ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার পৌরসভাধীন হেলায় গ্রামের ইনসান আলীর ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী মতিয়ার রহমান (৩৭) এর ১৭ বছরের কষ্টার্জিত অর্থ নিয়ে পর পুরুষের হাত ধরে পালিয়ে গেলেন স্ত্রী শামসুন্নাহার (৩২)।
সুখে-দুখে একসাথে সারা জীবন কাটানোর অঙ্গীকার নিয়ে ২০০৪ সালে মতিয়ার রহমান বিয়ে করেন শামসুন্নাহারকে। সে যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর মেয়ে। বিয়ের পর ভালোই কাটছিল তাদের সংসার জীবন। দুই বছর পার হতে না হতেই এই দম্পতির জীবনে আসে ফুটফুটে একটি ছেলে সন্তান। সন্তানের বয়স যখন এক বছর তখন স্ত্রী সন্তান ও পরিবারকে ভালো রাখতে মতিয়ার রহমান ২০০৭ সালে পাড়ি জমায় মালয়েশিয়াতে। প্রবাস জীবনের হাড়ভাঙ্গা খাটুনি করে ১৫ বছর ধরে যে অর্থ সে উপার্জন করেছিল তার সবই দেশে থাকা স্ত্রীর নিকট পাঠিয়েছিল। এর মধ্যে দুইবার দেশে এসে ঘুরেও গেছেন প্রবাসী মতিয়ার রহমান। প্রবাসে থাকলেও নিয়মিত স্ত্রী সন্তানের খোজখবর রাখতেন মতিয়ার রহমান। জুলাই মাসের প্রথম দিকে স্ত্রী শামসুন্নাহার রনি মোল্লা নামের একজনের সাথে কলকাতায় চলে যায়। এই রনি নামের লোকটির সাথে ৯১৯৮৩৬০১৫৫২৫ নাম্বারে স্ত্রী শামসুন্নাহার সবসময় কথা বলতো।
এ ব্যাপারে স্বামী মতিয়ার রহমান জানান, আমাকে নিঃস্ব করে, পেটের সন্তানকে ফেলে রেখে পরকীয়া করে আমার বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়, শুধু তাই নয় প্রবাস জীবনে আমার অর্জিত অর্থ সম্পদসবই সে সাথে করে নিয়ে যায় আমার স্ত্রী। এর মধ্যে নগদ অর্থ ৩৪ লক্ষ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার রয়েছে ৮ ভরি। আগস্ট মাসের ১৭ তারিখ আমি দেশে আসি। স্ত্রীকে বিশ্বাস করাই আমার জীবনের কাল হলো। বেঁচে থাকার তাগিদে নবম শ্রেণীতে পড়া একমাত্র ছেলের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আবারও আমাকে প্রবাসে পাড়ি দিতে হবে। কেননা দেশে কিছু করে জিবীকা নির্বাহ করার মতো পুজি আমার নেয়। সবই নিয়ে গেছে আমার স্ত্রী। এই ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় আমি একটি জিডিও করেছি। আমি তার বিচার চাই।
বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব

























