‘ জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর মহাবিদ্যালয়ের অফিস সহকারীর ‘অজ্ঞতায় ৩৪ জন শিক্ষার্থীর কপাল পুড়েছে। তাঁরা ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে ডিগ্রি পাস কোর্সে ভর্তি হতে পারেননি। অতি সম্প্রতি এই ঘটনাটি বাহিরে জানাজানি হয়। তিলকপুর মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অফিস সহকারীর দায়িত্বে থাকা শরিফ উদ্দিন বলেন, কলেজের অফিস সহকারী অবসরে গেছেন। আমি নিম্মমান সহকারীর পদে ছিলাম। আমাকে অফিস সহকারীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। আমার কম্পিউটার সম্পর্কে তেমন ভালো ধারণা নেই। আমি ২০২০-২১ শিক্ষা বর্ষে মানবিক শাখার ৩৪ জন শিক্ষার্থী ডিগ্রি পাস কোর্সের ভর্তি নিশ্চয়নের ঘরে ক্লিক করেছিলাম। অনেক পরে জানতে পারি, ভর্তি নিশ্চয় সম্পূর্ণ হয়নি। এরমধ্যে ভর্তির নির্ধারিত সময়ও শেষ হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীদের ভর্তির বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। ওই ৩৪ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৫ জন মেয়ে ১৯ ছেলে শিক্ষার্থী।
তিলকপুর মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহসীন হোসেন বলেন, আমিসহ ৩৪ জন শিক্ষার্থী কলেজে ডিগ্রি পাস কোর্সে ভর্তি হতে পারিনি এমন কথা গত কয়েক দিন আগে জানতে পেরেছি। এখন আমাদের জীবনের ভবিষ্যৎ কি হবে। কয়েকটি বছর চলে গেল এর দায় কে নেবে?। আব্দুল মজিদ মন্ডল নামে এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, আমার ছেলেকে তিলকপুর মহাবিদ্যালয়ে ডিগ্রিতে ভর্তি করিয়েছিলাম। এখন শুনছি আমার ছেলের ভর্তিই হয়নি। কলেজ কর্তৃপক্ষের খেসারত আমরা কেন দিব?। তিলকপুর মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আবু হাসনাত মো. জুবায়ের বলেন, ভর্তির কাজে নিয়োজিত অফিস সহকারীর অজ্ঞতায় কলেজে ডিগ্রি পাস কোর্সে ভর্তির জন্য আবেদনকৃত ৩৪ জন শিক্ষার্থী ইনলিস্টেট হয়েছে। তাঁদের ভর্তির নিশ্চয়নটা সময় মতো সাবমিট না হওয়ায় এই জটিলতাটা সৃষ্টি হয়েছে। এই নিশ্চয়নটা যদি আমরা করতে পারি, তাহলে সাবজেট কোড, রেজিষ্ট্রেশন সব কিছুই কমপ্লিট হবে তখন ভর্তি নিশ্চিত হবে। মূল সমস্যাটা হয়েছে ভর্তির নিশ্চয়নটাই আমরা সময় মতো করতে পারিনি। এবিষয়ে কলেজের সভাপতিসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। আমরা দ্রæত সমস্যাটা সমাধান হয়ে যাবে বলে আমরা আশা করছি।
আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এসএম হাবিবুল হাসান বলেন, তিলকপুর মহাবিদ্যালয়ে ভর্তি সংক্রান্ত ব্যাপারে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে, এটিতে নিশ্চয় কলেজ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা রয়েছে। একারনে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা বলেছি যে, দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে যেন যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আমি যতদুর শুনেছি, এঘটনায় ইতিমধ্যেই দায়ী ব্যক্তিকে কারন দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে।
বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব


























