০৭:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫

বিএফআইইউ প্রধানের ‘ভিডিও ফাঁস’ বিশেষজ্ঞদের দাবি এআই দারা নির্মিত ষড়যন্ত্র

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান এ.এফ.এম. শাহীনুল ইসলামের একটি ‘ব্যক্তিগত ষড়যন্ত্র মুলক ভিডিও’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) ভিডিওটি প্রকাশিত হওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন মহলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এ নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

 

প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এ.এফ.এম. শাহীনুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমার মতো ব্যক্তি কি এমন ধরনের কাজ করতে পারে? এটা ভুয়া এবং আমার বিরুদ্ধে সুগভীর চক্রান্ত। শুরু থেকেই একটা চক্র আমার বিরুদ্ধে লেগে আছে।’

তিনি আরও দাবি করেন, তার কর্মকাণ্ডে কয়েকটি বড় গ্রুপ ও কিছু ব্যক্তির স্বার্থে আঘাত লাগায় তারা অফিস এ আমার মিটিং সংক্রান্ত বিভিন্ন ভিডিও এর সাথে আমার মুখায়ব জুড়ে দিয়ে একটা অসামাজিক ও কুরুচিপূর্ণ ভিডিও তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে ।

 

আপনারা জানেন ফাসিস্ট সরকারের পরিবর্তনের পরে দেশের অর্থ পাচার রোধ ও পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারের জন্য আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে । এ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমাকে অনেকের শত্রুতে পরিণত হতে হয়েছে । এটি একটি বিশাল কাজ । দেশের মানুষের অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে আমাকে অনেকের বিরদ্ধে মামলা করতে হয়েছে অনেকে কোটি কোটি টাকা ফ্রীজ করতে হয়েছে । প্রতিদিন ই এ কাজ করতে গিয়ে আমার শত্রু তৈরি হইতেছে। আমাকে পরাস্ত করার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছে এই সমস্ত অঅর্থ পাচারকারী চক্রগুলো ।

আপনারা জানেন আজকাল AI প্রযুক্তি ব্যবহার করে ছবির সাথে ছবি জুড়ে দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও বানিয়ে তা দিয়ে ব্ল্যাক মেইল করা যায় । তাছাড়া আমাকে এধরনের হেও করতে পারলে একটা গ্রুপ সুবিধা নিতে পারবে বলে মনে করে.. আমি দৃঢ়তার সাথে এ ধরনের অপকর্মের প্রতিবাদ জানাচ্ছি ।

ইতোমধ্যে বিষয়টি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে এসেছে এবং তারা এটি নিয়ে কাজ করছেন । বাংলাদেশ ব্যাংক আমার প্রাণের প্রতিষ্ঠান । এর কোন অপমান যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে । আপনারা খুশি হবেন জেনে ইতিমধ্যে প্রকৃত অপরাধীকে ধরতে কাজ শুরু হয়েছে । আপনারদের কাছে অনুরোধ আপনারা অতি উৎসাহিত হয়ে কেউ বিশৃঙ্খলা করবেন না তাতে করে আমাদের সুনাম ক্ষুণ্ণ হবে এবং প্রকৃত দোষীরা আড়ালে চলে যাবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, বিএফআইইউ যেহেতু স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করবে না।

শাহীনুল ইসলাম চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি বিএফআইইউর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন। এর আগে তিনি সংস্থাটির উপ-প্রধান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
উল্লেখ্য, বিএফআইইউ বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে পরিচালিত একটি বিশেষায়িত ইউনিট। মানি লন্ডারিং, সন্ত্রাসী অর্থায়ন ও গণবিধ্বংসী অস্ত্রের বিস্তার প্রতিরোধে প্রতিষ্ঠানটি কাজ করে থাকে।

ট্যাগ :

বিএফআইইউ প্রধানের ‘ভিডিও ফাঁস’ বিশেষজ্ঞদের দাবি এআই দারা নির্মিত ষড়যন্ত্র

বিএফআইইউ প্রধানের ‘ভিডিও ফাঁস’ বিশেষজ্ঞদের দাবি এআই দারা নির্মিত ষড়যন্ত্র

প্রকাশিত : ০৫:৫৬:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান এ.এফ.এম. শাহীনুল ইসলামের একটি ‘ব্যক্তিগত ষড়যন্ত্র মুলক ভিডিও’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) ভিডিওটি প্রকাশিত হওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন মহলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এ নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

 

প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এ.এফ.এম. শাহীনুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমার মতো ব্যক্তি কি এমন ধরনের কাজ করতে পারে? এটা ভুয়া এবং আমার বিরুদ্ধে সুগভীর চক্রান্ত। শুরু থেকেই একটা চক্র আমার বিরুদ্ধে লেগে আছে।’

তিনি আরও দাবি করেন, তার কর্মকাণ্ডে কয়েকটি বড় গ্রুপ ও কিছু ব্যক্তির স্বার্থে আঘাত লাগায় তারা অফিস এ আমার মিটিং সংক্রান্ত বিভিন্ন ভিডিও এর সাথে আমার মুখায়ব জুড়ে দিয়ে একটা অসামাজিক ও কুরুচিপূর্ণ ভিডিও তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে ।

 

আপনারা জানেন ফাসিস্ট সরকারের পরিবর্তনের পরে দেশের অর্থ পাচার রোধ ও পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারের জন্য আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে । এ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমাকে অনেকের শত্রুতে পরিণত হতে হয়েছে । এটি একটি বিশাল কাজ । দেশের মানুষের অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে আমাকে অনেকের বিরদ্ধে মামলা করতে হয়েছে অনেকে কোটি কোটি টাকা ফ্রীজ করতে হয়েছে । প্রতিদিন ই এ কাজ করতে গিয়ে আমার শত্রু তৈরি হইতেছে। আমাকে পরাস্ত করার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছে এই সমস্ত অঅর্থ পাচারকারী চক্রগুলো ।

আপনারা জানেন আজকাল AI প্রযুক্তি ব্যবহার করে ছবির সাথে ছবি জুড়ে দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও বানিয়ে তা দিয়ে ব্ল্যাক মেইল করা যায় । তাছাড়া আমাকে এধরনের হেও করতে পারলে একটা গ্রুপ সুবিধা নিতে পারবে বলে মনে করে.. আমি দৃঢ়তার সাথে এ ধরনের অপকর্মের প্রতিবাদ জানাচ্ছি ।

ইতোমধ্যে বিষয়টি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে এসেছে এবং তারা এটি নিয়ে কাজ করছেন । বাংলাদেশ ব্যাংক আমার প্রাণের প্রতিষ্ঠান । এর কোন অপমান যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে । আপনারা খুশি হবেন জেনে ইতিমধ্যে প্রকৃত অপরাধীকে ধরতে কাজ শুরু হয়েছে । আপনারদের কাছে অনুরোধ আপনারা অতি উৎসাহিত হয়ে কেউ বিশৃঙ্খলা করবেন না তাতে করে আমাদের সুনাম ক্ষুণ্ণ হবে এবং প্রকৃত দোষীরা আড়ালে চলে যাবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, বিএফআইইউ যেহেতু স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করবে না।

শাহীনুল ইসলাম চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি বিএফআইইউর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন। এর আগে তিনি সংস্থাটির উপ-প্রধান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
উল্লেখ্য, বিএফআইইউ বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে পরিচালিত একটি বিশেষায়িত ইউনিট। মানি লন্ডারিং, সন্ত্রাসী অর্থায়ন ও গণবিধ্বংসী অস্ত্রের বিস্তার প্রতিরোধে প্রতিষ্ঠানটি কাজ করে থাকে।