ঢাকা নগর পরিবহনের নতুন তিন রুটে ২২৫টি বাস চলবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, ‘২২ তম যাত্রা পথে ৫০টি বাস সেবা চালু করা হবে। ২৩ নম্বর যাত্রাপথে ১০০টি বাস এবং ২৬ নম্বর যাত্রাপথে ৭৫টি বাস চালু করা হবে। সব মিলিয়ে ২২৫ টি বাস চালু হবে। আগামী ৯০ দিনের জন্য সময় দিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে। ’নগর ভবনে মঙ্গলবার দুপুরে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২২তম সভায় তিনি এসব তথ্য জানান। গত ২৬ ডিসেম্বর বাস রুট ফ্যাঞ্চাইজির আওতায় ঢাকা নগর পরিবহনের বাস চলাচল শুরু হয়। এখন কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে মোহাম্মদপুর, শংকর, শাহবাগ হয়ে কাচপুর সেতু পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার দীর্ঘ রুটে বাস চলছে। ২১ তম সভায় আরও তিনটি পথ চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আজ ২২ তম সভায় তিনটি পথ চালুর অগ্রগতি পর্যালোচনা ও এই যাত্রাপথগুলোকে আরও সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে বলে জানান মেয়র তাপস। তিনি বলেন, ‘ঢাকা নগর পরিবহন ইতোমধ্যে প্রশংসিত হয়েছে। যাত্রীসেবার মান সন্তোষজনক। আমরা ৫০টি বাস চালু করেছি। বাস সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য যাত্রীরা উৎসুক হয়ে আছেন। সেটা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা আজ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ট্রান্সসিলভা আরও ২০টি বাস চালু করতে পারবে। এটা দ্রুত চালুর ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হবে।’ ঢাকা নগর পরিবহনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন অত্যন্ত দুরূহ ছিল জানিয়ে বলেন, ‘আমরা দুই মেয়র মিলে পরীক্ষায় উচ্চ নম্বর পেয়েছি। আনিসুল হক সাহেবের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। সবার সহযোগিতায় এটি করা সম্ভব হয়েছে। ‘যাত্রী সেবা আমাদের প্রাধান্যের বিষয়। বাস সার্ভিসে যাত্রীরা খুব খুশি। তাদের অতিরিক্ত টাকা ও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে না। আমরা মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পেরেছি।’নতুন টার্মিনালগুলো এবং ঘাটারচরে ডিপো তৈরির কথা জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, ‘ঢাকা নগর পরিবহনের বাসগুলো ঢাকায় চলবে। আন্তঃজেলা বাসগুলো আমাদের চারটি বাস টার্মিনালে নামাবে, ঢাকায় ঢুকবে না। এই টার্মিনালগুলো নির্মাণ এবং ঘাটারচরে ডিপো ও টার্মিনাল করতে হবে। দুই সিটি করপোরেশন তাদের নিজ নিজ টার্মিনাল নির্মাণে কাজ শুরু করবে। দ্রুত এই কার্যক্রম চালুর জন্য আমরা আজ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ট্রান্সসিলভার নতুন ২০টি বাস কবে নামবে জনাতে চাইলে উত্তরে মেয়র তাপস বলেন, ‘৩০ দিনের মধ্যে ট্রান্সসিলভার ২০টি বাস নামবে। জাহান এন্টারপ্রাইজকে ৪০টির প্রস্তাবনা দেয়া আছে।’সভায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাস রুট রেশনালাইজেশন আওতায় শহরের রুট যেগুলো আছে সেগুলোতে কিভাবে দ্রুত বাস সেবা দেয়া যায় সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। রুট ২২-এ কীভাবে আরও ১০০ বাস দেওয়া যায়, সে ব্যাপারে আলোচনা করেছি।