০২:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

 চাঁদাবাজির মামলা: তদন্ত পিবিআইতে

জাহাঙ্গীর আলম কবীর। সাংবাদিক, কবি, গল্পকার, গবেষক, পরিবেশ ও উন্নয়ন কর্মী। বর্তমানে দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা এবং নির্ভীক সংবাদ-এর নির্বাহী সম্পাদক। অসংখ্য পুরস্কারপ্রাপ্ত এই সাংবাদিক চাঁদাবাজির মামলার আসামি। দিগরডাঙ্গা আহলে হাদিস মসজিদের টাকা আত্মসাৎ, জমি দখল এবং অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করায় মিথ্যা মামলার আসামি হয়েছেন। তার ৪৪ বছর সাংবাদিকতার জীবনে এমন দু্র্নামের শিকার কখনো হননি। বরং মৃত্তিকা ও মানুষের বিশ্বস্ত এবং দিক নির্দেশনা প্রতিফলিত হয়েছে তার সাংবাদিকতায়।

ধর্ম নিয়েও চলে অধর্ম। ধর্মকে ব্যবহার করে কতভাবে অর্থ উপার্জন করা যায় তা তিনি এবার উপলব্ধি করতে পেরেছেন। একটি মসজিদকে নিয়ে জময়ঈতে আহলে হাদিস নামের সংগঠন কত খেলা খেলতে পারে তার মুখোশ উন্মোচন করতে গিয়ে তিনি হন চাঁদাবাজির মামলার আসামি। তিনি বললেন, ‘ সাতক্ষীরার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের দিগরডাঙ্গা গ্রামের কুখ্যাত সোনা চোরাকারবারি ওমর আলী ও তার দুই পুত্র এবং মাধবকাটি বাজারের ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আলী মুনসুর ওরফে মনসুর বিডিআর মসজিদটি ব্যবসা কেন্দ্রে পরিণত করেছে।’ দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে মসজিদের অনুকূলে পাওয়া দান অনুদান লুটপাট করেছে। সরকারি অনুদানের চাল গম চলে গেছে তাদের পেটে। এ নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে।

ওমর আলী একজন জমিদাতা হয়েও মসজিদের ওয়াকফকৃত জমি দখল করে ঘর করে রেখেছে। অন্য দুজন জমি দাতাকে জময়ঈতে আহলে হাদিস নেতাদের পরামর্শে কৌশলে মসজিদের সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড থেকে সরিয়ে রেখেছে। থানায় বারবার অভিযোগ ও সাধারণ ডায়েরি করে প্রতিবাদকারী মুসল্লিদের হয়রানি করে আসছে। তাদের হাতে গত এক বছরে একাধিকবার পুলিশি হয়রানীর শিকার হয়েছে দিগরডাঙ্গা গ্রামের আনারুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন, আব্দুল্লাহ, আবুল খায়ের, আলমগীর কবির, মাধবকাটির ইনছাপ আলী, সাংবাদিক মতিয়ার রহমান, সাংবাদিক হাবিব এবং সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম কবীর। ওমর আলীর বাড়িতে যাতায়াত করে ২-৩ জন দারোগা।

জময়ঈতে আহলে হাদিস নেতারা মসজিদে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছে মাজহাবি মুসল্লিদের। এই মসজিদ এর আশেপাশের মুসল্লীরা নামাজ আদায় করতে যায় অন্য মসজিদে। তাই আহলে হাদীসের অনুসারী হয়েও জাহাঙ্গীর আলম কবীর বলেন, ‘এ কাজ অনৈতিক ও অনইসলামিক। এদের মসজিদে আসা থেকে বিরত রাখতে পারলে তারা তাদের মসজিদ কেন্দ্রিক ব্যবসা ভালোভাবেই চালাতে পারবে।’ মুসল্লিরা এখন মারমুখী।

ওমর আলী ও মনসুর বিডিআর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম কবীরের নামে সাতক্ষীরা আমলী আদালত-১-এ ৩৮৫, ৩৮৬ ও ৩৪ ধারায় মামলা করেছে। মামলা নম্বর সিআর- ৯১২/২২। মামলাটি আদালত সাতক্ষীরা পিবিআইতে তদন্ত করতে দিয়েছে। এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন নিজের অনুকূলে নিতে ওমর আলী অনেক টাকা নিয়ে মাঠে নেমেছে। ওমর আলী সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের কয়েকজন সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছে, ‘মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আমার পক্ষেই আসবে।’ তাই সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম কবীর মামলার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

 চাঁদাবাজির মামলা: তদন্ত পিবিআইতে

প্রকাশিত : ০৫:২০:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২

জাহাঙ্গীর আলম কবীর। সাংবাদিক, কবি, গল্পকার, গবেষক, পরিবেশ ও উন্নয়ন কর্মী। বর্তমানে দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা এবং নির্ভীক সংবাদ-এর নির্বাহী সম্পাদক। অসংখ্য পুরস্কারপ্রাপ্ত এই সাংবাদিক চাঁদাবাজির মামলার আসামি। দিগরডাঙ্গা আহলে হাদিস মসজিদের টাকা আত্মসাৎ, জমি দখল এবং অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করায় মিথ্যা মামলার আসামি হয়েছেন। তার ৪৪ বছর সাংবাদিকতার জীবনে এমন দু্র্নামের শিকার কখনো হননি। বরং মৃত্তিকা ও মানুষের বিশ্বস্ত এবং দিক নির্দেশনা প্রতিফলিত হয়েছে তার সাংবাদিকতায়।

ধর্ম নিয়েও চলে অধর্ম। ধর্মকে ব্যবহার করে কতভাবে অর্থ উপার্জন করা যায় তা তিনি এবার উপলব্ধি করতে পেরেছেন। একটি মসজিদকে নিয়ে জময়ঈতে আহলে হাদিস নামের সংগঠন কত খেলা খেলতে পারে তার মুখোশ উন্মোচন করতে গিয়ে তিনি হন চাঁদাবাজির মামলার আসামি। তিনি বললেন, ‘ সাতক্ষীরার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের দিগরডাঙ্গা গ্রামের কুখ্যাত সোনা চোরাকারবারি ওমর আলী ও তার দুই পুত্র এবং মাধবকাটি বাজারের ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আলী মুনসুর ওরফে মনসুর বিডিআর মসজিদটি ব্যবসা কেন্দ্রে পরিণত করেছে।’ দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে মসজিদের অনুকূলে পাওয়া দান অনুদান লুটপাট করেছে। সরকারি অনুদানের চাল গম চলে গেছে তাদের পেটে। এ নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে।

ওমর আলী একজন জমিদাতা হয়েও মসজিদের ওয়াকফকৃত জমি দখল করে ঘর করে রেখেছে। অন্য দুজন জমি দাতাকে জময়ঈতে আহলে হাদিস নেতাদের পরামর্শে কৌশলে মসজিদের সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড থেকে সরিয়ে রেখেছে। থানায় বারবার অভিযোগ ও সাধারণ ডায়েরি করে প্রতিবাদকারী মুসল্লিদের হয়রানি করে আসছে। তাদের হাতে গত এক বছরে একাধিকবার পুলিশি হয়রানীর শিকার হয়েছে দিগরডাঙ্গা গ্রামের আনারুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন, আব্দুল্লাহ, আবুল খায়ের, আলমগীর কবির, মাধবকাটির ইনছাপ আলী, সাংবাদিক মতিয়ার রহমান, সাংবাদিক হাবিব এবং সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম কবীর। ওমর আলীর বাড়িতে যাতায়াত করে ২-৩ জন দারোগা।

জময়ঈতে আহলে হাদিস নেতারা মসজিদে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছে মাজহাবি মুসল্লিদের। এই মসজিদ এর আশেপাশের মুসল্লীরা নামাজ আদায় করতে যায় অন্য মসজিদে। তাই আহলে হাদীসের অনুসারী হয়েও জাহাঙ্গীর আলম কবীর বলেন, ‘এ কাজ অনৈতিক ও অনইসলামিক। এদের মসজিদে আসা থেকে বিরত রাখতে পারলে তারা তাদের মসজিদ কেন্দ্রিক ব্যবসা ভালোভাবেই চালাতে পারবে।’ মুসল্লিরা এখন মারমুখী।

ওমর আলী ও মনসুর বিডিআর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম কবীরের নামে সাতক্ষীরা আমলী আদালত-১-এ ৩৮৫, ৩৮৬ ও ৩৪ ধারায় মামলা করেছে। মামলা নম্বর সিআর- ৯১২/২২। মামলাটি আদালত সাতক্ষীরা পিবিআইতে তদন্ত করতে দিয়েছে। এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন নিজের অনুকূলে নিতে ওমর আলী অনেক টাকা নিয়ে মাঠে নেমেছে। ওমর আলী সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের কয়েকজন সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছে, ‘মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আমার পক্ষেই আসবে।’ তাই সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম কবীর মামলার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব