০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মহাবিপন্ন প্রজাতির উল্লুক উদ্বার, দু’পাচারকারীকে ১বছর কারাদণ্ড

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক দিয়ে অভিনব কায়দায় পাচারকালে মহাবিপন্ন প্রজাতির একটি উল্লুক উদ্ধার করেছে লোহাগাড়া থানা পুলিশ। শনিবার (৮ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে মহাসড়কের চুনতি জাঙ্গালিয়ায় যাত্রীবাহি একটি বাসে অভিযান চালিয়ে উল্লুকটি উদ্ধার করা হয়। ওই সময় দু’জন পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দু’জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরীফ উল্যাহ।
ওই সময় উপস্থিত ছিলেন, থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান, এস আই মো. সাজিব হোসেন, চুনতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন জনু, চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মাহমুদ হোসেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কুমিল্লা দেবিদ্বার ফতেয়াবাদ এলাকার জলিলের পুত্র মুবিন (৩০) এবং একই জেলার দাউদকান্দি পেন্নাই এলাকার মজিদের পুত্র মো. মাজহারুল (৩৫)।

চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন বলেন, উদ্ধারকৃত প্রাণীটির নাম গিবন উল্লুক। এটা মূূলত গাছের মগ ডালে থাকে, ওইখানে ঘুরাফেরা, খাবার আহার বাসস্থান সবকিছুই করে থাকে। প্রাণীটি খুবই বিপন্ন প্রজাতির, বাংলাদেশের মুষ্টিমেয় কয়েকটি বনাঞ্চলে গিবন উল্লুক দেখতে পাওয়া যায়, সবখানে এগুলো পাওয়া যায় না। এরা ফলমূল ও পোকামাকড় খেয়ে জীবনধারণ করে। প্রাণীটি ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা-নিরিক্ষা শেষে এদের বসবাস যেখানে ওই বনাঞ্চলে অবমুক্ত করা হবে।

থানার ওসি আতিকুর রহমান বলেন, আমাদের কাছে তথ্য ছিলো কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা একটি যাত্রীবাহি বাসে করে দুই যুবক মহাবিপন্ন প্রজাতির একটি উল্লুক নিয়ে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে উল্লিখিত এলাকায় গাড়িটি থামিয়ে উল্লুকসহ ওই দুইজনকে আটক করতে সক্ষম হই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরীফ উল্যাহ বলেন, আটককৃত ব্যক্তিরা স্বীকার করেন, তারা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে বিরল প্রজাতির এই উল্লুকটি নিয়ে যাচ্ছিলেন। বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২ এর ৩৪ (খ) ধারা অনুযায়ী এভাবে বণ্যপ্রাণী ক্রয়-বিক্রয় এবং আমদানি-রপ্তানি করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আটককৃত ব্যক্তিগণ ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাদের অপরাধ স্বীকার করায় আইন অনুযায়ী তাদের প্রত্যেককে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং দশ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান, অর্থদণ্ড অনাদায় আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আসলামের মামলা প্রত্যাহারের দাবি

মহাবিপন্ন প্রজাতির উল্লুক উদ্বার, দু’পাচারকারীকে ১বছর কারাদণ্ড

প্রকাশিত : ০৩:৪৯:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ অক্টোবর ২০২২

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক দিয়ে অভিনব কায়দায় পাচারকালে মহাবিপন্ন প্রজাতির একটি উল্লুক উদ্ধার করেছে লোহাগাড়া থানা পুলিশ। শনিবার (৮ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে মহাসড়কের চুনতি জাঙ্গালিয়ায় যাত্রীবাহি একটি বাসে অভিযান চালিয়ে উল্লুকটি উদ্ধার করা হয়। ওই সময় দু’জন পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দু’জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরীফ উল্যাহ।
ওই সময় উপস্থিত ছিলেন, থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান, এস আই মো. সাজিব হোসেন, চুনতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন জনু, চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মাহমুদ হোসেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কুমিল্লা দেবিদ্বার ফতেয়াবাদ এলাকার জলিলের পুত্র মুবিন (৩০) এবং একই জেলার দাউদকান্দি পেন্নাই এলাকার মজিদের পুত্র মো. মাজহারুল (৩৫)।

চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন বলেন, উদ্ধারকৃত প্রাণীটির নাম গিবন উল্লুক। এটা মূূলত গাছের মগ ডালে থাকে, ওইখানে ঘুরাফেরা, খাবার আহার বাসস্থান সবকিছুই করে থাকে। প্রাণীটি খুবই বিপন্ন প্রজাতির, বাংলাদেশের মুষ্টিমেয় কয়েকটি বনাঞ্চলে গিবন উল্লুক দেখতে পাওয়া যায়, সবখানে এগুলো পাওয়া যায় না। এরা ফলমূল ও পোকামাকড় খেয়ে জীবনধারণ করে। প্রাণীটি ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা-নিরিক্ষা শেষে এদের বসবাস যেখানে ওই বনাঞ্চলে অবমুক্ত করা হবে।

থানার ওসি আতিকুর রহমান বলেন, আমাদের কাছে তথ্য ছিলো কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা একটি যাত্রীবাহি বাসে করে দুই যুবক মহাবিপন্ন প্রজাতির একটি উল্লুক নিয়ে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে উল্লিখিত এলাকায় গাড়িটি থামিয়ে উল্লুকসহ ওই দুইজনকে আটক করতে সক্ষম হই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরীফ উল্যাহ বলেন, আটককৃত ব্যক্তিরা স্বীকার করেন, তারা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে বিরল প্রজাতির এই উল্লুকটি নিয়ে যাচ্ছিলেন। বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২ এর ৩৪ (খ) ধারা অনুযায়ী এভাবে বণ্যপ্রাণী ক্রয়-বিক্রয় এবং আমদানি-রপ্তানি করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আটককৃত ব্যক্তিগণ ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাদের অপরাধ স্বীকার করায় আইন অনুযায়ী তাদের প্রত্যেককে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং দশ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান, অর্থদণ্ড অনাদায় আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব