১০:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫

রায়গঞ্জে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে বিপাকে কৃষক

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে চলতি মৌসুমে পাটের বা¤পার ফলন হলেও তীব্র তাপদাহ ও প্রয়োজনীয় পানির অভাবে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। তাপদাহের কারণে জমিতেই শুকিয়ে যাচ্ছে কাটা পাট। চাহিদামত বৃষ্টিপাত না হলে পাটের ব্যাপক ক্ষতির আশংকা করছেন কৃষকরা। শ্রাবণ মাস শেষ। তবু এলাকায় কাঙ্খিত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় চাষিদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। চাষিদের অনেকেই বৃষ্টিপাতের আশায় পাট কেটে জমিতে, কেউবা রাস্তার পাশে, খাল-বিল বা ডোবার পাশে স্তুপ করে রেখে দিয়েছেন। এদের মধ্যে অনেকে আবার খাল-বিল বা জলাশয় এর অল্প পানিতেই পাটের উপর মাটি ও ভারী কিছু চাপা দিয়ে পাট পচানোর চেষ্টা করছেন। পাট কাটার সময় হলেও পাট জাগ দেওয়ার অসুবিধার কথা ভেবে পাট কাটতে পারছেন না অনেকে। অনেক কৃষক পুকুর বা ছোট জলাশয়ে সেচ দিয়ে পানির ব্যবস্থা করলেও তাদের গুণতে হচ্ছে বাড়তি খরচ। বিভিন্ন এলাকায় এখনও প্রচুর পাট ক্ষেতেই রয়ে গেছে। উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের চকসাত্রা গ্রামের পাটচাষি সাইফুল ইসলাম, একই ইউনিয়নের বিলধামাই গ্রামের খয়রাত জামাল, ঘুরকা ইউনিয়নের রয়হাটি দিয়ারপাড়া গ্রামের আলেয়া খাতুন ও আকতার হোসেনসহ একাধিক কৃষকদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. শহীদুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকায় মোট ৭৮৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। এরমধ্যে দেশী ৫ হেক্টর, মেছতা ২৪০ হেক্টর ও তোষা জাতের পাট ৫৪০ হেক্টর। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রিবন রেটিং পদ্ধতিতে খুব অল্প পানিতে পাট জাগ দেওয়া সম্ভব। এব্যাপারে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব

ট্যাগ :

রায়গঞ্জে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে বিপাকে কৃষক

প্রকাশিত : ০১:৪৬:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২২

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে চলতি মৌসুমে পাটের বা¤পার ফলন হলেও তীব্র তাপদাহ ও প্রয়োজনীয় পানির অভাবে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। তাপদাহের কারণে জমিতেই শুকিয়ে যাচ্ছে কাটা পাট। চাহিদামত বৃষ্টিপাত না হলে পাটের ব্যাপক ক্ষতির আশংকা করছেন কৃষকরা। শ্রাবণ মাস শেষ। তবু এলাকায় কাঙ্খিত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় চাষিদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। চাষিদের অনেকেই বৃষ্টিপাতের আশায় পাট কেটে জমিতে, কেউবা রাস্তার পাশে, খাল-বিল বা ডোবার পাশে স্তুপ করে রেখে দিয়েছেন। এদের মধ্যে অনেকে আবার খাল-বিল বা জলাশয় এর অল্প পানিতেই পাটের উপর মাটি ও ভারী কিছু চাপা দিয়ে পাট পচানোর চেষ্টা করছেন। পাট কাটার সময় হলেও পাট জাগ দেওয়ার অসুবিধার কথা ভেবে পাট কাটতে পারছেন না অনেকে। অনেক কৃষক পুকুর বা ছোট জলাশয়ে সেচ দিয়ে পানির ব্যবস্থা করলেও তাদের গুণতে হচ্ছে বাড়তি খরচ। বিভিন্ন এলাকায় এখনও প্রচুর পাট ক্ষেতেই রয়ে গেছে। উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের চকসাত্রা গ্রামের পাটচাষি সাইফুল ইসলাম, একই ইউনিয়নের বিলধামাই গ্রামের খয়রাত জামাল, ঘুরকা ইউনিয়নের রয়হাটি দিয়ারপাড়া গ্রামের আলেয়া খাতুন ও আকতার হোসেনসহ একাধিক কৃষকদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. শহীদুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকায় মোট ৭৮৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। এরমধ্যে দেশী ৫ হেক্টর, মেছতা ২৪০ হেক্টর ও তোষা জাতের পাট ৫৪০ হেক্টর। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রিবন রেটিং পদ্ধতিতে খুব অল্প পানিতে পাট জাগ দেওয়া সম্ভব। এব্যাপারে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব