ১২ মিনিটে পরীমনি, চলচ্চিত্র প্রযোজক রাজ ও তাদের দুই সহযোগীকে কালো একটি মাইক্রোবাসে বনানী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

এরপর র‌্যাব বাদী হয়ে বনানী থানায় পরীমনি ও তার সহযোগী দীপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে। সেই মামলায় পরীমনিকে আদালতে হাজির করলে প্রথমে চার দিনের রিমান্ড এবং পরে আরো দুই দফায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, পরীমনি ২০১৬ সাল থেকে মাদক সেবন করতেন। এ জন্য বাসায় একটি ‘মিনি বার’ তৈরি করেন। সেখানে নিয়মিত ‘মদের পার্টি’ করতেন। চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজসহ আরো অনেকে তার বাসায় অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকের সরবরাহ করতেন ও পার্টিতে অংশ নিতেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ