০৮:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিভিষণ কান্তি দাশ

চকরিয়ার বরইতলীতে শারদীয় দুর্গোৎসব পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিভিষণ কান্তি দাশ। কক্সবাজার জেলার চকরিয়ার বরইতলী পশ্চিম হিন্দু পাড়া সর্বজনীন শ্রী শ্রী কালী মন্দির উন্নয়ন কমিটির উদ্যোগে সনাতন সম্প্রদায়ের বৃহত্তর ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গোৎসব যথাযোগ্য মর্যদায় সম্পন্ন হয়। ষষ্ঠী,সপ্তমী ও মহা অষ্টমী পূজা শেষ হয় গত ৩ অক্টোবর।

মঙ্গলবার(৪ অক্টোবর) নবমী পূজার সমাপ্তি ঘটে দূপুরে। ওই দিন শারদীয় দুর্গোৎসবের নবমী পূজোর সন্ধ্যাকালী অধীবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার থেকে আগত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বিভিষন কান্তি দাশ,চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেপি দেওয়ান,চকরিয়া উপজেলা কমিশনার (ভূমি) রাহাতুজ্জামান, কক্সবাজার সরকারী কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক ও এডিসি বিভিষণ কান্তি দাশের সহ ধর্মিণী শিউলি সরকার, চকরিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তপন কান্তি দাশ,বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ছালেকুজ্জমান, চকরিয়া পৌরসভা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও মহামায়া বার্তা পত্রিকার প্রকাশক টিটু বসাক,সুধাম দাশ,সুজিত দে,কালু দাশ, বরইতলী এমইউপি কাইছার উদ্দীন জোসেফ,শহীদুল্লাহ ও রাশেদা বেগম সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

এ সময় বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান স্বাগত বক্ত্যব্যে বলেন,বরইতলী একটি ঐতিহ্যবাহী ইউনিয়ন। সকল সম্প্রদায়ের সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে যার যার উৎসব যথাযোগ্য মর্যদায় পারস্পরিক ভ্রাতৃত্বের বন্ধনের মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে পালন ও বসবাস করে আসছে আশা করি আগামীতেও থাকবে।তিনি উপস্থিত কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি),চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর দাবী করে বলেন,বরইতলী ৫শত হিন্দু পরিবারের একটি মাত্র ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বরইতলী শ্রী শ্রী কালী মন্দির। জনসংখ্যা অনুপাতে এ মন্দিরে বরাদ্দ কম থাকায় তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অর্থের ঘাটতি থাকে।তাই জনসংখ্যা অনুপাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করলে এ এলাকার সনাতন সম্প্রদায়েরা সাচ্ছন্দে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করতে পারবে।

ইউপি চেয়ারম্যানের বক্ত্যব্যের সাথে একমত পোষন করে চকরিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তপন কান্তি দাশ তাঁর বক্তব্যে বলেন চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ে বরইতলী পশ্চিম হিন্দুপাড়ার এ মন্দিরের যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত ভাল এবং অবকাঠামোও অত্যন্ত মনোরম সে হিসেবে এলজিডি’র ১৫ লক্ষ টাকার একটি প্রকল্প এ মন্দিরে অন্তর্ভুক্ত করার দাবী জানান তিনি।

প্রধান অতিথি কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বিভিষণ কান্তি দাশ বলেন,জেলার অন্যান্য পূজা মন্ডপের চেয়ে বরইতলী ইউনিয়নের পশ্চিম হিন্দুপাড়ার পূজা মন্ডপের পূজা ও আনুষ্ঠানিকতা অত্যন্ত মনোরম, মার্জিত।তিনি মন্দির কমিটির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন,যথাসাধ্য সুপারিশ করব সরকারী বরাদ্দ আগামীতে বাড়ানোর জন্য।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেপি দেওয়ান চকরিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও বরইতলী ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ছালেকুজ্জমানের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বলেন,এবার যেহেতু সরকারী বরাদ্দ বন্টন হয়ে গেছে। আগামীতে বরইতলী হিন্দু সম্প্রদায়ের জনসংখ্যার আনুপাতিক হিসেবে করে এ মন্দিরে বরাদ্দ বৃদ্ধি করব।

এ ছাড়াও তিনি বরইতলীর এ মন্দিরটির যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অবকাঠামোগত দিক বিবেচনা করে সরকারী বিধিমোতাবেক বরইতলীর পশ্চিম হিন্দু পাড়ার কালী মন্দির উন্নয়নে সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন। এ সময় চকরিয়া উপজেলা কমিশনার(ভূমি) রাহাতুজ্জামান বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, কালী বাড়ী উন্নয়ন কমিটির সভাপতি অনুপম দে অপু।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

জনপ্রিয়

দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেওয়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, নগদ অর্থ লুট, আহত ৩

পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিভিষণ কান্তি দাশ

প্রকাশিত : ০১:২৯:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ অক্টোবর ২০২২

চকরিয়ার বরইতলীতে শারদীয় দুর্গোৎসব পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিভিষণ কান্তি দাশ। কক্সবাজার জেলার চকরিয়ার বরইতলী পশ্চিম হিন্দু পাড়া সর্বজনীন শ্রী শ্রী কালী মন্দির উন্নয়ন কমিটির উদ্যোগে সনাতন সম্প্রদায়ের বৃহত্তর ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গোৎসব যথাযোগ্য মর্যদায় সম্পন্ন হয়। ষষ্ঠী,সপ্তমী ও মহা অষ্টমী পূজা শেষ হয় গত ৩ অক্টোবর।

মঙ্গলবার(৪ অক্টোবর) নবমী পূজার সমাপ্তি ঘটে দূপুরে। ওই দিন শারদীয় দুর্গোৎসবের নবমী পূজোর সন্ধ্যাকালী অধীবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার থেকে আগত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বিভিষন কান্তি দাশ,চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেপি দেওয়ান,চকরিয়া উপজেলা কমিশনার (ভূমি) রাহাতুজ্জামান, কক্সবাজার সরকারী কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক ও এডিসি বিভিষণ কান্তি দাশের সহ ধর্মিণী শিউলি সরকার, চকরিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তপন কান্তি দাশ,বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ছালেকুজ্জমান, চকরিয়া পৌরসভা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও মহামায়া বার্তা পত্রিকার প্রকাশক টিটু বসাক,সুধাম দাশ,সুজিত দে,কালু দাশ, বরইতলী এমইউপি কাইছার উদ্দীন জোসেফ,শহীদুল্লাহ ও রাশেদা বেগম সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

এ সময় বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান স্বাগত বক্ত্যব্যে বলেন,বরইতলী একটি ঐতিহ্যবাহী ইউনিয়ন। সকল সম্প্রদায়ের সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে যার যার উৎসব যথাযোগ্য মর্যদায় পারস্পরিক ভ্রাতৃত্বের বন্ধনের মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে পালন ও বসবাস করে আসছে আশা করি আগামীতেও থাকবে।তিনি উপস্থিত কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি),চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর দাবী করে বলেন,বরইতলী ৫শত হিন্দু পরিবারের একটি মাত্র ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বরইতলী শ্রী শ্রী কালী মন্দির। জনসংখ্যা অনুপাতে এ মন্দিরে বরাদ্দ কম থাকায় তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অর্থের ঘাটতি থাকে।তাই জনসংখ্যা অনুপাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করলে এ এলাকার সনাতন সম্প্রদায়েরা সাচ্ছন্দে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করতে পারবে।

ইউপি চেয়ারম্যানের বক্ত্যব্যের সাথে একমত পোষন করে চকরিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তপন কান্তি দাশ তাঁর বক্তব্যে বলেন চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ে বরইতলী পশ্চিম হিন্দুপাড়ার এ মন্দিরের যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত ভাল এবং অবকাঠামোও অত্যন্ত মনোরম সে হিসেবে এলজিডি’র ১৫ লক্ষ টাকার একটি প্রকল্প এ মন্দিরে অন্তর্ভুক্ত করার দাবী জানান তিনি।

প্রধান অতিথি কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বিভিষণ কান্তি দাশ বলেন,জেলার অন্যান্য পূজা মন্ডপের চেয়ে বরইতলী ইউনিয়নের পশ্চিম হিন্দুপাড়ার পূজা মন্ডপের পূজা ও আনুষ্ঠানিকতা অত্যন্ত মনোরম, মার্জিত।তিনি মন্দির কমিটির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন,যথাসাধ্য সুপারিশ করব সরকারী বরাদ্দ আগামীতে বাড়ানোর জন্য।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেপি দেওয়ান চকরিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও বরইতলী ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ছালেকুজ্জমানের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বলেন,এবার যেহেতু সরকারী বরাদ্দ বন্টন হয়ে গেছে। আগামীতে বরইতলী হিন্দু সম্প্রদায়ের জনসংখ্যার আনুপাতিক হিসেবে করে এ মন্দিরে বরাদ্দ বৃদ্ধি করব।

এ ছাড়াও তিনি বরইতলীর এ মন্দিরটির যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অবকাঠামোগত দিক বিবেচনা করে সরকারী বিধিমোতাবেক বরইতলীর পশ্চিম হিন্দু পাড়ার কালী মন্দির উন্নয়নে সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন। এ সময় চকরিয়া উপজেলা কমিশনার(ভূমি) রাহাতুজ্জামান বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, কালী বাড়ী উন্নয়ন কমিটির সভাপতি অনুপম দে অপু।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব