১০:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

আবার দুরাবস্থায় গায়ক আকবর

আবারও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন গায়ক আকবর। ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে গান গেয়ে পরিচিতি লাভ করা এই শিল্পী বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ। গিয়েছিলেন ভারতেরও। তবে এবার নতুন সমস্যা হয়েছে তার হাড়ে। পড়ে গিয়ে মেরুদণ্ডের শেষ হাড়ে (ককসিডাইনিয়া) আঘাত পান তিনি। একই সঙ্গে কিছু নার্ভ সেখানে ঢুকে যাওয়ায় পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াতে পারছেন না। চলছেন ক্র্যাচে ভর দিয়ে।

আকবর জানান, তিনি পড়ে যাওয়ার পর থেকেই সমস্যাটা দেখা দিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘বিপদ আমাকে ছাড়ছেই না। আমি চলতে পারি না। আমার মেরুদণ্ডে হাড়ের মধ্যে নার্ভ ঢুকে গেছে। আমি এমআরআই করেছিলাম। তখন জানিয়েছিল ৭০ হাজার টাকার মতো লাগতে পারে। পরে আবার শুনি, হাড়ের কী যেন চেঞ্জ করতে হবে।’

ইতোমধ্যে চলচ্চিত্র অভিনেতা ডিপজল তাকে অর্থ সাহায্য করেছেন বলেও জানালেন আকবর। তিরি আরও বলেন, ‘এক ডাক্তার ভদ্রমহিলা জানিয়েছিলেন অপারেশনের জন্য ৭০ হাজার টাকা লাগবে। সব মিলিয়ে ১ লাখ। সঙ্গে সঙ্গে আমি ডিপজল ভাইকে ফোন দিই। তিনি ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন। এরপর এখন শুনি যে, মেরুদণ্ডের শেষ হাড়ে সমস্যা। ডিস্কও চেঞ্জ করতে হবে। ৪-৫ লাখ টাকার ব্যাপার। এরমধ্যে মেয়ের স্কুলের ভর্তি, সংসার খরচ- সবই করতে হচ্ছে। অথচ গত ৫ মাস আমি কোনো শো-ই করতে পারিনি।’

তার দুরাবস্থায় প্রধানমন্ত্রী ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র দিয়েছিলেন। জানালেন সেটা নিয়েও সমস্যা পড়েছেন তিনি। তার ভাষ্য, ‘প্রধানমন্ত্রী সঞ্চয়পত্রের যে ২০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন, তখন জানানো হয়েছিল, ৩ বছর পর এটা আমি ভাঙাতে পারবো। ৩ বছর পূর্ণ হলেও ব্যাংক সে টাকা আমাকে দিচ্ছে না। সেটা তুলতে পারলে এখন হয়তো বাঁচতে পারতাম। হয়তো ভবিষ্যতেও বেঁচে থাকবো, তবে পঙ্গু হয়ে।’

উল্লেখ্য, গায়ক হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার আগে যশোরে রিকশা চালাতেন আকবর। গান শেখা হয়নি। তবে তার ভরাট কণ্ঠের কদর ছিল যশোর শহরে। সে কারণে স্টেজ শো হলে ডাক পেতেন তিনি। ২০০৩ সালে যশোর এম এম কলেজের একটি অনুষ্ঠানে গান গেয়েছিলেন আকবর। বাগেরহাটের এক ব্যক্তি তার গান শুনে মুগ্ধ হন। তিনি জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে চিঠি লেখেন আকবরকে নিয়ে। এরপর ইত্যাদি কর্তৃপক্ষ আকবরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ওই বছর ইত্যাদি অনুষ্ঠানে কিশোর কুমারের ‘একদিন পাখি উড়ে যাবে যে আকাশে’ গানটি গেয়ে রাতারাতি পরিচিতি পেয়ে যান আকবর।
বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

আবার দুরাবস্থায় গায়ক আকবর

প্রকাশিত : ০৬:৩১:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২২

আবারও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন গায়ক আকবর। ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে গান গেয়ে পরিচিতি লাভ করা এই শিল্পী বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ। গিয়েছিলেন ভারতেরও। তবে এবার নতুন সমস্যা হয়েছে তার হাড়ে। পড়ে গিয়ে মেরুদণ্ডের শেষ হাড়ে (ককসিডাইনিয়া) আঘাত পান তিনি। একই সঙ্গে কিছু নার্ভ সেখানে ঢুকে যাওয়ায় পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াতে পারছেন না। চলছেন ক্র্যাচে ভর দিয়ে।

আকবর জানান, তিনি পড়ে যাওয়ার পর থেকেই সমস্যাটা দেখা দিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘বিপদ আমাকে ছাড়ছেই না। আমি চলতে পারি না। আমার মেরুদণ্ডে হাড়ের মধ্যে নার্ভ ঢুকে গেছে। আমি এমআরআই করেছিলাম। তখন জানিয়েছিল ৭০ হাজার টাকার মতো লাগতে পারে। পরে আবার শুনি, হাড়ের কী যেন চেঞ্জ করতে হবে।’

ইতোমধ্যে চলচ্চিত্র অভিনেতা ডিপজল তাকে অর্থ সাহায্য করেছেন বলেও জানালেন আকবর। তিরি আরও বলেন, ‘এক ডাক্তার ভদ্রমহিলা জানিয়েছিলেন অপারেশনের জন্য ৭০ হাজার টাকা লাগবে। সব মিলিয়ে ১ লাখ। সঙ্গে সঙ্গে আমি ডিপজল ভাইকে ফোন দিই। তিনি ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন। এরপর এখন শুনি যে, মেরুদণ্ডের শেষ হাড়ে সমস্যা। ডিস্কও চেঞ্জ করতে হবে। ৪-৫ লাখ টাকার ব্যাপার। এরমধ্যে মেয়ের স্কুলের ভর্তি, সংসার খরচ- সবই করতে হচ্ছে। অথচ গত ৫ মাস আমি কোনো শো-ই করতে পারিনি।’

তার দুরাবস্থায় প্রধানমন্ত্রী ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র দিয়েছিলেন। জানালেন সেটা নিয়েও সমস্যা পড়েছেন তিনি। তার ভাষ্য, ‘প্রধানমন্ত্রী সঞ্চয়পত্রের যে ২০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন, তখন জানানো হয়েছিল, ৩ বছর পর এটা আমি ভাঙাতে পারবো। ৩ বছর পূর্ণ হলেও ব্যাংক সে টাকা আমাকে দিচ্ছে না। সেটা তুলতে পারলে এখন হয়তো বাঁচতে পারতাম। হয়তো ভবিষ্যতেও বেঁচে থাকবো, তবে পঙ্গু হয়ে।’

উল্লেখ্য, গায়ক হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার আগে যশোরে রিকশা চালাতেন আকবর। গান শেখা হয়নি। তবে তার ভরাট কণ্ঠের কদর ছিল যশোর শহরে। সে কারণে স্টেজ শো হলে ডাক পেতেন তিনি। ২০০৩ সালে যশোর এম এম কলেজের একটি অনুষ্ঠানে গান গেয়েছিলেন আকবর। বাগেরহাটের এক ব্যক্তি তার গান শুনে মুগ্ধ হন। তিনি জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে চিঠি লেখেন আকবরকে নিয়ে। এরপর ইত্যাদি কর্তৃপক্ষ আকবরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ওই বছর ইত্যাদি অনুষ্ঠানে কিশোর কুমারের ‘একদিন পাখি উড়ে যাবে যে আকাশে’ গানটি গেয়ে রাতারাতি পরিচিতি পেয়ে যান আকবর।
বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ