০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫

শিল্পবিপ্লবের চতুর্থ ইমপ্যাক্ট আসতে আরও প্রায় ৫০ বছর: প্রযুক্তিমন্ত্রী

শিল্পবিপ্লবের চতুর্থ ইমপ্যাক্ট আসতে আরও প্রায় ৫০ বছর সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেল ওসমান।

শনিবার (২৭ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ গ্রহণের কর্তব্য’ বিষয়ে জ্ঞানভিত্তিক সামাজিক আন্দোলনের (কেবিএসএম) ২৫ দফা ‘ঢাকা ঘোষণা’ উপস্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

দীর্ঘ সময় লাগলেও এতে ভয়ের কিছু নেই উল্লেখ করে ইয়াফেল ওসমান বলেন, ‘এটা বৈশ্বিক ব্যবস্থাপনার বিষয়, বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়েই আমাদের চলতে হবে। তাদের মতো করে আমারও এগিয়ে যাবো। এজন্য আমাদের বেশকিছু জায়গায় কাজ করতে হবে। তবে এটি প্রস্তুতের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বড় ভূমিকা রয়েছে। যার মূল দর্শনটি অর্থনৈতিক ভিত্তিক।’

‘ঢাকা ঘোষণা’র দফাগুলো উপস্থাপন করেন কেবিএসএম’র সভাপতি এম এ বার্ণিক। সভায় আরও বক্তব্য দেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রোনিক্সন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. শামীম আহমেদ দেওয়ান, ইঞ্জিনিয়ার ওমর ফারুক গোসকার এবং বিটাক পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মুহসিন।

২৫ দফা ‘ঢাকা ঘোষণা’য় বলা হয়, ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ছোঁয়ায় সবকিছু অটোমেশন হয়ে যাবে, এতে অনেকে পেশা থেকে ঝরে পড়বেন। ফলে সর্বস্তরের পেশাজীবীদের পেশার সংকট আসন্ন। তাই প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের কর্মরতদের আপ-স্কিল করে কীভাবে খাপ খাইয়ে নেওয়া যায়, সেজন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।’

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী সুদক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার জন্য শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন করে প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা চালু করার আহ্বান জানিয়ে ঘোষণা আরও বলা হয়, শ্রেণিকক্ষগুলো প্রযুক্তি শিক্ষার উপযোগী করা এবং কারিকুলাম নতুনভাবে বিন্যাস করা দরকার।

সমাজের সর্বস্তরের লোকদের সমস্যর একটি জাতীয় কমিটি গঠন করে শিল্প বিপ্লবের নেতিবাচক দিক মোকাবেলার পরামর্শ দিয়ে এতে বলা হয়, ‘দেশে একটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সেন্টার প্রতিষ্ঠা করে ওই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষত জনসম্পদ গড়ে তুলতে হবে। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশকেও ধাপে ধাপে রোবটিক সভ্যতা আত্মস্থ করতে হবে।’

‘সাইবার সিকিউরিটির দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণে অনেক দেশে ফিনেন্সিয়াল ট্রানসেকশন নাজুক অবস্থায় আছে উল্লেখ করে ঘোষণায় বলা হয়েছে, ‘হ্যাকিং প্রতিরোধ কৌশলে আমরা পিছিয়ে আছি। বিকাশ, নমন, উপায় প্রভৃতি মাধ্যমে অর্থলেনদেন অথবা মোবাইল ফোনে কোনও কারণে একজনের টাকা আরেক জনের কাছে চলে গেলে সেই টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয় না। তাই এক্ষেত্রে একদিকে নতুন আইন প্রণয়ণ এবং অন্যদিকে চৌকষ বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করা অপরিহার্য।’

এতে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকসহ দেশের সকল ব্যাংকের ডিজিটাল রিজার্ভের প্রেটেকশন ওয়াল আরও মজবুত করার জন্য উচ্চমানের বিশেষজ্ঞ নিয়োগ অপরিহার্য।’ সাইবার সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্টের সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের অধীনে প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল স্কিলস ডেভোলপমেন্ট অথারিটি (এনএসডিএ) সঙ্গে একটি ডিজিটাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যাকাডেমি (ডিসিএসএ) প্রতিষ্ঠারও প্রস্তাব করা হয় ঢাকা ঘোষণায়।

তাছাড়া সরকারি ও বেসরকারি যাবতীয় প্রেশাজীবীদের ডাটাবেজ তৈরি করে তাদের পেশাকে রি-স্কিলের মাধ্যমে প্রকল্প ও বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির কর্মপরিকল্পনা তৈরির লক্ষ্যে একটি ‘ন্যাশনাল অ্যাকশন রিচার্স সেন্টার’ (এনএআরসি) প্রতিষ্ঠারও প্রস্তাব করা হয়।

আইওটি, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও ন্যানোটেকনোলজির ব্যবহার করে জাতীয় উন্নয়নের রূপরেখা তৈরির উপর গুরুত্ব দিয়ে সবশেষে বলা হয়, ‘প্রথমে আমরা মানুষ, মানুষের প্রয়োজনে যন্ত্র, যন্ত্রের কাজ হবে মানবতার কল্যাণ। এভাবেই বিশ্ববাসীর অগ্রযাত্রার শুভপথকে সুশোভিত করতে পারে।’

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব

ক্ষুদে মেসির  দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

শিল্পবিপ্লবের চতুর্থ ইমপ্যাক্ট আসতে আরও প্রায় ৫০ বছর: প্রযুক্তিমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৫:১৪:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২২

শিল্পবিপ্লবের চতুর্থ ইমপ্যাক্ট আসতে আরও প্রায় ৫০ বছর সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেল ওসমান।

শনিবার (২৭ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ গ্রহণের কর্তব্য’ বিষয়ে জ্ঞানভিত্তিক সামাজিক আন্দোলনের (কেবিএসএম) ২৫ দফা ‘ঢাকা ঘোষণা’ উপস্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

দীর্ঘ সময় লাগলেও এতে ভয়ের কিছু নেই উল্লেখ করে ইয়াফেল ওসমান বলেন, ‘এটা বৈশ্বিক ব্যবস্থাপনার বিষয়, বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়েই আমাদের চলতে হবে। তাদের মতো করে আমারও এগিয়ে যাবো। এজন্য আমাদের বেশকিছু জায়গায় কাজ করতে হবে। তবে এটি প্রস্তুতের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বড় ভূমিকা রয়েছে। যার মূল দর্শনটি অর্থনৈতিক ভিত্তিক।’

‘ঢাকা ঘোষণা’র দফাগুলো উপস্থাপন করেন কেবিএসএম’র সভাপতি এম এ বার্ণিক। সভায় আরও বক্তব্য দেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রোনিক্সন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. শামীম আহমেদ দেওয়ান, ইঞ্জিনিয়ার ওমর ফারুক গোসকার এবং বিটাক পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মুহসিন।

২৫ দফা ‘ঢাকা ঘোষণা’য় বলা হয়, ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ছোঁয়ায় সবকিছু অটোমেশন হয়ে যাবে, এতে অনেকে পেশা থেকে ঝরে পড়বেন। ফলে সর্বস্তরের পেশাজীবীদের পেশার সংকট আসন্ন। তাই প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের কর্মরতদের আপ-স্কিল করে কীভাবে খাপ খাইয়ে নেওয়া যায়, সেজন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।’

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী সুদক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার জন্য শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন করে প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা চালু করার আহ্বান জানিয়ে ঘোষণা আরও বলা হয়, শ্রেণিকক্ষগুলো প্রযুক্তি শিক্ষার উপযোগী করা এবং কারিকুলাম নতুনভাবে বিন্যাস করা দরকার।

সমাজের সর্বস্তরের লোকদের সমস্যর একটি জাতীয় কমিটি গঠন করে শিল্প বিপ্লবের নেতিবাচক দিক মোকাবেলার পরামর্শ দিয়ে এতে বলা হয়, ‘দেশে একটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সেন্টার প্রতিষ্ঠা করে ওই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষত জনসম্পদ গড়ে তুলতে হবে। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশকেও ধাপে ধাপে রোবটিক সভ্যতা আত্মস্থ করতে হবে।’

‘সাইবার সিকিউরিটির দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণে অনেক দেশে ফিনেন্সিয়াল ট্রানসেকশন নাজুক অবস্থায় আছে উল্লেখ করে ঘোষণায় বলা হয়েছে, ‘হ্যাকিং প্রতিরোধ কৌশলে আমরা পিছিয়ে আছি। বিকাশ, নমন, উপায় প্রভৃতি মাধ্যমে অর্থলেনদেন অথবা মোবাইল ফোনে কোনও কারণে একজনের টাকা আরেক জনের কাছে চলে গেলে সেই টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয় না। তাই এক্ষেত্রে একদিকে নতুন আইন প্রণয়ণ এবং অন্যদিকে চৌকষ বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করা অপরিহার্য।’

এতে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকসহ দেশের সকল ব্যাংকের ডিজিটাল রিজার্ভের প্রেটেকশন ওয়াল আরও মজবুত করার জন্য উচ্চমানের বিশেষজ্ঞ নিয়োগ অপরিহার্য।’ সাইবার সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্টের সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের অধীনে প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল স্কিলস ডেভোলপমেন্ট অথারিটি (এনএসডিএ) সঙ্গে একটি ডিজিটাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যাকাডেমি (ডিসিএসএ) প্রতিষ্ঠারও প্রস্তাব করা হয় ঢাকা ঘোষণায়।

তাছাড়া সরকারি ও বেসরকারি যাবতীয় প্রেশাজীবীদের ডাটাবেজ তৈরি করে তাদের পেশাকে রি-স্কিলের মাধ্যমে প্রকল্প ও বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির কর্মপরিকল্পনা তৈরির লক্ষ্যে একটি ‘ন্যাশনাল অ্যাকশন রিচার্স সেন্টার’ (এনএআরসি) প্রতিষ্ঠারও প্রস্তাব করা হয়।

আইওটি, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও ন্যানোটেকনোলজির ব্যবহার করে জাতীয় উন্নয়নের রূপরেখা তৈরির উপর গুরুত্ব দিয়ে সবশেষে বলা হয়, ‘প্রথমে আমরা মানুষ, মানুষের প্রয়োজনে যন্ত্র, যন্ত্রের কাজ হবে মানবতার কল্যাণ। এভাবেই বিশ্ববাসীর অগ্রযাত্রার শুভপথকে সুশোভিত করতে পারে।’

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব