০৩:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতাসহ অর্ধশতাধীন গ্রেফতার-র‍্যাব ৩

র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‍্যাব-৩ এর আওতাধীন সকল নাগরিকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে প্রতিনিয়ত ।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রী ও পথচারী ছিনতাইকারী কবলে পড়ে সর্বস্ব হারিয়ে জখমপ্রাপ্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থাকেন। এসব ভুক্তভোগীদের বেশির ভাগই কোন আইন শৃংখলা বাহিনীর দারস্থ হয় না। ফলে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের তৎপরতা দিন দিন বেপরোয়াভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যদের প্রায় সকলেই মাদকাসক্ত। সাম্প্রতিককালে ছিনতাইকারী চক্রের তৎপরতা বৃদ্ধির বিষয়টি ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হচ্ছে।

এরই প্রেক্ষিতে র‍্যাব-৩ এর আভিযানিক দল রাজধানীর গত ২০ আগষ্ট ২০২২ তারিখ রাতে রাজধানীর শাহজাহানপুর, মতিঝিল, মুগদা এবং তেজগাঁও থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সংঘবদ্ধ অজ্ঞানপার্টি ও ছিনতাইকারী চক্রের মুল হোতা ,মোঃ মিজানুর রহমান (২১)মোঃ সোহেল (২০),মাসুদ রানা (২১)সাব্বির (২২)মোঃ আবু বকর সিদ্দিক (২২)শাকিল (২০)নাঈম মোল্লা (২০)মোঃ সালমান(২৬)মোঃ জালাল হোসেন (২১)মোঃ শাওন (২২)সহ অর্ধশতাধিক ছিনতাইকারী মলম পার্টিকে র‍্যাব-৩ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

গ্রেফতারকালে উক্ত আসামীদের নিকট হতে ১২ টি মোবাইলফোন, ০৩ টি সুইচ গিয়ার, ০৩ টি এন্টি কাটার, ১২ টি ব্লেড, ০১ টি কাঁচি, ০৬ টি চাকু, ০৩ টি ক্ষুর, ০৭ টি বিষাক্ত মলমের কৌটা, ০২ টি বিষাক্ত স্প্রে এবং নগদ ৮,১১০/-টাকা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, রাজধানীর বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশন এলাকায় ছিনতাইকারী সদস্যরা ঘোরাফেরা করতে থাকে। তারপর সহজ সরল যাত্রীদের টার্গেট করে কখনও তাদেরকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এবং বিষাক্ত চেতনানাশক ঔষধ মিশিয়ে খাওয়ানোর চেষ্টা করে।

উক্ত বিষাক্ত পানীয় সেবন করার বা বিষাক্ত স্প্রের ঘ্রাণ নেওয়ার পর উক্ত যাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়লে তার সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে তারা ভিড়ের মধ্যে মিশে যায়। এছাড়াও কখনও ভিড়ের মধ্যে যাত্রীদের চোখে-মূখে বিষাক্ত মলম বা মরিচের গুড়া বা বিষাক্ত স্প্রে করে যাত্রীদের যন্ত্রণায় কাতর করে সর্বস্ব কেড়ে নেয়। উক্ত সময়ে ভূক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা সীমাহীন দূর্ভোগের মধ্যে পড়েন। তারা স্বজনদের খোঁজে দিশাহারা হয়ে দ্বিগবিদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন। এসব ছিনতাইকারী সদস্যদের ভূক্তভোগীরা খুব কম ক্ষেত্রেই সনাক্ত করতে পারেন। ফলে এসব ছিনতাইকারী সদস্যরা নির্বিঘে তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।

রাজধানীবাসী এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে রাজধানীতে আগত যাত্রীরা যাতে নিরাপদে দৈনন্দিন কাজকর্ম সম্পন্ন করে নির্বিঘে স্বস্তির সাথে বাড়ী ফিরে যেতে পারেন এলক্ষ্য নিয়ে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের বিরুদ্ধে র‍্যাব-৩
সাড়াঁশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।ধৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব

জনপ্রিয়

একজন ব্যবসায়ী বান্ধব নেতা ওয়াহিদুল হাসান দিপু

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতাসহ অর্ধশতাধীন গ্রেফতার-র‍্যাব ৩

প্রকাশিত : ০৩:০৩:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ অগাস্ট ২০২২

র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‍্যাব-৩ এর আওতাধীন সকল নাগরিকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে প্রতিনিয়ত ।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রী ও পথচারী ছিনতাইকারী কবলে পড়ে সর্বস্ব হারিয়ে জখমপ্রাপ্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থাকেন। এসব ভুক্তভোগীদের বেশির ভাগই কোন আইন শৃংখলা বাহিনীর দারস্থ হয় না। ফলে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের তৎপরতা দিন দিন বেপরোয়াভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যদের প্রায় সকলেই মাদকাসক্ত। সাম্প্রতিককালে ছিনতাইকারী চক্রের তৎপরতা বৃদ্ধির বিষয়টি ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হচ্ছে।

এরই প্রেক্ষিতে র‍্যাব-৩ এর আভিযানিক দল রাজধানীর গত ২০ আগষ্ট ২০২২ তারিখ রাতে রাজধানীর শাহজাহানপুর, মতিঝিল, মুগদা এবং তেজগাঁও থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সংঘবদ্ধ অজ্ঞানপার্টি ও ছিনতাইকারী চক্রের মুল হোতা ,মোঃ মিজানুর রহমান (২১)মোঃ সোহেল (২০),মাসুদ রানা (২১)সাব্বির (২২)মোঃ আবু বকর সিদ্দিক (২২)শাকিল (২০)নাঈম মোল্লা (২০)মোঃ সালমান(২৬)মোঃ জালাল হোসেন (২১)মোঃ শাওন (২২)সহ অর্ধশতাধিক ছিনতাইকারী মলম পার্টিকে র‍্যাব-৩ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

গ্রেফতারকালে উক্ত আসামীদের নিকট হতে ১২ টি মোবাইলফোন, ০৩ টি সুইচ গিয়ার, ০৩ টি এন্টি কাটার, ১২ টি ব্লেড, ০১ টি কাঁচি, ০৬ টি চাকু, ০৩ টি ক্ষুর, ০৭ টি বিষাক্ত মলমের কৌটা, ০২ টি বিষাক্ত স্প্রে এবং নগদ ৮,১১০/-টাকা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, রাজধানীর বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশন এলাকায় ছিনতাইকারী সদস্যরা ঘোরাফেরা করতে থাকে। তারপর সহজ সরল যাত্রীদের টার্গেট করে কখনও তাদেরকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এবং বিষাক্ত চেতনানাশক ঔষধ মিশিয়ে খাওয়ানোর চেষ্টা করে।

উক্ত বিষাক্ত পানীয় সেবন করার বা বিষাক্ত স্প্রের ঘ্রাণ নেওয়ার পর উক্ত যাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়লে তার সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে তারা ভিড়ের মধ্যে মিশে যায়। এছাড়াও কখনও ভিড়ের মধ্যে যাত্রীদের চোখে-মূখে বিষাক্ত মলম বা মরিচের গুড়া বা বিষাক্ত স্প্রে করে যাত্রীদের যন্ত্রণায় কাতর করে সর্বস্ব কেড়ে নেয়। উক্ত সময়ে ভূক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা সীমাহীন দূর্ভোগের মধ্যে পড়েন। তারা স্বজনদের খোঁজে দিশাহারা হয়ে দ্বিগবিদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন। এসব ছিনতাইকারী সদস্যদের ভূক্তভোগীরা খুব কম ক্ষেত্রেই সনাক্ত করতে পারেন। ফলে এসব ছিনতাইকারী সদস্যরা নির্বিঘে তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।

রাজধানীবাসী এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে রাজধানীতে আগত যাত্রীরা যাতে নিরাপদে দৈনন্দিন কাজকর্ম সম্পন্ন করে নির্বিঘে স্বস্তির সাথে বাড়ী ফিরে যেতে পারেন এলক্ষ্য নিয়ে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের বিরুদ্ধে র‍্যাব-৩
সাড়াঁশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।ধৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব