রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে সোমবার ভোর সাড়ে ৫টায় এ ম্যারাথনের উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। এ প্রতিযোগিতায় ১০০ দৌড়বিদ ফুল ম্যারাথন এবং বাকিরা হাফ ম্যারাথনে অংশ নেন। রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়াম থেকে শুরু হয়ে বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ, গুলশান-২, গুলশান-১ হয়ে হাতিরঝিলে এসে এ ম্যারাথন শেষ হয়। এতে অংশ নেন মরক্কো, কেনিয়া, ইউক্রেন, ইথিওপিয়া, লাটভিয়া, ফ্রান্স, স্পেন, আলজেরিয়া, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশের দৌড়বিদরা।

ফুল ম্যারাথনের দৈর্ঘ্য ৪২.৫০ কিলোমিটার এবং হাফ ম্যারাথনের দৈর্ঘ্য ২১.৯৭ কি.মি. ধরা হয়েছে। এ আয়োজনের কারণে দুপুর পর্যন্ত হাতিরঝিলের সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। এর প্রভাব পড়েছে রাজধানীর অন্যান্য সড়কেও। এই ম্যারাথনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রধান উপদেষ্টা সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

এ আয়োজনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগী হিসেবে আছে আর্মি স্পোর্টস কন্ট্রোল বোর্ড, ট্রাস্ট ইনোভেশন লিমিটেড এবং নেটওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ লিমিটেড। টেকনিক্যাল সহযোগী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন। ম্যারাথন ঘিরে হাতিরঝিল ও আশপাশের এলাকায় যান চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে আগেই দিকনির্দেশনা দেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

বলা হয়, ম্যারাথন এলাকায় ভোর ৪টা থেকে এসব সড়কে যানবাহন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে। হাতিরঝিলে প্রবেশের আগ পর্যন্ত দলটি যতক্ষণ যে সড়ক দিয়ে যাবে, ততক্ষণ সে সকড়টিতে যানবাহন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে, ম্যারাথন দলটি কোনো সড়ক অতিক্রম করার সঙ্গে সঙ্গে সে সড়কটি খুলে দেয়া হবে।