মালয়েশিয়ার পর স্বাগতিক বাংলাদেশকেও ৯ উইকেটে হারালো পাকিস্তানের মেয়েরা। এশিয়া কাপে টানা দুই জয়ে দারুণ অবস্থানে তারা। মাত্র ৭০ রানে বাংলাদেশকে থামিয়ে ১ উইকেটের বিনিময়ে জিতে গেছে গত আসরের তৃতীয় দলটি। ১৩তম ওভারে বিসমাহ মারুফের বাউন্ডারিতে জয় নিশ্চিত হয় পাকিস্তানের। তিনি ১২ রানে অপরাজিত ছিলেন, সিদ্রা খেলছিলেন ৩৬ রানে। একমাত্র উইকেট হারান মুনীবা আলী (১৪)।
৭১ রানের লক্ষ্যে নেমে পাকিস্তান কোনও বাধার মুখে পড়েনি। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে ৪০ রান করেছে। উদ্বোধনী জুটিতে মুনীবা আলী ও সিদ্রা আমিন সহজ জয়ের পথে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। কিন্তু ৪৯ রানে তাদের জুটি ভেঙে দিয়েছেন সালমা খাতুন। মুনীবাকে ১৪ রানে পেছনে শামীমা সুলতানার ক্যাচ বানান তিনি।
পাকিস্তানি বোলাররা মাত্র ৭০ রানে আটকে দিলো বাংলাদেশকে। ৩ রানে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে যে ধাক্কা খেয়েছিল স্বাগতিকরা, তা কাটিয়ে উঠতে পারেনি তারা। যদিও নিগার সুলতানা জ্যোতি ও লতা মন্ডল হাল ধরেছিলেন। কিন্তু তাদের বিদায়ে আবার ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ।
৫০ রান না করতেই ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৪৮ রানে ছয় ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে চাপে পড়ে তারা। এরপর সালমা খাতুন ইনিংস সেরা ২৪ রান করে কোনোভাবে দলীয় স্কোর সত্তরের ঘরে নেন।
লতা ও জ্যোতির পর ১৬তম ওভারে তুবা হাসানকে ক্যাচ দিয়ে ওমাইমা সোহেলের শিকার হলেন সোবহানা মোস্তারি। ৮ বল খেলে ২ রানে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠ ছাড়েন তিনি। এরপর সপ্তম উইকেট হারায় বাংলাদেশ ৫৮ রানে, সালমা দ্বিতীয় রান নিতে গেলে রিতু মনি রান আউট হন। ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে এই উইকেট যাওয়ার পর নামে বৃষ্টি, তাতে প্রায় আধঘণ্টা বন্ধ থাকার পর খেলা শুরু হয়।
অবশ্য খেলা শুরু হতেই আরও একটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। নাহিদা আক্তার হন রান আউট। সালমা অপরাজিত ছিলেন ২৪ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: পাকিস্তান- ১২.২ ওভারে ৭২/১
বাংলাদেশ- ২০ ওভারে ৭০/৮; ফল: পাকিস্তান জয়ী ৯ উইকেটে।
বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব