১২:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা শনিবার, প্রস্তুত জবি

গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষার দ্বিতীয় ধাপে শনিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‌‌‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। দেশের অন্যান্য কেন্দ্রগুলোর মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রেও সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়ার কথা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

দেশব্যাপী চলমান গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষার মানবিক বিভাগে ‘বি’ ইউনিটভুক্ত পরীক্ষা ১৩ আগস্ট দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সারাদেশের ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে একযোগে পরীক্ষা হবে। এতে অংশ নিবেন ৯৫ হাজার ৬৩৭ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় কেন্দ্র জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ২১ হাজার ৭৬৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেবেন। যা মোট পরীক্ষার্থীর ২২ শতাংশেরও অধিক। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও উপকেন্দ্র হিসেবে ৩টি স্কুল-কলেজে পরীক্ষা নেয়া হবে।

২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সমন্বিত (স্নাতক) সম্মান ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা নিতে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীরা যেন সহজেই নিজেদের আসন খুঁজে পান, সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় ডিজিটাল ব্যানারে রোল নম্বর, কেন্দ্র এবং ভবন নির্দেশক বসানো হয়েছে।

মানবিক বিভাগের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ‘বি’ ইউনিটের সমন্বয়কারী ও কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন।

অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন জানান, সিট-কার্ড, ডোরস্টিকারসহ পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এরই মধ্যে কেন্দ্রসমূহে প্রেরণ করা হয়েছে। পরীক্ষার দিন ভর্তিচ্ছুদের সহায়তা দিতে বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, রেঞ্জার ইউনিট সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে। কেন্দ্রের বাইরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এবং পরীক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের সাহায্যে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠির মাধ্যমে অবগত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘গুচ্ছভুক্ত সব কেন্দ্রে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি কেন্দ্র। আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে ৪০টি কেন্দ্রে ভাগ করেছি এবং বাহিরে ৩টি কেন্দ্র। সর্বমোট ৪৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষা নেয়ার জন্য আমরা সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা নেয়ার জন্য যা কিছু করা দরকার, সেভাবে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।’

‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার যুগ্ম সমন্বয়কারী ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, বিজ্ঞান বিভাগের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রের ফন্ট সাইজ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এ বিষয়টি আমরা কেন্দ্রীয় ভর্তি সেন্ট্রাল কমিটিকে জানিয়েছি। এছাড়া পরীক্ষার্থীরা এবার কোন প্রকার মোবাইল, ঘড়ি, ডিভাইস নিয়ে যাতে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না পারে- এ ব্যাপারে আমাদের সর্বোচ্চ নির্দেশনা দেয়া আছে।

‘বি’ ইউনিটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অংশ নিচ্ছে ১১ হাজার ৯২৭ জন পরীক্ষার্থী। পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে ৪০ টি কেন্দ্রে ভাগ করে ১৬৩টি কক্ষে পরীক্ষা নেয়া হবে। জবি ক্যাম্পাসে ৩০০০০১ থেকে ৩১১৯২৭ পর্যন্ত রোলধারী ভর্তি-ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীর আসন পড়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রের অধীনে রাজধানীর তিনটি উপকেন্দ্রেও আসন বিন্যাস করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪১ নং কেন্দ্র হিসেবে ঢাকার কাকরাইলে অবস্থিত উইল্‌স্ লিট্‌ল্ ফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজে ৩১১৯২৮ রোল নং থেকে ৩১৫৫২৭ পর্যন্ত মোট ৩৬০০ জন, ৪২ নং কেন্দ্র হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৩১৫৫২৮ থেকে ৩১৭২২৩ পর্যন্ত ১৬৯৬ জন এবং ৪৩ নং কেন্দ্র হিসেবে সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে ৩১৭২২৪ থেকে ৩২১৭৬৯ রোল পর্যন্ত ৪৫৪৬ জন পরীক্ষায় অংশ নিবেন। বাইরের তিনটি উপকেন্দ্রে সর্বমোট ৯ হাজার ৮৪২ জন পরীক্ষার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।

গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি জানিয়েছে, ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন হবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে অর্থাৎ সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। এতে মোট ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা নেয়া হবে। পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য কাটা যাবে শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর। পাশ নম্বর হবে ৩০। তবে বিভাগ পরিবর্তনের জন্য আলাদা কোনো পরীক্ষা নেয়া হবে না।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পরীক্ষা আয়োজন কমিটির সদস্যদের পাশাপাশি প্রক্টরিয়াল বডি সার্বক্ষণিক কাজ করবে। এছাড়াও পরীক্ষার্থীদের আইটি সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ভর্তি-ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র কিংবা কেউ ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির ব্যাপারে সন্দেহ হলে সাথে সাথে ‘কুইক রেসপন্স টিম’ এর মাধ্যমে তথ্য পাওয়া যাবে। এই টিমের দায়িত্বে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি সেলের সহযোগী পরিচালক ড. মো. জুলফিকার মাহমুদ।

‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষার মতো শনিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের সারিবদ্ধভাবে প্রবেশ করানো হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি ফটক ও পোগোজ স্কুলের ফটকসহ মোট চারটি ফটক দিয়ে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে।

এর আগে ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ৬৪ হাজার শিক্ষার্থীর পরীক্ষার আসন পড়ে। ওইদিন প্রায় ৯৪ শতাংশ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। ৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে ‘এ’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

পরীক্ষার্থীদের জন্য নির্দেশাবলী

# পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই সকাল ১১:৩০ মিনিটের মধ্যে স্ব স্ব কেন্দ্রে নিজস্ব আসনে বসতে হবে। পরীক্ষার্থীরা রােল নম্বর ও ছবি সম্বলিত সিট ট্যাগ দেখে নিজ নিজ আসনে বসবে।

# পরীক্ষার্থীরা কোন অবস্থাতেই বই, কাগজপত্র, ব্যাগ, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, ঘড়ি, ক্যামেরা, ট্যাব, এটিএম কার্ড বা ব্লুটুথ ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না।

# পরীক্ষাটি দুপুর ১২:০০টা হতে বেলা ১:০০টা পর্যন্ত এক ঘন্টা ব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে।

# উত্তরপত্র অর্থাৎ ওএমআর শিট পাওয়ার পর উপরের অংশে পরীক্ষার্থীকে তার নাম বাংলা ও ইংরেজিতে এবং মাতা ও পিতার নাম সুস্পষ্টভাবে ইংরেজিতে লিখে নির্ধারিত স্থানে স্বাক্ষর করতে হবে। প্রবেশপত্র, উত্তরপত্র এবং এটেন্ডেন্স শিট-এর স্বাক্ষর অবশ্যই এক হতে হবে। প্রবেশপত্র অনুযায়ী রোল নম্বর নির্দিষ্ট জায়গায় লিখে সংশ্লিষ্ট বৃত্ত যথাযথভাবে ভরাট করতে হবে।

# প্রশ্ন পাওয়ার পর পরীক্ষার্থীকে ওএমআর শিট-এ সর্বপ্রথম সেট কোড লিখে সংশ্লিষ্ট বৃত্ত ভরাট করতে হবে।

# রোল নম্বর ও সেট কোড এ কোন প্রকার ঘষামাজা অথবা কাটাকাটি করলে উত্তরপত্র সরাসরি বাতিল বলে গণ্য হবে।

# পরীক্ষা চলাকালীন কোন পরীক্ষার্থী কক্ষ ত্যাগ করবে না। পরীক্ষা শেষে পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ওএমআর শিট সংগ্রহ করার পর নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত পরীক্ষার্থীরা কক্ষে অবস্থান করবে।

# প্রশ্ন উভয় পৃষ্ঠায় স্পষ্টভাবে মুদ্রিত আছে কি না নিশ্চিত হতে হবে। উভয় পৃষ্ঠায় না থাকলে প্রশ্নপত্র পরিবর্তনের জন্য পরিদর্শককে অবহিত করতে হবে।

# পরিদর্শক উত্তরপত্র ও প্রবেশপত্রে ছবির উপর স্বাক্ষর করেছেন কি না পরীক্ষার কক্ষ ত্যাগ করার পূর্বে নিশ্চিত হতে হবে।
বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

ট্যাগ :

গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা শনিবার, প্রস্তুত জবি

প্রকাশিত : ০৭:১৭:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ অগাস্ট ২০২২

গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষার দ্বিতীয় ধাপে শনিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‌‌‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। দেশের অন্যান্য কেন্দ্রগুলোর মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রেও সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়ার কথা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

দেশব্যাপী চলমান গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষার মানবিক বিভাগে ‘বি’ ইউনিটভুক্ত পরীক্ষা ১৩ আগস্ট দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সারাদেশের ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে একযোগে পরীক্ষা হবে। এতে অংশ নিবেন ৯৫ হাজার ৬৩৭ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় কেন্দ্র জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ২১ হাজার ৭৬৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেবেন। যা মোট পরীক্ষার্থীর ২২ শতাংশেরও অধিক। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও উপকেন্দ্র হিসেবে ৩টি স্কুল-কলেজে পরীক্ষা নেয়া হবে।

২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সমন্বিত (স্নাতক) সম্মান ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা নিতে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীরা যেন সহজেই নিজেদের আসন খুঁজে পান, সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় ডিজিটাল ব্যানারে রোল নম্বর, কেন্দ্র এবং ভবন নির্দেশক বসানো হয়েছে।

মানবিক বিভাগের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ‘বি’ ইউনিটের সমন্বয়কারী ও কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন।

অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন জানান, সিট-কার্ড, ডোরস্টিকারসহ পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এরই মধ্যে কেন্দ্রসমূহে প্রেরণ করা হয়েছে। পরীক্ষার দিন ভর্তিচ্ছুদের সহায়তা দিতে বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, রেঞ্জার ইউনিট সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে। কেন্দ্রের বাইরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এবং পরীক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের সাহায্যে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠির মাধ্যমে অবগত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘গুচ্ছভুক্ত সব কেন্দ্রে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি কেন্দ্র। আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে ৪০টি কেন্দ্রে ভাগ করেছি এবং বাহিরে ৩টি কেন্দ্র। সর্বমোট ৪৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষা নেয়ার জন্য আমরা সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা নেয়ার জন্য যা কিছু করা দরকার, সেভাবে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।’

‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার যুগ্ম সমন্বয়কারী ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, বিজ্ঞান বিভাগের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রের ফন্ট সাইজ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এ বিষয়টি আমরা কেন্দ্রীয় ভর্তি সেন্ট্রাল কমিটিকে জানিয়েছি। এছাড়া পরীক্ষার্থীরা এবার কোন প্রকার মোবাইল, ঘড়ি, ডিভাইস নিয়ে যাতে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না পারে- এ ব্যাপারে আমাদের সর্বোচ্চ নির্দেশনা দেয়া আছে।

‘বি’ ইউনিটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অংশ নিচ্ছে ১১ হাজার ৯২৭ জন পরীক্ষার্থী। পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে ৪০ টি কেন্দ্রে ভাগ করে ১৬৩টি কক্ষে পরীক্ষা নেয়া হবে। জবি ক্যাম্পাসে ৩০০০০১ থেকে ৩১১৯২৭ পর্যন্ত রোলধারী ভর্তি-ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীর আসন পড়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রের অধীনে রাজধানীর তিনটি উপকেন্দ্রেও আসন বিন্যাস করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪১ নং কেন্দ্র হিসেবে ঢাকার কাকরাইলে অবস্থিত উইল্‌স্ লিট্‌ল্ ফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজে ৩১১৯২৮ রোল নং থেকে ৩১৫৫২৭ পর্যন্ত মোট ৩৬০০ জন, ৪২ নং কেন্দ্র হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৩১৫৫২৮ থেকে ৩১৭২২৩ পর্যন্ত ১৬৯৬ জন এবং ৪৩ নং কেন্দ্র হিসেবে সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে ৩১৭২২৪ থেকে ৩২১৭৬৯ রোল পর্যন্ত ৪৫৪৬ জন পরীক্ষায় অংশ নিবেন। বাইরের তিনটি উপকেন্দ্রে সর্বমোট ৯ হাজার ৮৪২ জন পরীক্ষার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।

গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি জানিয়েছে, ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন হবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে অর্থাৎ সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। এতে মোট ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা নেয়া হবে। পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য কাটা যাবে শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর। পাশ নম্বর হবে ৩০। তবে বিভাগ পরিবর্তনের জন্য আলাদা কোনো পরীক্ষা নেয়া হবে না।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পরীক্ষা আয়োজন কমিটির সদস্যদের পাশাপাশি প্রক্টরিয়াল বডি সার্বক্ষণিক কাজ করবে। এছাড়াও পরীক্ষার্থীদের আইটি সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ভর্তি-ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র কিংবা কেউ ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির ব্যাপারে সন্দেহ হলে সাথে সাথে ‘কুইক রেসপন্স টিম’ এর মাধ্যমে তথ্য পাওয়া যাবে। এই টিমের দায়িত্বে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি সেলের সহযোগী পরিচালক ড. মো. জুলফিকার মাহমুদ।

‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষার মতো শনিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের সারিবদ্ধভাবে প্রবেশ করানো হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি ফটক ও পোগোজ স্কুলের ফটকসহ মোট চারটি ফটক দিয়ে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে।

এর আগে ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ৬৪ হাজার শিক্ষার্থীর পরীক্ষার আসন পড়ে। ওইদিন প্রায় ৯৪ শতাংশ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। ৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে ‘এ’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

পরীক্ষার্থীদের জন্য নির্দেশাবলী

# পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই সকাল ১১:৩০ মিনিটের মধ্যে স্ব স্ব কেন্দ্রে নিজস্ব আসনে বসতে হবে। পরীক্ষার্থীরা রােল নম্বর ও ছবি সম্বলিত সিট ট্যাগ দেখে নিজ নিজ আসনে বসবে।

# পরীক্ষার্থীরা কোন অবস্থাতেই বই, কাগজপত্র, ব্যাগ, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, ঘড়ি, ক্যামেরা, ট্যাব, এটিএম কার্ড বা ব্লুটুথ ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না।

# পরীক্ষাটি দুপুর ১২:০০টা হতে বেলা ১:০০টা পর্যন্ত এক ঘন্টা ব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে।

# উত্তরপত্র অর্থাৎ ওএমআর শিট পাওয়ার পর উপরের অংশে পরীক্ষার্থীকে তার নাম বাংলা ও ইংরেজিতে এবং মাতা ও পিতার নাম সুস্পষ্টভাবে ইংরেজিতে লিখে নির্ধারিত স্থানে স্বাক্ষর করতে হবে। প্রবেশপত্র, উত্তরপত্র এবং এটেন্ডেন্স শিট-এর স্বাক্ষর অবশ্যই এক হতে হবে। প্রবেশপত্র অনুযায়ী রোল নম্বর নির্দিষ্ট জায়গায় লিখে সংশ্লিষ্ট বৃত্ত যথাযথভাবে ভরাট করতে হবে।

# প্রশ্ন পাওয়ার পর পরীক্ষার্থীকে ওএমআর শিট-এ সর্বপ্রথম সেট কোড লিখে সংশ্লিষ্ট বৃত্ত ভরাট করতে হবে।

# রোল নম্বর ও সেট কোড এ কোন প্রকার ঘষামাজা অথবা কাটাকাটি করলে উত্তরপত্র সরাসরি বাতিল বলে গণ্য হবে।

# পরীক্ষা চলাকালীন কোন পরীক্ষার্থী কক্ষ ত্যাগ করবে না। পরীক্ষা শেষে পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ওএমআর শিট সংগ্রহ করার পর নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত পরীক্ষার্থীরা কক্ষে অবস্থান করবে।

# প্রশ্ন উভয় পৃষ্ঠায় স্পষ্টভাবে মুদ্রিত আছে কি না নিশ্চিত হতে হবে। উভয় পৃষ্ঠায় না থাকলে প্রশ্নপত্র পরিবর্তনের জন্য পরিদর্শককে অবহিত করতে হবে।

# পরিদর্শক উত্তরপত্র ও প্রবেশপত্রে ছবির উপর স্বাক্ষর করেছেন কি না পরীক্ষার কক্ষ ত্যাগ করার পূর্বে নিশ্চিত হতে হবে।
বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ