০৬:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ক্ষমতা থাকলে প্রত্যেকটা মানুষের মুখে হাসি ফোটাতাম: সীমান্ত

  • বাবুল হৃদয়
  • প্রকাশিত : ০৫:৫৯:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২১
  • 47

সীমান্ত আহমেদ

নাটকে অভিনয় দিয়ে শুরু হলেও সিনেমায় তিনি এখন তুমুল ব্যস্ত। তিনি সবার কাছে এখন কমেডি ভিলেন হিসেবে পরিচিত। বলছি অভিনেতা সীমান্ত আহমেদ-এর কথা। তিনি সম্প্রতি এসে ছিলেন বিজনেস বাংলাদেশ অফিসে। বর্তমান ব্যস্ততা ও ক্যারিয়ারের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। স্বাক্ষাতকার নিয়েছেন বাবুল হৃদয়-

আপনার বর্তমান ব্যস্ততা কি নিয়ে-
‘লিডার আমি বাংলাদেশ’ আরটিভির সিনেমা এটার কাজ করছি, আরেকটির কাজ শেষ করলাম
‘ভাইয়ারে’মুক্তির অপেক্ষায়, লাবু ভাইয়ের ‘প্রেম পিরিতি বন্ধন-এর কাজ চলছে।

এই তিনটি সিনেমা আপনাকে কেমন চরিত্রে দর্শক দেখতে পাবে-
‘লিডার আমি বাংলাদেশ ‘-এ বুবলী আপুর বেস্ট ফ্রেন্ড। এখানে একটু মজা, কমেডি রয়েছে। রিভেন্স ছবিতে আমার চরিত্র পুলিশ অফিসার, এই প্রথমবারের মতো পুলিশের চরিত্রে অভিনয় করেছি, আর ‘ভাইয়ারে’ সিনেমায় একটা সিরিয়াস চরিত্রে ‘ অটিস্টিক’ চরিত্রে অভিনয় করেছি। এই সিনেমায় একদম ভিন্ন এক সিমান্তকে দর্শক দেখতে পাবে।

অাপনার অভিনয়ে আশা তো মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর হাত ধরেই, এরপর বৈচিত্র্যপূর্ণ অভিনয় করছেন, আসলে অভিনয় শেখার বিষয়টি নিয়ে যদি বলেন-

মোস্তফা সরয়র ফারুকীর ‘কেরাম-২’ দিয়ে আমার অভিনয় শুরু। একদিন আমি দেখলাম এলাকার মধ্যে খুব ভীড়, লোকজনের হৈ-চৈ, আমি মনে করছি কোনো গেঞ্জাম লাগছে কি না, তো আমি যাই, যাইয়া দেখি শুটিং চলতেছে।
সরয়ার ভাই আমাকে ছোটবেলা থেকেই চেনে। একই এলাকায় বড় হইছি। তো আমাকে দেখে বলে, তুই অভিনয় করবি, সবার থাকে টিভিমিডিয়ার প্রতি ইন্টারেস্ট, তো আমি বললাম হ্যা করবো. ছোট্ট একটা দৌড়ের সিকোয়েন্স দিল, এই তো দৌড় দিয়েই অভিনয়ে যাত্রা শুরু আমার।

সেই যে দৗড় আজও থামছে না, দৌড়ের গতি বেড়েই চলেছে। নাটক থেকে একেবারে সিনেমায়।

এক দৌড়ে কতোগুলো সিনেমা করেছেন-
সিনেমায় তো এলাম ৫ বছর । আমার প্রথম সিনেমা ‘ভালবাসা জিন্দাবাদ’। আমি এ পর্যন্ত ৩৫টি সিনেমার শুটিং করেছি, এরমধ্যে ২৮টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে।
আর অভিনয় শেখার কথা যে বললেন, আমার অভিনয়ে কোনো স্কুলিং নেই, আমি অভিনয় কোথাও শিখিনি।

আপনার মুক্তিপ্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য সিনেমা নিয়ে বলেন-
গত ঈদে মুক্তি পেয়েছিল শাকিব খানের প্রযোজনায় ‘পাসওয়ার্ড’ যা সারা পেয়েছি মনে রাখার মতো, সুপার হিট সিনেমা, এরপর‘ বিজলী’, ‘ভালোবাসতে মন লাগে’, আর ‘ওয়ান ওয়ে,’তবে ‘ভালোবাসতে মন লাগে’, আর ‘ওয়ান ওয়ে,’এই সিনেমা দুটি দিয়ে আমার ইউটার্ন। ভালোবাসতে মন লাগে সিনেমাটা করার পর কালাম ভাই পরিচালক বলছিল জানিনা সিনেমার নায়ক- নায়িকা কি করবে, কেমন ব্যবসা হবে জানিনা, তবে তুমি কিন্তু দাড়িয়ে যাবে। কথাটা কাকতালিও ভাবে লেগে গেছে। আজ তো আমি কাজ করছি, ব্যস্ত এই সিনেমার জন্য।

এই সময়ের হট ডিরেকটর ইফতেখার চৌধুরীর প্রায় সিনেমাতে আপনাকে দেখি, তার সিনেমায় বেশ ভালো কিছু চরিত্রে অভিনয়ও করেছেন, তাকে নিয়ে যদি বলেন-
ইফতেখার ভাইর আমি ঘরের মানুষ, তার সিনেমায় আমি থাকিই। তিনি আমাকে ভেঙেছে। আমি শুধু কমেডি চরিত্র করি তখন তিনি বললো, তোকে আমি ভাঙবো, ভাঙবো মানে তুমি এবার একটা ফুল নেগেটিভ চরিত্র কর, দেখি না কেমন লাগে। এই তো ‘ওয়ান ওয়ে’ ছবিটা করা।
এই ছবিটা করার পর টানা কয়েকটা কাজ পেলাম। এরপর থেকে কমেডি ভিলেন চরিত্রগুলো করা হয়। আমার আজকের আসার পেছনে ইফতেখার ভা্ইর ও অবদান আছে। তিনি যদি এই চরিত্রটা না দিত আমার ভাঙ্গার ব্যাপারটা হতো না। আমি সিমান্তকে এতোটা চিনতো না।

ইফতেখার ভাইর ট্যাকনিক্যাল টিম ভ্যারিস্ট্রং। তিনি একজন স্মাট ডিরেকটর। মানুষও ভালো, তার কাজের স্টাইলটাই আলাদা। একজন মাস্টার মেকার, আমি তার কাছে কৃতজ্ঞ। আমি তার সব ছবিতে আছি। তার মতো একজন ভালো টেকনিক্যাল পার্সনের সঙ্গে কাজ করছি।
আরেক জন আছে যার কথা না বললে নয়, পরিচালক বদিউল আলম খোকন ভাই। ভাইর ছবি মানে আমি আছি। ভাইও চায়ও আমাকে নিয়ে কাজ করতে। এই যে নতুন সিনেমা ‘আগুন’ আসছে সেখানে আমাকে একটা ভালো ক্যারেক্টার দিয়েছে। খোকন ভাইও আমাকে ভাঙছে। ‘অন্দকার জীবন’ সিনেমায় আমার একটি নেগেটিব ক্যারেকটর ছিল। তার কাছেও আমি কুতজ্ঞ; তিনি আমাকে নিয়ে ভাবেন। পাশাপাশি যাদের সঙ্গে এখন কাজ করছি যেমন পরিচালক রকিবুল আলম রকিব ভাই। তার ‘ভাইয়ারে’ করলাম । সতিই ভিন্ন একটি লুকে এই সিনেমায় আমাকে দেখবে। আসলে আমাকে সবাই ভাঙগার চেষ্টা করছে। এই দিনটির জন্যই অামি অপেক্ষা করছিলাম।

কমিডি করেন কেন?
কমিডি করি আমি মানুষ হাসাতে। আমার যদি ক্ষমতা থাকতো , আল্লাহ যদি আমাকে ক্ষমতা দিতেন বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষের মুখে হাসি ফোটাতাম। ক্ষমতাতো আমার নাই, ঔরকম টাকা -পয়সা নাই , ,চাইলেই বাংলাদেশের মানষের হাসি ফোটকে পারছি না তাই হাসি ফোটাবার জন্য অভিনয়ের প্লাটফর্ম যেহেতু আছে,আল্লাহ একটা জায়গা করে দিয়েছে ‘অভিনয়’ সেই জায়গাটা দিয়ে ৫ মিনিটের জন্য হলেও কারো মুখে একটু হাসি ফোটাতে পারলে আমি বলবো এটা আমার বড় স্বার্থকতা।

আগামীর ভাবনা কি
নতুন বছর আসতেছে, আমি যেন নতুন ভাবে দর্শকের সামনে আসতে পারি এই কামনা।

সীমান্ত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিডিওটি দেখুন

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

জনপ্রিয়

বিসিবির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের বোনাস পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা

ক্ষমতা থাকলে প্রত্যেকটা মানুষের মুখে হাসি ফোটাতাম: সীমান্ত

প্রকাশিত : ০৫:৫৯:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২১

নাটকে অভিনয় দিয়ে শুরু হলেও সিনেমায় তিনি এখন তুমুল ব্যস্ত। তিনি সবার কাছে এখন কমেডি ভিলেন হিসেবে পরিচিত। বলছি অভিনেতা সীমান্ত আহমেদ-এর কথা। তিনি সম্প্রতি এসে ছিলেন বিজনেস বাংলাদেশ অফিসে। বর্তমান ব্যস্ততা ও ক্যারিয়ারের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। স্বাক্ষাতকার নিয়েছেন বাবুল হৃদয়-

আপনার বর্তমান ব্যস্ততা কি নিয়ে-
‘লিডার আমি বাংলাদেশ’ আরটিভির সিনেমা এটার কাজ করছি, আরেকটির কাজ শেষ করলাম
‘ভাইয়ারে’মুক্তির অপেক্ষায়, লাবু ভাইয়ের ‘প্রেম পিরিতি বন্ধন-এর কাজ চলছে।

এই তিনটি সিনেমা আপনাকে কেমন চরিত্রে দর্শক দেখতে পাবে-
‘লিডার আমি বাংলাদেশ ‘-এ বুবলী আপুর বেস্ট ফ্রেন্ড। এখানে একটু মজা, কমেডি রয়েছে। রিভেন্স ছবিতে আমার চরিত্র পুলিশ অফিসার, এই প্রথমবারের মতো পুলিশের চরিত্রে অভিনয় করেছি, আর ‘ভাইয়ারে’ সিনেমায় একটা সিরিয়াস চরিত্রে ‘ অটিস্টিক’ চরিত্রে অভিনয় করেছি। এই সিনেমায় একদম ভিন্ন এক সিমান্তকে দর্শক দেখতে পাবে।

অাপনার অভিনয়ে আশা তো মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর হাত ধরেই, এরপর বৈচিত্র্যপূর্ণ অভিনয় করছেন, আসলে অভিনয় শেখার বিষয়টি নিয়ে যদি বলেন-

মোস্তফা সরয়র ফারুকীর ‘কেরাম-২’ দিয়ে আমার অভিনয় শুরু। একদিন আমি দেখলাম এলাকার মধ্যে খুব ভীড়, লোকজনের হৈ-চৈ, আমি মনে করছি কোনো গেঞ্জাম লাগছে কি না, তো আমি যাই, যাইয়া দেখি শুটিং চলতেছে।
সরয়ার ভাই আমাকে ছোটবেলা থেকেই চেনে। একই এলাকায় বড় হইছি। তো আমাকে দেখে বলে, তুই অভিনয় করবি, সবার থাকে টিভিমিডিয়ার প্রতি ইন্টারেস্ট, তো আমি বললাম হ্যা করবো. ছোট্ট একটা দৌড়ের সিকোয়েন্স দিল, এই তো দৌড় দিয়েই অভিনয়ে যাত্রা শুরু আমার।

সেই যে দৗড় আজও থামছে না, দৌড়ের গতি বেড়েই চলেছে। নাটক থেকে একেবারে সিনেমায়।

এক দৌড়ে কতোগুলো সিনেমা করেছেন-
সিনেমায় তো এলাম ৫ বছর । আমার প্রথম সিনেমা ‘ভালবাসা জিন্দাবাদ’। আমি এ পর্যন্ত ৩৫টি সিনেমার শুটিং করেছি, এরমধ্যে ২৮টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে।
আর অভিনয় শেখার কথা যে বললেন, আমার অভিনয়ে কোনো স্কুলিং নেই, আমি অভিনয় কোথাও শিখিনি।

আপনার মুক্তিপ্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য সিনেমা নিয়ে বলেন-
গত ঈদে মুক্তি পেয়েছিল শাকিব খানের প্রযোজনায় ‘পাসওয়ার্ড’ যা সারা পেয়েছি মনে রাখার মতো, সুপার হিট সিনেমা, এরপর‘ বিজলী’, ‘ভালোবাসতে মন লাগে’, আর ‘ওয়ান ওয়ে,’তবে ‘ভালোবাসতে মন লাগে’, আর ‘ওয়ান ওয়ে,’এই সিনেমা দুটি দিয়ে আমার ইউটার্ন। ভালোবাসতে মন লাগে সিনেমাটা করার পর কালাম ভাই পরিচালক বলছিল জানিনা সিনেমার নায়ক- নায়িকা কি করবে, কেমন ব্যবসা হবে জানিনা, তবে তুমি কিন্তু দাড়িয়ে যাবে। কথাটা কাকতালিও ভাবে লেগে গেছে। আজ তো আমি কাজ করছি, ব্যস্ত এই সিনেমার জন্য।

এই সময়ের হট ডিরেকটর ইফতেখার চৌধুরীর প্রায় সিনেমাতে আপনাকে দেখি, তার সিনেমায় বেশ ভালো কিছু চরিত্রে অভিনয়ও করেছেন, তাকে নিয়ে যদি বলেন-
ইফতেখার ভাইর আমি ঘরের মানুষ, তার সিনেমায় আমি থাকিই। তিনি আমাকে ভেঙেছে। আমি শুধু কমেডি চরিত্র করি তখন তিনি বললো, তোকে আমি ভাঙবো, ভাঙবো মানে তুমি এবার একটা ফুল নেগেটিভ চরিত্র কর, দেখি না কেমন লাগে। এই তো ‘ওয়ান ওয়ে’ ছবিটা করা।
এই ছবিটা করার পর টানা কয়েকটা কাজ পেলাম। এরপর থেকে কমেডি ভিলেন চরিত্রগুলো করা হয়। আমার আজকের আসার পেছনে ইফতেখার ভা্ইর ও অবদান আছে। তিনি যদি এই চরিত্রটা না দিত আমার ভাঙ্গার ব্যাপারটা হতো না। আমি সিমান্তকে এতোটা চিনতো না।

ইফতেখার ভাইর ট্যাকনিক্যাল টিম ভ্যারিস্ট্রং। তিনি একজন স্মাট ডিরেকটর। মানুষও ভালো, তার কাজের স্টাইলটাই আলাদা। একজন মাস্টার মেকার, আমি তার কাছে কৃতজ্ঞ। আমি তার সব ছবিতে আছি। তার মতো একজন ভালো টেকনিক্যাল পার্সনের সঙ্গে কাজ করছি।
আরেক জন আছে যার কথা না বললে নয়, পরিচালক বদিউল আলম খোকন ভাই। ভাইর ছবি মানে আমি আছি। ভাইও চায়ও আমাকে নিয়ে কাজ করতে। এই যে নতুন সিনেমা ‘আগুন’ আসছে সেখানে আমাকে একটা ভালো ক্যারেক্টার দিয়েছে। খোকন ভাইও আমাকে ভাঙছে। ‘অন্দকার জীবন’ সিনেমায় আমার একটি নেগেটিব ক্যারেকটর ছিল। তার কাছেও আমি কুতজ্ঞ; তিনি আমাকে নিয়ে ভাবেন। পাশাপাশি যাদের সঙ্গে এখন কাজ করছি যেমন পরিচালক রকিবুল আলম রকিব ভাই। তার ‘ভাইয়ারে’ করলাম । সতিই ভিন্ন একটি লুকে এই সিনেমায় আমাকে দেখবে। আসলে আমাকে সবাই ভাঙগার চেষ্টা করছে। এই দিনটির জন্যই অামি অপেক্ষা করছিলাম।

কমিডি করেন কেন?
কমিডি করি আমি মানুষ হাসাতে। আমার যদি ক্ষমতা থাকতো , আল্লাহ যদি আমাকে ক্ষমতা দিতেন বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষের মুখে হাসি ফোটাতাম। ক্ষমতাতো আমার নাই, ঔরকম টাকা -পয়সা নাই , ,চাইলেই বাংলাদেশের মানষের হাসি ফোটকে পারছি না তাই হাসি ফোটাবার জন্য অভিনয়ের প্লাটফর্ম যেহেতু আছে,আল্লাহ একটা জায়গা করে দিয়েছে ‘অভিনয়’ সেই জায়গাটা দিয়ে ৫ মিনিটের জন্য হলেও কারো মুখে একটু হাসি ফোটাতে পারলে আমি বলবো এটা আমার বড় স্বার্থকতা।

আগামীর ভাবনা কি
নতুন বছর আসতেছে, আমি যেন নতুন ভাবে দর্শকের সামনে আসতে পারি এই কামনা।

সীমান্ত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিডিওটি দেখুন

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ