০৬:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভারতকে ১৩ রানে হারালো পাকিস্তান

ভারত-পাকিস্তান মানেই উত্তেজনা ঠাসা ম্যাচ। সেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এক দেশ থেকে অন্য দেশেও! তবে সিলেটে অনুষ্ঠিত নারী এশিয়া কাপে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াইয়ে সেই ঝাঁজ পাওয়া গেলো না। যতটুকু উত্তেজনা ছিল তার পুরোটাই গ্যালারি কেন্দ্রিক। প্রবল চাপের ম্যাচটায় পাকিস্তান শক্তিশালী ভারতকে ১৩ রানে হারিয়েছে।

ভারতকে প্রথমে ১৩৮ রানের লক্ষ্য দেয় পাকিস্তান। সেই লক্ষ্যে নেমে ১২৪ রানেই থেমে গেছে হারমানপ্রিত কৌরের নেতৃত্বাধীন দল। তাতে পাকিস্তান ৭ বছর পর ভারতকে হারিয়ে পরাজয়ের বৃত্ত ভাঙার কৃতিত্ব দেখিয়েছে।

অথচ কী আশ্চর্য আগের ম্যাচে নবীন দল থাইল্যান্ডের কাছেই পাকিস্তান হার মেনেছিল। সহযোগী সদস্য দেশের কাছে হারের পর পাকিস্তানের কাছে এই ম্যাচ ছিল ভীষণ চাপের। সেই চাপকে জয় করে পাকিস্তান তিন বিভাগে দারুণ ক্রিকেট খেলে ম্যাচ জিতেছে।

২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে সর্বশেষবার তারা ভারতকে হারাতে পেরেছিল। ৭ বছর পর দিল্লির স্মৃতি ফিরিয়ে আনলো বিসমাহ মারুফরা।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৩৭ রান করে পাকিস্তান। ভারতের মতো শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের কাছে এই লক্ষ্য মামুলিই হওয়ার কথা। কিন্তু পাকিস্তানের বোলারদেরর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে পুরোপুরি খেই হারায় ভারত। স্মৃতি মান্ধানা, হারমনপ্রিত কৌর, জেমিমাহ রুদ্রিগেজ, হেমালতার কেউই দেয়াল হয়ে দাঁড়াতে পারেননি। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৮ রানের প্রয়োজন ছিল। শেষ বলে ভারতের রাজেশ্বরী গায়কোয়াড় বোল্ড হতেই আনন্দ-উৎসবে মাতে পাকিস্তান। ১১ ম্যাচের মধ্যে এটি পাকিস্তানের তৃতীয় জয়।

ভারতের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৬ রান আসে রিচা ঘোষের ব্যাট থেকে। এছাড়া হেমালতা ২০, মানান্ধা ১৭, মেঘনা ১৫ ও দীপ্তি ১৬ রানের ইনিংস খেলেন। তাতে ১৯.৪ ওভারে ১২৪ রানে অলআউট হয় তারা।

পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে বাঁহাতি স্পিনার নাশরা সান্ধু ৩০ রানে তিনটি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া সাদিয়া ইকবাল, নিদা দার প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। আইমা আনোয়ার ও তুবা হাসান নিয়েছেন একটি করে উইকেট।

টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ২৬ রানের ওপেনিং জুটি পায় পাকিস্তান। সিদ্রা আমিন ১৪ বলে ১১ রান করে আউট হন। সঙ্গীর বিদায়ে ১৭ বলে ১৭ রানে আউট হন মুনিবা আলীও। কোন রান যোগ না হতেই তিন নম্বরে নামা ওমাইমা সোহেল শূন্য রানে ফেরেন। এরপর অধিনায়ক বিসমাহ মারুফ ও নিদা দার মিলে ৫৮ বলে ৭৬ রানের দুর্দান্ত জুটিতে দলকে উদ্ধার করেছেন। বিসমাহ ৩৫ বলে ২ চারে ৩২ রান করে আউট হন। অন্যদিকে বিস্ফোরক ব্যাটিং করেন নিদা। ৩৭ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৫৬ রানের ইনিংস খেলে এই অলরাউন্ডার আউট হন। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়েই পাকিস্তানের স্কোর হয় ১৩৭। ভারতের বোলারদের মধ্যে দীপ্তি শর্মা ২৭ রানে তিনটি এবং পূজা বস্ত্রকার ২৩ রানে নেন দুটি উইকেট।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

জনপ্রিয়

সীতাকুণ্ডে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৭

ভারতকে ১৩ রানে হারালো পাকিস্তান

প্রকাশিত : ০৫:৩৭:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ অক্টোবর ২০২২

ভারত-পাকিস্তান মানেই উত্তেজনা ঠাসা ম্যাচ। সেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এক দেশ থেকে অন্য দেশেও! তবে সিলেটে অনুষ্ঠিত নারী এশিয়া কাপে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াইয়ে সেই ঝাঁজ পাওয়া গেলো না। যতটুকু উত্তেজনা ছিল তার পুরোটাই গ্যালারি কেন্দ্রিক। প্রবল চাপের ম্যাচটায় পাকিস্তান শক্তিশালী ভারতকে ১৩ রানে হারিয়েছে।

ভারতকে প্রথমে ১৩৮ রানের লক্ষ্য দেয় পাকিস্তান। সেই লক্ষ্যে নেমে ১২৪ রানেই থেমে গেছে হারমানপ্রিত কৌরের নেতৃত্বাধীন দল। তাতে পাকিস্তান ৭ বছর পর ভারতকে হারিয়ে পরাজয়ের বৃত্ত ভাঙার কৃতিত্ব দেখিয়েছে।

অথচ কী আশ্চর্য আগের ম্যাচে নবীন দল থাইল্যান্ডের কাছেই পাকিস্তান হার মেনেছিল। সহযোগী সদস্য দেশের কাছে হারের পর পাকিস্তানের কাছে এই ম্যাচ ছিল ভীষণ চাপের। সেই চাপকে জয় করে পাকিস্তান তিন বিভাগে দারুণ ক্রিকেট খেলে ম্যাচ জিতেছে।

২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে সর্বশেষবার তারা ভারতকে হারাতে পেরেছিল। ৭ বছর পর দিল্লির স্মৃতি ফিরিয়ে আনলো বিসমাহ মারুফরা।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৩৭ রান করে পাকিস্তান। ভারতের মতো শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের কাছে এই লক্ষ্য মামুলিই হওয়ার কথা। কিন্তু পাকিস্তানের বোলারদেরর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে পুরোপুরি খেই হারায় ভারত। স্মৃতি মান্ধানা, হারমনপ্রিত কৌর, জেমিমাহ রুদ্রিগেজ, হেমালতার কেউই দেয়াল হয়ে দাঁড়াতে পারেননি। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৮ রানের প্রয়োজন ছিল। শেষ বলে ভারতের রাজেশ্বরী গায়কোয়াড় বোল্ড হতেই আনন্দ-উৎসবে মাতে পাকিস্তান। ১১ ম্যাচের মধ্যে এটি পাকিস্তানের তৃতীয় জয়।

ভারতের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৬ রান আসে রিচা ঘোষের ব্যাট থেকে। এছাড়া হেমালতা ২০, মানান্ধা ১৭, মেঘনা ১৫ ও দীপ্তি ১৬ রানের ইনিংস খেলেন। তাতে ১৯.৪ ওভারে ১২৪ রানে অলআউট হয় তারা।

পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে বাঁহাতি স্পিনার নাশরা সান্ধু ৩০ রানে তিনটি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া সাদিয়া ইকবাল, নিদা দার প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। আইমা আনোয়ার ও তুবা হাসান নিয়েছেন একটি করে উইকেট।

টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ২৬ রানের ওপেনিং জুটি পায় পাকিস্তান। সিদ্রা আমিন ১৪ বলে ১১ রান করে আউট হন। সঙ্গীর বিদায়ে ১৭ বলে ১৭ রানে আউট হন মুনিবা আলীও। কোন রান যোগ না হতেই তিন নম্বরে নামা ওমাইমা সোহেল শূন্য রানে ফেরেন। এরপর অধিনায়ক বিসমাহ মারুফ ও নিদা দার মিলে ৫৮ বলে ৭৬ রানের দুর্দান্ত জুটিতে দলকে উদ্ধার করেছেন। বিসমাহ ৩৫ বলে ২ চারে ৩২ রান করে আউট হন। অন্যদিকে বিস্ফোরক ব্যাটিং করেন নিদা। ৩৭ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৫৬ রানের ইনিংস খেলে এই অলরাউন্ডার আউট হন। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়েই পাকিস্তানের স্কোর হয় ১৩৭। ভারতের বোলারদের মধ্যে দীপ্তি শর্মা ২৭ রানে তিনটি এবং পূজা বস্ত্রকার ২৩ রানে নেন দুটি উইকেট।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব