০২:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

ধামইরহাট সীমান্তে দুই বাংলার মিলনমেলা

নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্তে মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে সীমিত পরিসরে দুই বাংলার মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রায় কয়েক হাজার মানুষ স্বজনদের একনজর দেখার জন্য ভীড় করেন। রবিবার সকাল থেকে উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন বিওপির মেইন পিলার নং-২৫৭ এর অভ্যন্তরে কাউটিপাড়া সংলগ্ন মাঠের কাঁটাতারের দুই পার্শ্বে উৎসবমূখর পরিবেশে দুই বাংলার মানুষ মিলনমেলায় অংশগ্রহণ করে। মিলন মেলায় প্রতিবছরে ভারতের গেইট খুলে দিলে তারা বাংলাদেশের সীমানায় এসে বিভিন্ন পণ্য আদান-প্রদান করে থাকলেও এবারে মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে গেট খুলে দেয়া হয়নি। উৎসবমূখর পরিবেশে সকাল থেকে স্বজনেরা আসলেও দুপুরের পর মাত্র আধা ঘন্টার জন্য কাঁটাতারের দুই পার্শ্বে অবস্থানের মধ্য দিয়ে স্বজনেরা একনজর দেখা করতে পারেন। দুই বাংলার কয়েক হাজার মানুষের সমাগম দুইদিকে হলেও প্রিয়জনদের কাছে না পেয়ে অনেকেই বুকভরা কান্না নিয়ে আবার ফিরে গেছেন। এবিষয়ে সাহাপার থেকে আসা বৃদ্ধা শেফালি বেওয়া জানান, আমার ছোট ছেলে তার স্ত্রী সন্তান নিয়ে তারা ভারতে বসবাস করেন। অনেক বছর পরে ছেলেকে দেখব বলে সকাল থেকে বসে আছি কিন্তু মনের আশা পূরণ হলো না। আমি আমার ছেলেকে একনজর দেখতেও পেলাম না। এদিকে আগ্রাদ্বিগুণ বিওপির বিজিবি সদস্যরা সকাল থেকে সাধারণ মানুষদের বিভিন্ন ভাবে সর্তকর্তা প্রদান করেন। পাশাপাশি ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা মাইকিং এর মাধ্যমে মিলনমেলায় উপস্থিত জনসাধারনদের সমাগম রক্ষার্থে চেষ্ঠা চালায়।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

ধামইরহাট সীমান্তে দুই বাংলার মিলনমেলা

প্রকাশিত : ০৭:১৬:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২২

নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্তে মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে সীমিত পরিসরে দুই বাংলার মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রায় কয়েক হাজার মানুষ স্বজনদের একনজর দেখার জন্য ভীড় করেন। রবিবার সকাল থেকে উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন বিওপির মেইন পিলার নং-২৫৭ এর অভ্যন্তরে কাউটিপাড়া সংলগ্ন মাঠের কাঁটাতারের দুই পার্শ্বে উৎসবমূখর পরিবেশে দুই বাংলার মানুষ মিলনমেলায় অংশগ্রহণ করে। মিলন মেলায় প্রতিবছরে ভারতের গেইট খুলে দিলে তারা বাংলাদেশের সীমানায় এসে বিভিন্ন পণ্য আদান-প্রদান করে থাকলেও এবারে মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে গেট খুলে দেয়া হয়নি। উৎসবমূখর পরিবেশে সকাল থেকে স্বজনেরা আসলেও দুপুরের পর মাত্র আধা ঘন্টার জন্য কাঁটাতারের দুই পার্শ্বে অবস্থানের মধ্য দিয়ে স্বজনেরা একনজর দেখা করতে পারেন। দুই বাংলার কয়েক হাজার মানুষের সমাগম দুইদিকে হলেও প্রিয়জনদের কাছে না পেয়ে অনেকেই বুকভরা কান্না নিয়ে আবার ফিরে গেছেন। এবিষয়ে সাহাপার থেকে আসা বৃদ্ধা শেফালি বেওয়া জানান, আমার ছোট ছেলে তার স্ত্রী সন্তান নিয়ে তারা ভারতে বসবাস করেন। অনেক বছর পরে ছেলেকে দেখব বলে সকাল থেকে বসে আছি কিন্তু মনের আশা পূরণ হলো না। আমি আমার ছেলেকে একনজর দেখতেও পেলাম না। এদিকে আগ্রাদ্বিগুণ বিওপির বিজিবি সদস্যরা সকাল থেকে সাধারণ মানুষদের বিভিন্ন ভাবে সর্তকর্তা প্রদান করেন। পাশাপাশি ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা মাইকিং এর মাধ্যমে মিলনমেলায় উপস্থিত জনসাধারনদের সমাগম রক্ষার্থে চেষ্ঠা চালায়।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর