০২:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

ভেড়ামারায় মশকনিধন নিয়ে মৌসুমি টেনশন

ডেঙ্গু আগে শুধু রাজধানীতে সীমাবদ্ধ থাকলেও এখন এর প্রাদুর্ভাব সারা দেশেই। গত ১৮ সেপ্টেম্বর ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ৬ জন ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসায় ২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া ভাইরাসজনিত রোগ এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। বর্ষা মৌসুমে এ রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। ডেঙ্গু রোগের লক্ষণঃ- তীব্র জ্বর, মাথাব্যথা, মাংস পেশী ও হাড়ের জোড়ায় ব্যথা, শরীরে লালচে দানা, বমি ভাব বা বমি, চোখের পিছনে ব্যথা ইত্যাদি ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ।

নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে, ঢাকায় দুই দশকের বেশি সময় ধরে ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে। ২০১৯ সালে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু হয় এ জ্বরে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে ছিল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যুর বছর।
প্রতিবছর দেশের সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলো মশকনিধনে যথেষ্ট অর্থ খরচ করলেও মশা নিয়ন্ত্রণে আশানুরূপ ফল পাওয়া যাচ্ছে না। যেমন মশার কীটনাশক ক্রয়, ফগার মেশিন ক্রয়, যন্ত্রপাতি মেরামতসহ আনুষঙ্গিক খাতে খরচ দেখিয়েছে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা গুলো। কিন্তু চলতি বছরে রাজধানী সহ সারা বাংলাদেশে ডেঙ্গু রোগী বাড়তে শুরু করেছে। ফলে মশকনিধন নিয়ে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা গুলোর কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

বাংলাদেশে সারা বছরই কমবেশি আলোচনায় থাকে মশা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মশকনিধন এখন ‘মৌসুমি টেনশন’ হয়ে গেছে। যখন রোগী বাড়ে, তখন হইচই হয়, রোগী কমলেই আলোচনা থেমে যায়। কয়েক দিনের থেমে থেমে হওয়া বৃষ্টি এডিস মশার বংশবিস্তারে প্রভাব ফেলছে। তাঁদের আশঙ্কা, আগামী সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

 

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

ভেড়ামারায় মশকনিধন নিয়ে মৌসুমি টেনশন

প্রকাশিত : ১২:২৯:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২

ডেঙ্গু আগে শুধু রাজধানীতে সীমাবদ্ধ থাকলেও এখন এর প্রাদুর্ভাব সারা দেশেই। গত ১৮ সেপ্টেম্বর ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ৬ জন ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসায় ২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া ভাইরাসজনিত রোগ এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। বর্ষা মৌসুমে এ রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। ডেঙ্গু রোগের লক্ষণঃ- তীব্র জ্বর, মাথাব্যথা, মাংস পেশী ও হাড়ের জোড়ায় ব্যথা, শরীরে লালচে দানা, বমি ভাব বা বমি, চোখের পিছনে ব্যথা ইত্যাদি ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ।

নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে, ঢাকায় দুই দশকের বেশি সময় ধরে ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে। ২০১৯ সালে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু হয় এ জ্বরে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে ছিল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যুর বছর।
প্রতিবছর দেশের সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলো মশকনিধনে যথেষ্ট অর্থ খরচ করলেও মশা নিয়ন্ত্রণে আশানুরূপ ফল পাওয়া যাচ্ছে না। যেমন মশার কীটনাশক ক্রয়, ফগার মেশিন ক্রয়, যন্ত্রপাতি মেরামতসহ আনুষঙ্গিক খাতে খরচ দেখিয়েছে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা গুলো। কিন্তু চলতি বছরে রাজধানী সহ সারা বাংলাদেশে ডেঙ্গু রোগী বাড়তে শুরু করেছে। ফলে মশকনিধন নিয়ে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা গুলোর কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

বাংলাদেশে সারা বছরই কমবেশি আলোচনায় থাকে মশা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মশকনিধন এখন ‘মৌসুমি টেনশন’ হয়ে গেছে। যখন রোগী বাড়ে, তখন হইচই হয়, রোগী কমলেই আলোচনা থেমে যায়। কয়েক দিনের থেমে থেমে হওয়া বৃষ্টি এডিস মশার বংশবিস্তারে প্রভাব ফেলছে। তাঁদের আশঙ্কা, আগামী সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

 

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব