বাণিজ্য সম্পর্ক ভেস্তে যাওয়ায় প্রথমবারের মতো রাশিয়া থেকে যুক্তরাজ্যের জ্বালানি আমদানি শূন্যে নেমেছে। ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেয় দেশটি। এরপর নিজেদের বেধে দেয়া সময়ের আগেই জ্বালানি আমদানি পুরোপুরি বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছে যুক্তরাজ্য। খবর গার্ডিয়ান।
কিয়েভ আক্রমণের ছয় মাস পূর্ণ হওয়ার দিন ব্রিটেনের পরিসংখ্যান অফিস ওএনএস এক বিবৃতিতে জানায়, জুনে রাশিয়া থেকে সামগ্রিকভাবে আমদানির পরিমাণ ৯৭ শতাংশ কমে ৩ কোটি ৩০ লাখ পাউন্ডে দাঁড়িয়েছে।
যুক্তরাজ্য চলতি বছরের শেষ নাগাদ রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল আমদানি শূন্যে নামানোর পরিকল্পনা করে। তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের ক্ষেত্রেও একই নীতি শিগগির কার্যকর করার কথা ছিল। কিন্তু গত জুনেই দেশটি সেই লক্ষ্য অর্জন করে।
যুদ্ধ শুরুর আগে রাশিয়া থেকে গড়ে মাসে প্রায় ৫০ কোটি পাউন্ডের জ্বালানি তেল আমদানি করেছে, যা এখন শূন্যে এসে দাঁড়িয়েছে। ১৯৯৭ সালে আধুনিক রেকর্ড শুরুর পর প্রথমবার এমনটি ঘটল। ওএনএস জানায়, এ সময়ে ঘাটতি পূরণে সৌদি আরব, কুয়েত, নেদারল্যান্ডস ও বেলজিয়াম থেকে পরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানি বাড়িয়ে দিয়েছে যুক্তরাজ্য।
ইউক্রেন আক্রমণের পর ভদকাসহ অন্যান্য রাশিয়ান পণ্যের আমদানিও শূন্যে নেমে এসেছে। লোহা ও ইস্পাত, রূপা, সোনা, কাঠের পণ্য এবং উচ্চ মূল্যের পণ্য ও অন্যান্য সামগ্রীর ওপর উচ্চহারে শুল্ক চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল।
যুক্তরাজ্য থেকে রাশিয়ায় রফতানিও তীব্রভাবে কমেছে, তবে তা আমদানির তুলনায় কম। কারণ ফার্মাসিউটিক্যালসহ কিছু পণ্য ২৪ ফেব্রুয়ারির আক্রমণের পর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্ত ছিল।
যুদ্ধ শুরুর আগের ১২ মাস যুক্তরাজ্য গড়ে ২৫ কোটি পাউন্ডের বেশি রফতানি করেছে। কিন্তু জুনে তা ৬৭ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৮ কোটি ৩০ লাখ পাউন্ড।
রাশিয়ার বেশিরভাগ পণ্যের রফতানি ফেব্রুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। যন্ত্রপাতি ও পরিবহন সরঞ্জামে কমেছে ৯১ দশমিক ৩ শতাংশ। রাসায়নিক দ্রব্য ছিল রাশিয়ায় রপ্তানি করা একমাত্র পণ্য যা এই সময়ের মধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে, ৬১ দশমিক ৮ শতাংশ।
বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব