০৬:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

‘আমরা হরতাল করি না বা করতে পারি না, তা না’

বর্তমান সরকার রাষ্ট্র পরিচালনায় সরকার ব্যর্থ। আর এ কারণে জনগণ ক্ষুব্ধ এবং সংগঠিত হচ্ছে। তাই বিএনপি যে কর্মসূচিই দেবে, তাতেই জনগণ সম্পৃক্ত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘আমরা হরতাল করি না, বা করতে পারি না- তা না। কিন্তু যখন-তখন করব কেন? আমরা অবরোধ এর আগে করতে পারি নাই তা না। কিন্তু যখন-তখন করব কেন? যখন করার সিদ্ধান্ত হবে তখন করব।’

মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) আশুরা উপলক্ষে নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে মিলাদ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘জনগণের সংঘবদ্ধ সংগ্রাম প্রতিরোধ মানেই আন্দোলন। সেটা হরতালের মাধ্যমে হতে পারে। আরও বিভিন্ন মাধ্যমে হতে পারে।’
নজরুল ইসলাম খান মনে করেন, বিএনপি এবার যে কর্মসূচি দেবে, তা খুবই সফল হবে। তিনি বলেন, ‘সরকারের যে অযোগ্যতা রাষ্ট্র পরিচালনায়, যে ব্যর্থতা- এর বিরুদ্ধে জনগণের মত সংগঠিত হচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সংগঠিত হচ্ছে। তাতে আগামী দিনে যখনই কর্মসূচি দেব, জনগণ সম্পৃক্ত হবে।’

আন্দোলন নিয়ে বিএনপিকে কোনো মতভেদ আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই সরকারের অনেক মন্ত্রীরা আছেন তারা বলেন আমরা নাকি আন্দোলন করতে পারি না। তারা আন্দোলন বলতে যা বুঝে এটা যদি সবাই বুঝতে চান তাহলে বিপদ হবে।’

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের শেষে এবং ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম সংসদ নির্বাচনের আগে এবং ২০১৫ সালে ওই সরকারের এক বছর পূর্তির দিন থেকে বিএনপির আন্দোলনে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ দেয়া হয়। পরে সেটি অকার্যকর হয়ে পড়লে হরতাল ও অবরোধ একসঙ্গে ঘোষণা করা হয়।
২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর সরকার গঠন হলে বিএনপি তার আন্দোলন স্থগিত করলেও ২০১৫ সালের আন্দোলনের বিষয়ে কোনো ঘোষণা দেয়া হয়নি।

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব

জনপ্রিয়

‘আমরা হরতাল করি না বা করতে পারি না, তা না’

প্রকাশিত : ০৪:৫৮:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ অগাস্ট ২০২২

বর্তমান সরকার রাষ্ট্র পরিচালনায় সরকার ব্যর্থ। আর এ কারণে জনগণ ক্ষুব্ধ এবং সংগঠিত হচ্ছে। তাই বিএনপি যে কর্মসূচিই দেবে, তাতেই জনগণ সম্পৃক্ত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘আমরা হরতাল করি না, বা করতে পারি না- তা না। কিন্তু যখন-তখন করব কেন? আমরা অবরোধ এর আগে করতে পারি নাই তা না। কিন্তু যখন-তখন করব কেন? যখন করার সিদ্ধান্ত হবে তখন করব।’

মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) আশুরা উপলক্ষে নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে মিলাদ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘জনগণের সংঘবদ্ধ সংগ্রাম প্রতিরোধ মানেই আন্দোলন। সেটা হরতালের মাধ্যমে হতে পারে। আরও বিভিন্ন মাধ্যমে হতে পারে।’
নজরুল ইসলাম খান মনে করেন, বিএনপি এবার যে কর্মসূচি দেবে, তা খুবই সফল হবে। তিনি বলেন, ‘সরকারের যে অযোগ্যতা রাষ্ট্র পরিচালনায়, যে ব্যর্থতা- এর বিরুদ্ধে জনগণের মত সংগঠিত হচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সংগঠিত হচ্ছে। তাতে আগামী দিনে যখনই কর্মসূচি দেব, জনগণ সম্পৃক্ত হবে।’

আন্দোলন নিয়ে বিএনপিকে কোনো মতভেদ আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই সরকারের অনেক মন্ত্রীরা আছেন তারা বলেন আমরা নাকি আন্দোলন করতে পারি না। তারা আন্দোলন বলতে যা বুঝে এটা যদি সবাই বুঝতে চান তাহলে বিপদ হবে।’

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের শেষে এবং ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম সংসদ নির্বাচনের আগে এবং ২০১৫ সালে ওই সরকারের এক বছর পূর্তির দিন থেকে বিএনপির আন্দোলনে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ দেয়া হয়। পরে সেটি অকার্যকর হয়ে পড়লে হরতাল ও অবরোধ একসঙ্গে ঘোষণা করা হয়।
২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর সরকার গঠন হলে বিএনপি তার আন্দোলন স্থগিত করলেও ২০১৫ সালের আন্দোলনের বিষয়ে কোনো ঘোষণা দেয়া হয়নি।

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব