০৬:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

সবজি ও মাছ চাষে ঝুঁকে পড়েছেন লোহাগাড়ার মাস্টার জমির

মোহাম্মদ জমির উদ্দীন, পেশায় একজন শিক্ষক। বর্তমানে তিনি উপজেলা সদরে অবস্থিত ইকরা আবদুল জব্বার উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। তাঁর বাড়ি উপজেলা সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড মজিদার পাড়ায়। শিক্ষকতার পাশাপাশি অবসর সময়ে তিনি শাক-সবজি ও মৎস্য চাষ করে স্বাবলম্বী হতে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

দীর্ঘদিন শিক্ষকতার পাশাপাশি তার বাড়ি সংলগ্ন কামার পুকুর এলাকায় ৪০ শতক জায়গা সংষ্কার করে তিনি সবজি বাগানের পাশাপাশি মৎস্য চাষ শুরু করেছেন।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, শিক্ষকতা এক মহৎ পেশা। এ পেশার সাথে তিনি যুক্ত করেন শাক-সবজির বাগান ও মৎস্য ক্ষেত। আনুমাণিক ১বছর পূর্বে তিনি প্রায় দেড়লক্ষ টাকার ব্যয়ে জায়গা সংষ্কার করে সবজি বাগান ও মৎস্য চাষ করার উপযোগী করে তোলেন। মাটির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধি থাকায় তিনি এক বছরের মধ্যে লাউ,শশা,শিম,বরবটিসহ নানা জাতের শাক-সবজি চাষে আশার আলো দেখতে পান। এ’ছাড়া বাগানের মাঝে সারিবদ্ধভাবে কলাগাছ ও পেঁপেগাছ রোপন করেছেন। বছর শেষ হতে না হতেই তিনি শাক-সবজি ও তরি-তরকারি বিক্রি করে প্রায় ২০ হাজারের অধিক টাকা উপার্জন করেছেন বলে জানিয়েছেন। আগামীতে ফলন ভাল হলে তিনি আরো অধিক পরিমাণ টাকা উপার্জন করতে সক্ষম হবেন বলে মন্তব্য করেছেন।

একই সময়ে তিনি আনুমাণিক ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে মৎস্য চাষ করার জন্য বাগান সংযুক্ত একটি জলাশয় তৈরী করেন। উক্ত জলাশয়ে শুরু করেন রুই, কাতলা, কার্ফু,মৃগেল,চিংড়ি, সরপুটিসহ প্রভৃতি মাছের চাষ। তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি তার বাগানে শ্রম দেন এবং সার্বক্ষণিক দেখা শুনার জন্য কর্মচারী নিয়োগ করেন। সবজি বাগান ও মৎস্য ক্ষেত রক্ষাণা-বেক্ষণে তাঁর দৈনিক প্রায় ৫ হাজার টাকা খরচ হয় বলে উল্লেখ করেন। নিয়মিত সার ও কিটনাশক ঔষধ ছিঁটিয়ে তিনি সবজি বাগানের পরিচর্যা করেন এবং মৎস্য চাষ সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও যথা সময়ে খাদ্য সরবরাহ করেন।

তিনি আরো বলেন, প্রয়োজনে এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কার্যালয় ও মৎস্য সম্পদ কার্যালয় থেকে পরামর্শ গ্রহণ করেন। সবজি বাগান শুরুতে তিনি বিভিন্ন স্থান হতে উন্নত জাতের বীজ সংগ্রহ করেন এবং মৎস্য চাষের ক্ষেত্রেও তিনি অনুরূপ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তিনি তাঁর মৎস্য চাষ ও সবজি বাগানে আগামীতে আরো অধিক লাভবান হতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

বীরগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

সবজি ও মাছ চাষে ঝুঁকে পড়েছেন লোহাগাড়ার মাস্টার জমির

প্রকাশিত : ০৩:৪২:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২২

মোহাম্মদ জমির উদ্দীন, পেশায় একজন শিক্ষক। বর্তমানে তিনি উপজেলা সদরে অবস্থিত ইকরা আবদুল জব্বার উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। তাঁর বাড়ি উপজেলা সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড মজিদার পাড়ায়। শিক্ষকতার পাশাপাশি অবসর সময়ে তিনি শাক-সবজি ও মৎস্য চাষ করে স্বাবলম্বী হতে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

দীর্ঘদিন শিক্ষকতার পাশাপাশি তার বাড়ি সংলগ্ন কামার পুকুর এলাকায় ৪০ শতক জায়গা সংষ্কার করে তিনি সবজি বাগানের পাশাপাশি মৎস্য চাষ শুরু করেছেন।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, শিক্ষকতা এক মহৎ পেশা। এ পেশার সাথে তিনি যুক্ত করেন শাক-সবজির বাগান ও মৎস্য ক্ষেত। আনুমাণিক ১বছর পূর্বে তিনি প্রায় দেড়লক্ষ টাকার ব্যয়ে জায়গা সংষ্কার করে সবজি বাগান ও মৎস্য চাষ করার উপযোগী করে তোলেন। মাটির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধি থাকায় তিনি এক বছরের মধ্যে লাউ,শশা,শিম,বরবটিসহ নানা জাতের শাক-সবজি চাষে আশার আলো দেখতে পান। এ’ছাড়া বাগানের মাঝে সারিবদ্ধভাবে কলাগাছ ও পেঁপেগাছ রোপন করেছেন। বছর শেষ হতে না হতেই তিনি শাক-সবজি ও তরি-তরকারি বিক্রি করে প্রায় ২০ হাজারের অধিক টাকা উপার্জন করেছেন বলে জানিয়েছেন। আগামীতে ফলন ভাল হলে তিনি আরো অধিক পরিমাণ টাকা উপার্জন করতে সক্ষম হবেন বলে মন্তব্য করেছেন।

একই সময়ে তিনি আনুমাণিক ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে মৎস্য চাষ করার জন্য বাগান সংযুক্ত একটি জলাশয় তৈরী করেন। উক্ত জলাশয়ে শুরু করেন রুই, কাতলা, কার্ফু,মৃগেল,চিংড়ি, সরপুটিসহ প্রভৃতি মাছের চাষ। তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি তার বাগানে শ্রম দেন এবং সার্বক্ষণিক দেখা শুনার জন্য কর্মচারী নিয়োগ করেন। সবজি বাগান ও মৎস্য ক্ষেত রক্ষাণা-বেক্ষণে তাঁর দৈনিক প্রায় ৫ হাজার টাকা খরচ হয় বলে উল্লেখ করেন। নিয়মিত সার ও কিটনাশক ঔষধ ছিঁটিয়ে তিনি সবজি বাগানের পরিচর্যা করেন এবং মৎস্য চাষ সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও যথা সময়ে খাদ্য সরবরাহ করেন।

তিনি আরো বলেন, প্রয়োজনে এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কার্যালয় ও মৎস্য সম্পদ কার্যালয় থেকে পরামর্শ গ্রহণ করেন। সবজি বাগান শুরুতে তিনি বিভিন্ন স্থান হতে উন্নত জাতের বীজ সংগ্রহ করেন এবং মৎস্য চাষের ক্ষেত্রেও তিনি অনুরূপ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তিনি তাঁর মৎস্য চাষ ও সবজি বাগানে আগামীতে আরো অধিক লাভবান হতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব